প্রাতিষ্ঠানিক কোয়ারেন্টাইন সেন্টারে নেই বিছানা-ফ্যান, পানি-ইফতার পাননি রোজাদার

  • আপডেট টাইম : মে ১৪ ২০২০, ১৩:৩৫
  • 715 বার পঠিত
প্রাতিষ্ঠানিক কোয়ারেন্টাইন সেন্টারে নেই বিছানা-ফ্যান, পানি-ইফতার পাননি রোজাদার
সংবাদটি শেয়ার করুন....

বরগুনা প্রতিনিধি : বরগুনার পাথরঘাটা উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের প্রাতিষ্ঠানিক কোয়ারেন্টিন সেন্টারে নেই বিছানা ও বৈদ্যুতিক ফ্যানের ব্যবস্থা। এমনকি কোয়ারেন্টিনে থাকা দুই ব্যক্তিকে পানি ও ইফতার সামগ্রী না দেওয়ার অভিযোগও রয়েছে। উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের কোয়ারেন্টিন সেন্টারের এই অব্যবস্থাপনার খবর পেয়ে বুধবার দিবাগত রাতে ভুক্তভোগী চাচা-ভাতিজার থাকার ও চিকিৎসার ব্যবস্থা করেছেন বরগুনা-২ আসনের বর্তমান সংসদ সদস্য শওকাত হাচানুর রহমান রিমন।
ওই চাচা-ভাতিজার বাড়ি পাথরঘাটা উপজেলার কাকচিড়া ইউনিয়নের মধ্য কাটাখালী গ্রামে। ভাতিজা আতিকুল ইসলাম নাইমের (৩০) কিডনি রোগের চিকিৎসা করাতে নিয়ে যান চাচা আবুল কালাম আজাদ (৪৫)। গত ১০ মে ভারত থেকে চিকিৎসা শেষে বাংলাদেশের সীমান্ত বেনাপোল থেকে পাথরঘাটায় আসেন।
চিকিৎসা নিতে আসা কিডনি রোগী নাইম বলেন, আমি কিডনী রোগের চিকিৎসা নিয়ে ভারত থেকে আসার পথে ইমেগ্রেশনসহ সীমান্তে কয়েক ধাপে পরীক্ষা-নিরীক্ষা করেছি। কিন্তু করোনাভাইরাস কোনো উপসর্গ পায়নি। তারপরও পরিবারসহ সকলের কথা বিবেচনা করে বাড়িতে না গিয়েই হাসপাতালে এসেছি। হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ আমাদেরকে প্রাতিষ্ঠানিক কোয়ারেন্টিনে রাখলেও যতটুকু সেবা পাওয়ার কথা তা আমরা পাইনি। যেখানে আমাকে প্রতি মুহূর্তে পানি খাওয়ার কথা, সেখানে ১৪ ঘণ্টায় পানি দেওয়া হয়নি। আমার চাচা রোজাদার ব্যক্তি, তাকেও ইফতারি দেওয়া হয়নি।
এ বিষয়ে বরগুনা-২ আসনের এমপি শওকত হাচানুর রহমান রিমন বলেন, আমাকে মোবাইলফোনে আবুল কালাম আজাদ নামের এক ব্যক্তি হাসপাতালের প্রাতিষ্ঠানিক কোয়ারেন্টিনের অব্যবস্থাপনা ও সেবা না পাওয়ার বিষয়টি জানায়। পরে আমি মঙ্গলবার রাত সাড়ে ১২টার দিকে পাথরঘাটা হাসপাতালে গিয়ে এর সত্যতা দেখতে পাই। পরে সেখান থেকে তাদেরকে আমার নিজ ভাড়াটিয়া ফ্ল্যাটের একটি কক্ষে রেখে সেবা নিশ্চিত করছি এবং চিকিৎকের পরামর্শ অনুযায়ী সেবা দেওয়ার ব্যবস্থা করছি। যতদিন চিকিৎসক তাদের ছাড়পত্র না দেয়, ততদিনই আমিই দেখাশোনা করব।
এমপি আরও বলেন, ভারত থেকে চিকিৎসা দিয়ে আসা দুই ব্যক্তিকে হোম কোয়ারেন্টিনে রাখার জন্য ইউএইচএফপিও-এর কাছে বললেও তিনি তাদেরকে হাসপাতালের প্রাতিষ্ঠানিক কোয়ারেন্টিনে রাখার পরামর্শ দেন। সে অনুযায়ী প্রাতিষ্ঠানিক কোয়ারেন্টিনে রাখলেও সেবা এবং দেখভাল না করার অভিযোগ পাওয়া যায়। তাছাড়া প্রতিষ্ঠানিক কোয়ারেন্টিনে ছিল না কোনো ফ্যান কিংবা বিছানা। ওই রাগীদের করোনার কোনো উপসর্গ না থাকলেও তাদের যেভাবে বদ্ধ ঘরে রাখা হয়েছে, তাতে তারা আরও অসুস্থ হয়ে পড়েছেন।
যখন শুনেছি একজন কিডনী রোগীর জন্য পানি এবং রোজাদার ব্যক্তিকে ইফতার সামগ্রী ও খাবার পানিটুকুও দেওয়া হয়নি, তখন আমি আর স্থির থাকতে পারিনি। এর দায় ইউএইচএফএপিও আবুল ফাত্তাহ এড়াতে পারে না।
অন্যদিকে লোকবল সংকটের কথা স্বীকার করে পাথরঘাটা উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের কর্মকর্তা মোহাম্মাদ আবুল ফাত্তাহ বলেন, আমাদের সাধ্য অনুযায়ী তাদের সেবা এবং দেখাশোনা করেছি।
পানি ও ইফতারের বিষয়ে জানতে চাইলে স্বাস্থ্য কর্মকর্তা বলেন, আমি দৈনিক দুবার খোঁজ-খবর নেই। তবে পানি এবং ইফতারের বিষয়টি আমাদের জানালে আমরা ব্যবস্থা করতাম।

এই ক্যাটাগরীর আরো খবর

ফেসবুক কর্নার

শিরোনাম
আইপিএল ছেড়ে দেশে ফিরতে হবে মুস্তাফিজকে!ইডেনের গ্যালারিতে বসেই ধূমপান, প্রবল সমালোচনআরো ১১৮ বুদ্ধিজীবীর তালিকা দিল মুক্তিযুদ্ধ মঢাকার বস্তির বেশিরভাগ মানুষ বরিশালেরভারতে উত্তর প্রদেশে মাদ্রাসা বন্ধের নির্দেশ সৌদি আরবে চাঁদ দেখা গেছে, মঙ্গলবার বাংলাদেশে ভারতকে হারিয়ে শিরোপা জিতলো বাংলাদেশপুরো রমজান মাস বন্ধ থাকবে প্রাথমিক-মাধ্যমিক প্রাথমিক শিক্ষকদের অনলাইনে বদলি শুরু চলতি মাভুটানকে ৬-০ গোলে উড়িয়ে দিল মেয়েরাপাকিস্তানে ইমরান খানের জেলে হামলা, আটক ৩জাতির পিতা সংবিধানে নারীদের অধিকার নিশ্চিত কপিরোজপুরে ত্রিমুখী সংঘর্ষে নারী-শিশুসহ নিহত মিস ওয়ার্ল্ড প্রতিযোগিতার ফাইনালে বাংলাদেশইতিহাস মুছে ফেলা যায় না, আজকে সেটাই প্রমাণিত:
%d