বরিশাল ২৭শে এপ্রিল, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ | ১৪ই বৈশাখ, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ | ১৮ই শাওয়াল, ১৪৪৫ হিজরি
কাউখালী (পিরোজপুর) সংবাদদাতা: মা তার সন্তান কে হেফাজতে বা সুরক্ষিত রাখতে গিয়ে নিজের জীবন কে তুচ্ছ মনে করে হাসিমুখে সবকিছু করেন নিরবে নিভৃতে, কারও সাধুবাদ পাওয়া যেন তার কাম্য নয়, শুধুচান তার শন্তান যেন থাকে নিরাপদে।
বঙ্গোপসাগরে কোল ঘেঁষা পিরোজপুর জেলার কাউখালি উপজেলার উপজেলা নির্বাহী অফিসার মোসা. খালেদা খাতুন রেখা তিনি কাউখালীর
উপজেলাকে, নিজের সন্তান মনে করে করোনার সংক্রমনের হাত থেকে রক্ষার জন্য, সকাল থেকে থেকে গভীর রাত পর্যন্ত ডাক হরকরার ন্যায় একটানা ছুটে চলছে উপজেলার এ প্রান্ত থেকে অপর প্রান্ত। বিনিদ্র সার্বক্ষণিক শুধু ছুটে চলা, লকডাউনকে টেকসই করতে সম্ভব্য সবকিছু করছেন , আবার ক্ষতিগ্রস্ত সাধারণ মানুষের কোন সমস্যা হচ্ছে কিনা, অনাহারে কেহ দিনযাপন করছে নাকি? কে বিনা চিকিৎসায় কষ্ট পাচ্ছেন? বিদেশ থেকে বা জেলা উপজেলার বাহির হতে কেউ আসলে তাদের কে বুঝিয়ে শুনিয়ে বাড়িতে হোম কোয়ারেন টাইনে রাখা, প্রয়জনে আইনি উদ্যোগ নেওয়া। মানুষের চলাচলে সামাজিক নিরাপত্তা ও দুরত্ব বজায় রাখতে জনগণ সার্বক্ষনিক অতন্দ্র পাহারায় রেখে উপজেলা কে সার্বিক নিরাপত্তা বেষ্টনীর ভিতর রাখতে চেষ্টা করেছেন।
এরই পরিপ্রেক্ষিতে তিনি উপজেলার ভবঘুরে মানসিক ভারসাম্যহীন অনাহারী মানুষগুলোকে রাতে নিজে ঘুরে নিজ হাতে খাবার দেন, এমনকি নিজ হাতে এক মানুষিক ভারসাম্যহীন মহিলাকে খাবার খাওয়ানোর ভিডিও ভাইরালও হয়েছিলো।
লকডাউনের কারনে অভুক্ত থাকা বাজারের কুকুরগুলোর জন্যও রুটিন মাফিক খাবার দিয়ে যাচ্ছেন। কুকুর গুলো তার গাড়ী দেখা মাত্র দেহরক্ষীর ন্যায় তাকে ঘিরে ধরে।
সর্বত্রই তার বিচরণ, উপজেলার প্রাণি সম্পদ রক্ষার জন্য এই অধিদপ্তরের চিকিৎসক ও কর্মিদের দিয়ে ভ্রাম্যমাণ চিকিৎসা সেবা নিশ্চিত করছেন! গত মার্চের শেষ সপ্তাহ থেকে করোনা ভাইরাস সংক্রমণের তীব্রতা শুরুর আগে থেকে তিনি সরকারি নির্দেশনার পাশাপাশি করোনা সংক্রমন বিস্তার রোধে অসাধারণ অনিন্দ্য সুন্দর সময় উপযোগী কাজ ও সিদ্ধান্ত বাস্তবায়ন করে জনতার কাছে মানবতার মা উপাধি লাভ করেছেন পিরোজপুরের কাউখালী উপজেলা নির্বাহী অফিসার ও উপজেলা ম্যাজিষ্ট্রেট (ইউএনও) মোসাঃ খালেদা খাতুন রেখা।
তিনি সমস্ত হাট-বাজার বন্ধ করে দিয়ে মানুষের নিত্যপ্রয়োজনীয় দ্রব্যাদি যার যার বাড়িতে পৌঁছে দেওয়ার লক্ষে অর্ধশতাধিক রিকশা ভ্যানের মাধ্যমে ভ্রাম্যমান বাজারের ব্যবস্হা করে অবরুদ্ধ মানুষের স্বাভাবিক জীবন চলমান রাখতে চেষ্টা করেন!
নিজস্ব সেচ্ছাসেবক দিয়ে দুর্গম এলাকায় পন্য সামগ্রি পাঠানোর ব্যবস্হা করেন তিনি। কাউখালী পাইলটস্টেশন (অাভ্যন্তরীন পোতাশ্রয়) নদীতে নোঙর করা জাহাজের স্টাফদের প্রয়োজনীয় বাজারের জন্য, ঝুঁকি এড়ানোর ব্যবস্হা হিসেবে নদীতে ট্রলারের মাধ্যমে ভ্রম্যমান বাজার চালুকরেন।
নিজের পরিবার পরিজনের কথা তিনি বেমালুম ভুলে তিনি সকাল সন্ধ্যা নিজ হাতে হ্যান্ড মাইক নিয়ে রাস্তা ঘাটে পথে-প্রান্তরে সতর্ক করেছেন মানুষকে করোনা ভাইরাস সম্পর্কে। শত ব্যস্ততার মধ্যেও অসাধু ব্যবসায়ীদের নিয়ন্ত্রণ এবং ভ্রাম্যমাণ আদালত পরিচালনা করেছেন রুটিন মাফিক।
নান্দনিক উপজেলা নির্বাহী অফিসার তিনি সকলের মুখে একজন সফল সরকারি কর্মকর্তা ও গণমানুষের আস্হা ভাজন।