বরিশাল ২৮শে এপ্রিল, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ | ১৫ই বৈশাখ, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ | ১৯শে শাওয়াল, ১৪৪৫ হিজরি
ঘুর্নিঝড় আম্ফান
বরগুনা প্রতিনিধি : বঙ্গোপসাগরে সৃষ্ট ঘূর্ণিঝড় ‘আম্ফান’ মোকাবিলা ও সম্ভাব্য ক্ষয়-ক্ষতি এড়াতে বরগুনার ৫০৯টি আশ্রয় কেন্দ্রের পাশাপাশি উপকূলীয় এলাকার সকল শিক্ষা প্রতিষ্ঠান খুলে দেওয়া হয়েছে। এছাড়া জেলা-উপজেলায় পর্যায়ে কন্ট্রোল রুম খোলা হয়েছে। এরই মধ্যে উপকূলবাসীকে সতর্ক করতে মাইকিং শুরু হয়েছে।
চট্টগ্রাম, মোংলা ও পায়রা সমুদ্রবন্দর এবং কক্সবাজার উপকূলে ৪ নম্বর স্থানীয় হুঁশিয়ারি সংকেত দেখিয়ে যেতে বলেছে আবহাওয়া অফিস।
রোববার (১৭ মে) সকালে আবহাওয়ার বিশেষ বিজ্ঞপ্তিতে এ কথা বলা হয়। আম্ফানের প্রভাবে পায়রা বন্দরে চার নম্বর হুঁশিয়ারি সংকেত থাকলেও বরগুনাসহ উপকূলীয় এলাকাসমুহে এর তেমন কোনো প্রভাব নেই। দিনভর গ্রীষ্মের কড়া রোদের সাথে দাবদাহ অব্যহত ছিল। আকাশে মেঘ বা দমকা অথবা টানা মাঝারি বাতাসও বইছেনা। তবে বঙ্গোপসাগর কিছুটা উত্তাল রয়েছে। নদ-নদীর পানিও বৃদ্ধি পায়নি। তবে মোকাবেলায় ইতোমধ্যে বৈঠক করেছে জেলা প্রশাসন।
রোববার দুপুরে বরগুনা জেলা প্রশাসকের সন্মেলন কক্ষে ঘূর্ণিঝড় ‘আম্ফান’ প্রতিরোধে জেলা দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা কমিটির সভা অনুষ্ঠিত হয়। বরগুনা জেলা প্রশাসক মোস্তাইন বিল্লাহর সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত সভায় সরকারি-বেসরকারি সদস্যরা উপস্থিত ছিলেন।
সভায় জেলা প্রশাসক জানান, শিক্ষা প্রতিষ্ঠানসহ ৫০৯টি সাইক্লোন শেল্টার প্রস্তুত রাখা হয়েছে। ইতোমধ্যে শেল্টারগুলো আশ্রয়গ্রহণকারীদের বসবাসের উপযুক্ত করার উদ্যোগ নেয়া হয়েছে, ইউনিয়ন দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা কমিটির সভা করে প্রস্তুতি গ্রহণের জন্য বলা হয়েছে।
জেলা দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা অফিস জানান, ঘূর্ণিঝড় আমফান মোকাবেলায় ইতিমধ্যেই বরগুনায় ৫০৯টি সাইক্লোন শেল্টার প্রস্তুত আছে। এর মধ্যে স্কুল কাম সাইক্লোন শেল্টার হচ্ছে ৩৪১টি এবং স্কুল কাম আশ্রয় কেন্দ্র ১৬৮টি। এছাড়াও বিভিন্ন শিক্ষা প্রতিষ্ঠান, ইউনিয়ন পরিষদ ও সরকারি আবাসন আশ্রয়কেন্দ্রের জন্য প্রস্তুত করা হচ্ছে।
রোববার বিকেলে উপকূলীয় ট্রলার মালিক সমিতির সভাপতি মোস্তফা চৌধূরি জানিয়েছেন, আম্ফান থেকে সতর্ক আছেন জেলেরা। ইতোমধ্যেই তারা গভীর সমুদ্রে মাছ শিকারে যেতে জেলেদের নিষেধ করে উপকূলের কাছাকাছি নিরাপদে অবস্থান করতে বলেছেন। তিনি আরো বলেন, সাগর কিছুটা উত্তাল রয়েছে, তবে নদ-নদীতে এর কোনো প্রভাব এখনো পড়েনি।
এ বিষয়ে বরগুনা জেলা দুর্যোগ ও ত্রাণ ব্যবস্থাপনা অফিসার মো. লুতফর রহমান বলেন, আশ্রয় কেন্দ্রে সামাজিক সুরক্ষা মেনে স্বাস্থ্যবিধি অনুযায়ী রাখা হবে। এছাড়াও আশ্রয় কেন্দ্রে গ্রাম পুলিশ ও সেচ্ছাসেবী সংগঠনের টিম সার্বক্ষণিক সামাজিক ও স্বাস্থ্য সুরক্ষার কাজে নিয়োজিত থাকবেন।