বরিশাল ২৮শে এপ্রিল, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ | ১৫ই বৈশাখ, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ | ১৮ই শাওয়াল, ১৪৪৫ হিজরি
মিজানুর রহমান জুয়েল, মনপুরা (ভোলা) প্রতিনিধিঃ
ভোলার মনপুরা বিছিন্ন উপজেলা, ঘুর্ড়িঝড় আম্পানের প্রভাবে ৮কিলোমিটার বেড়িবাঁধ ভেঙ্গে গেলো ও এখনো নির্মাণ হচ্ছে না, ক্ষতিগ্রস্ত বেড়িবাঁধগুলো। ফলে আতংকে ও দুর্চিন্তাগ্রস্ত হাজার হাজার মানুষ । কোটি টাকার ক্ষতির আশংকা করছে মৎস্যচাষ খামারীগন। হতাশার মাঝে স্কুল কলেজের শত শত শিক্ষার্থীদের অবিভাবকেরা।
মনপুরা উপজেলা ২নং হাজির হাট ইউনিয়ন চরযতিন ও সোনার চর এলাকায় বেড়িবাঁধ মেরামত ও জিও ব্যাগ দিয়ে স্হানীয় জনগণ ও এলাকার যুব সমাজের নিজস্ব অর্থায়নে ঘুর্নিঝর আম্পানের প্রভাবে ক্ষতিগ্রস্ত বেড়িবাঁধ মেরামত শুরু করেন।
ঘুর্নিঝড় আম্পানের প্রভাবে মনপুরা উপজেলা প্রায় ৮কিলোমিটার বেড়িবাঁধ ভেঙ্গে যায়। প্রায় ১০দিন পার হয়ে গেলে ও এখনো ক্ষতিগ্রস্ত বেড়িবাঁধগুলো মেরামত হয়নি। এই নিয়ে স্হানীয় জনসাধারণের মাঝে অসন্তোষ প্রকাশ করছেন, সামনে কিছু দিন পরে আমবশ্যায়, আমবশ্যায় নদীর পানি অনেক বাড়তে পারে। তখনই প্লাবিত হতে পারে ক্ষতিগ্রস্ত এলাকাগুলো। তাই স্হানীয় লোকজন রয়েছেন আতংকে।
ঘুর্নিঝড় আম্পানের সময় স্হানীয় জনসাধারণ ও জনপ্রতিনিধিদের নিয়ে ভাঙ্গা বেড়িবাঁধগুলো কিছুটা মেরামত করা হলে ও যেসমস্ত বেড়িবাঁধগুলো আম্পানের প্রভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে তা এখনো মেরামত করা হয় নাই।
পানি উন্নয়ন বোর্ডের সহকারী প্রকৌশলী আঃ রহমান জানান ঘূর্ণিঝড় আম্পানের প্রভাবে ক্ষতিগ্রস্ত বেড়িবাঁধগুলো দ্রুত মেরামত করা হবে এবং বিকল্প বেড়িবাঁধ নির্মাণ করা হচ্ছে।
এই ব্যাপারে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা বিপুল চন্দ্র দাস জানান, আমরা পানি উন্নয়ন বোর্ডকে বলেছি ক্ষতিগ্রস্ত বেড়িবাঁধগুলোকে দ্রুত মেরামত করা জন্য।
২নং হাজির হাট ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান শাহরিয়ার চৌধুরী দ্বীপক বলেন, ঘূর্ণিঝড় আম্পানে প্রভাবে ২নং হাজির হাট ইউনিয়নে ৩টি পয়েন্টে বেড়িবাঁধ ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে অচিরেই মেরামত না করা হলে হাজার হাজার মানুষ পানি বন্দী হয়ে থাকতে হবে।