বরিশাল ৬ই মে, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ | ২৩শে বৈশাখ, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ | ২৬শে শাওয়াল, ১৪৪৫ হিজরি
স্টাফ রিপোর্টার, বরিশাল থেকে ॥ শেবাচিম হাসপাতালে ১৭ দিন বয়সি এক নবজাতকের মৃত্যু হয়েছে। আজ হাসপাতালের করোনাভাইরাস ওয়ার্ডে সে মারা গেছে। সম্ভবত বরিশাল প্রেক্ষাপটে এই প্রথম করোনা আক্রান্তে কোনো নবজাতকের মৃত্যুর ঘটনা ঘটল। এছাড়া কাছাকাছি সময়ে ওই ওয়ার্ডে নবজাতকটিসহ আরও ৫ রোগীর মৃত্যু হয়। এর মধ্যে নবজাতকটিসহ দুজন করোনাভাইরাস আক্রান্ত ছিলেন। বাকি তিনজনের একজন নেগেটিভ এবং অপর দুজনের নমুনা সংগ্রহ করে পরীক্ষার জন্য পাঠানো হয়েছে। হাসপাতালের একটি দায়িত্বশীল সূত্র শিশুসহ ৫ জনের মৃত্যুর বিষয়টি নিশ্চিত করে। এ নিয়ে গত ২৮ মার্চ থেকে রোববার পর্যন্ত বরিশাল শের-ই বাংলা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের করোনাভাইরাস ওয়ার্ডে মোট ১৫১ জনের মৃত্যু হলো। এর মধ্যে ৫১ জনের করোনাভাইরাস পজেটিভ ছিলেন। বাকিরা উপসর্গ নিয়ে মারা গেছেন।
হাসপাতাল সূত্রে জানা গেছে, বোববার বেলা একটার দিকে হাসপাতালের করোনাভাইরাস ওয়ার্ডে মারা যায় মাইশা আক্তার শিরিন নামের ১৭ দিন বয়সী নবজাতক। বরিশাল শহরের ২১ নম্বর ওয়ার্ডের বাসিন্দা মনোয়ার হোসেনের মেয়ে মাইশাকে ৬ জুলাই রাতে উপসর্গ নিয়ে এই হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছিল। এরপর তার নমুনা পরীক্ষায় সে আক্রান্ত হওয়ায় বিষয়টি ধরা পড়ে।
এর আগে ওই ওয়ার্ডে শনিবার দিবাগত রাত ১২টার দিকে মারা যান লুৎফর রহমান (৬০) নামের এক ব্যক্তি। ঝালকাঠির নলছিটি উপজেলার বাসিন্দা ওই ব্যক্তি উপসর্গ নিয়ে গত ২৮ জুন হাসপাতালে ভর্তি হয়েছিলেন। পরে নমুনা পরীক্ষার ফলাফলে তার করোনাভাইরাস শনাক্ত হয়।
এ ছাড়া নবজাতক মাইশার মৃত্যুর পরপরই আজ ওই ওয়ার্ডে মারা যান কদম আলী (৬৫) নামের এক বৃদ্ধ। বরিশালের গৌরনদী উপজেলার বাসিন্দা বৃদ্ধ শনিবার দিবাগত রাত সাড়ে তিনটার দিকে হাসপাতালে ভর্তি হয়েছিলেন। মারা যাওয়ার পর তার নমুনা সংগ্রহ করা হলেও এখনও প্রতিবেদন আসেনি।
সূত্রটি আরও জানায়- একই ওয়ার্ডে শনিবার দিবাগত রাত পৌঁনে একটায় মারা যান আবদুল গনি হাওলাদার (৭০) ও সুফিয়া বেগম (৬০) নামের দুজন রোগী। গনি হাওলাদার উপসর্গ নিয়ে ৭ জুলাই রাতে ভর্তি হন। তবে তার নমুনা পরীক্ষার ফলাফল নেগেটিভ আসে। পরে রোববার সকাল ৭টার দিকে ঝালকাঠির রাজাপুর উপজেলার বাসিন্দা সুফিয়া বেগম মারা যান। মৃত্যুর পর তারও নমুনা সংগ্রহ করে পরীক্ষার জন্য প্রেরণ করা হয়েছে।
শেবাচিম হাসপাতালের পরিচালক মো. বাকির হোসেন এসব তথ্য নিশ্চিত করে জানান- এ নিয়ে গত ২৮ মার্চ থেকে রোববার পর্যন্ত বরিশাল শের-ই বাংলা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের করোনাভাইরাস ওয়ার্ডে মোট ১৫১ জনের মৃত্যু হলো। এর মধ্যে ৫১ জনের করোনাভাইরাস আক্রান্ত ছিলেন। বাকিরা উপসর্গ নিয়ে মারা গেছেন।’