বরিশাল ২রা মে, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ | ১৯শে বৈশাখ, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ | ২৩শে শাওয়াল, ১৪৪৫ হিজরি
জিয়া শাহীন \ কোরবানীর ঈদের বাকি মাত্র ৫দিন। এ সময়ে ঢাকা থেকে বরিশালগামি লঞ্চের একটি টিকেটের জন্য হুড়োহুড়ি পড়ার কথা। কাউন্টার ম্যানেজারদের ঘাম ছুটে যাবার অবস্থা হবার কথা। লঞ্চ মালিকরা এ সময়ে যাত্রীদের বিড়ম্বনায় তাদের মোবাইল ফোনটি বন্ধ রাখার কথা। কিন্তু এবার তার কিছুই নেই। কাউন্টারগুলোতে নেই যাত্রীদের ভিড়। এ সময়ে লঞ্চগুলো চলছে গুটি কয়েক যাত্রী নিয়ে। অধিকংশ কেবিন যাচ্ছে খালী। কাউন্টারগুলোতে বসে আছেন ম্যানেজাররা। শুক্রবার সদর ঘাটের একটি চিত্র। সুন্দরবন-১০ ও মানামী নামের দুটি বৃহৎ লঞ্চ দুর্ঘটনার কারনে যাত্রা বাতিল হওয়ায় বাকি লঞ্চগুলোর উপর যাত্রী চাপ পড়া কথা। একেতো শুক্রবার, তার উপর ঈদ উৎসবে মানুষের বাড়ি ফেরার টান। কিন্তু কল ম্যানরা যাত্রী টানতে চিৎকারের পর চিকার করে যাচ্ছে, যাত্রীর খবর নেই। রাতে যখন লঞ্চ ছাড়ল, তখন দেখা গেল সুরভী -৮ লঞ্চের অধিকাংশ কেবিন তালাবদ্ধ। সোফাও খালি বেশ কয়েকটা। অন্য লঞ্চগুলোর অবস্থাতো আরওত তথৈবচ। কেন হচ্ছে এরকম? জানা গেছে এবার সরকার করোনার কারণে কোরবানীর ছুটি ঘোষণা করেছে মাত্র ৩ দিন। তার উপর সরকারী বেসরকারী চাকুরীরতদের স্থান ত্যাগ না করার নির্দেশ দিয়েছেন। ফলে এবার ঈদ করতে বাড়ি ফেরার উপায় নেই বহু মানুষের। করোনার কারণে প্রায় তিনমাস লঞ্চ চলাচল বন্ধ থাকার পর ঈদকে সামনে রেখে লঞ্চ মালিকরা যে আশা করেছিলেন তা তা নিরাশায় পরিসত হতে সময় লাগেনি। বরিশালে লঞ্চের কাউন্টার ঘুরে দেখা গেছে শুধু মাত্র ৩০ জুলাইয়ের ঢাকা থেকে আসা এবং ২ আগষ্ট বরিশাল থেকে ঢাকা যাবার টিকেট কাটছেন যাত্রীরা। আশেপাশের অন্যদিনগুলোর টিকেটের খাতা সাদাই রয়ে গেছে। সুন্দরবন লঞ্চের মালিক বিশিষ্ট ব্যবসায়ী ও জনপ্রতিনিধি সাইদুর রহমান রিন্টু জানান, গত তিনমাস যাবত লঞ্চ চলাচল বন্ধ থাকলেও স্টাফদের বেতন এবং খাবার সরবরাহ করতে হয়েছে। এরপর লঞ্চ চালু হলেও করোনার কারণে ঢাকামুখী হচ্ছেন না কেউ। ফলে প্রতিদিন যাত্রী সংকটের কারণে লাখ টাকার উপরে লোকসান গুনতে হয়েছে। ঈকে এ লোকসান কাটিয়ে উঠার আশা থাকলেও চাকুরীজীবিদের স্থান ত্যাগ না করার নিদের্শে সে আশাও নিরাশায় পরিনত হচ্ছে। তিনি জানান কোরবানীর পর যে কোন মুহুর্তে লঞ্চ চলাচল বন্ধ হয়ে যেতে পারে। এবাভে প্রতিদিন লোকসান গোনার সামর্থ কারো নেই।