বরিশাল ৭ই মে, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ | ২৪শে বৈশাখ, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ | ২৮শে শাওয়াল, ১৪৪৫ হিজরি
পটুয়াখালী প্রতিনিধি।। পটুয়াখালীর দশমিনায় ফেসবুকে পোষ্ট নিয়ে ভাইয়া বাহিনীর হাতে সবুজ হোসেন (২৫) নামে এ ছাত্রলীগ নেতা হামলা শিকার হয়েছে। সবুজ দশমিনা সদর ইউনিয়ন ছাত্রলীগের সাধারন বলে জানা গেছে। দশমিনা উপজেলা আওয়ামীলীগের সাধারন সম্পাদক অ্যাড. ইকবাল মাহামুদ লিটনের ছোট ভাই আবু সাদাত মোহাম্মদ
সায়েম এর নেতৃত্বে বুধবার রাত ৮টার দিকে এ হামলার ঘটনা ঘটে বলে দাবী করেন আহত সবুজ। আহত সবুজ দশমিনা স্বাস্থ্য কম্পেøক্সে চিকিৎসাধিন রয়েছে।
আহত ছাত্রলীগ নেতার অভিযোগ-বুধবার রাতে সবুজ দশমিনা উপজেলা কোর্ট চত্বর উপজেলা আওয়ামীলীগের সাধারন সম্পাদক অ্যাড. ইকবাল
মাহামুদ লিটনের বাস ভবনস্থ সড়ক দিয়ে যাচ্ছিল। এসময় উপজেলা আওয়ামীলীগ নেতা লিটনের ছোট ভাই সায়েমের নেতৃত্বে অন্তত ১০টি মটর সাইকেলে কবির হোসেন, তরিকুল ইসলাম, সোহাগ প্যাদা, ইলিয়াস হোসেন, রাকিবুল ইসলামসহ ১৫-২০ জনের একটি সন্ত্রাসী বাহিনী সবুজের ওপর আর্তকিত হামলা চালিয়ে মারধোর করে। এতে
সবুজ রক্তাক্ত জখম হয়।
আহত সবুজ জানায়, সম্প্রতি উপজেলা আওয়ামীলীগের সাধারন সম্পাদক ও সদর ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান ইকবাল মাহামুদ লিটনের বিরুদ্ধে ভিজিডির চাল চুরি নিয়ে অভিযোগ
উঠলে ফেসবুকে পোষ্ট করে বিচারের দাবী করার কারনে ক্ষুব্ধ হয়ে ইকবাল মাহমুদের ছোট ভাই সায়েম এ ঘটনা ঘটনায়।
অপর একটি সুত্র নিশ্চিত করে জানায়-কেন্দ্রীয় সাবেক যুবলীগের সাহিত্য বিষয়ক সম্পাদক প্রিন্স মহব্বত করোনা পরিস্থিতিতে গলাচিপা-দশমিনা এলাকায় মানবিক সহায়তা প্রদান নিয়ে রাজনৈতিক প্রতিপক্ষরা আপত্তিকর মন্তব্য করেন। এঘটনায় সবুজ প্রতিবাদ করলে প্রিন্স প্রতিপক্ষরা সবুজকে মারধোর করে। হামলার ঘটনা স্বীকার করে সোহাগ প্যাদা বলেন-প্রথমে প্রিন্স সমর্থক জনৈক
আলাউদ্দিন মাস্টারের সাথে আলীপুরা বসে ইলিয়াসের বাকবিতন্ডা হয়।এনিয়ে দ্বিতীয় দফা লিটন চেয়ারম্যানের বাসার সামনে বাকবিতন্ডার
এক পর্যায় মারধোরের ঘটনা ঘটে। পরে চেয়ারম্যানের ছোট ভাই সায়েম পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রনে আনে। সবুজের খারাপ আচরনের জন্য মার খেয়েছে। সোহাগ প্যাদা আরো বলেন এর আগেও সবুজ ইকবাল মাহামুদ লিটন ভাইকে নিয়ে ফেসবুকে নানা মন্তব্য করেছে।
এ প্রসঙ্গে উপজেলা আওয়ামীলীগ নেতার ভাই সাবেক যুবলীগ নেতা আবু শাহদাত সাদাত মোহাম্মদ সায়েম বলেন-আমি কোন হামলা
করিনি, উল্টো পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রনে আনার চেষ্টা করেছি। এ প্রসঙ্গে জেলা ছাত্রলীগের সভাপতি হাসান সিকদার হামলার ঘটনার তীব্র প্রতিবাদ
জানিয়ে দোষীদের শাস্তির দাবী করছেন। এঘটনায় দশমিনা থানার অফিসার ইনচার্জ মোঃ জসিম জানায়, ঘটনা শুনে আমি পুলিশ ফোর্স পাঠিয়েছি। ঘটনা অপরাধযোগ্য হলে আইনগত ব্যবস্থা নেয়া
হবে।