বরিশাল ৪ঠা মে, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ | ২১শে বৈশাখ, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ | ২৪শে শাওয়াল, ১৪৪৫ হিজরি
ঝালকাঠিতে ৩শতাধিক ব্যক্তিকে বিন্যামূল্যে চক্ষু চিকিৎসা ক্যাম্প অনুষ্ঠিত হয়েছে। টিএ্যান্ডটি বোর্ডের অবসরপ্রাপ্ত কর্মকর্তা ও সাবেক শিক্ষক বিশিষ্ট শিক্ষানুরাগী মো. ফজলুর রহমান সিকদারের পঞ্চম মৃত্যুবার্ষিকী উপলক্ষে ফজলুর রহমান ওয়েলফেয়ার ফাউন্ডেশনের পক্ষ থেকে রবিবার সকাল ৯টা থেকে বিকাল ৫টা পর্যন্ত সদর উপজেলার বেশাইনখান শহীদ স্মৃতি মাধ্যমিক বিদ্যানিকেতন মিলনায়তনে এ চিকিৎসা সেবা দেওয়া হয়।
ফাউন্ডেশনের চেয়ারম্যান মো.রাশিদুল ইসলামের সভাপতিত্বে স্মরণসভা ও চিকিৎসা ক্যাম্পে উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন ঝালকাঠির এনডিসি আহমেদ হাছান। অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি ছিলেন,ঝালকাঠি প্রেস ক্লাবের সাধারণ সম্পাদক অ্যাডভোকেট মো.আককাস সিকদার ও কীর্ত্তিপাশা ইউনিয়ন পরিষদ চেয়ারম্যান আব্দুর শুক্কুর মোল্লা। এসময় অন্যান্যদের মধ্যে বক্তব্য রাখেন ও উপস্থিত ছিলেন , রিয়াল চক্ষু হাসপাতালের বিশেষজ্ঞ ডা. রিফাত খান, বেশাইনখান শহীদ স্মৃতি মাধ্যমিক বিদ্যানিকেতনের ম্যানেজিং কমিটির সভাপতি মো. সাইদুর রহমান হিরু ,কীর্ত্তিপাশা কমলি কান্দর বালিকা মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক সুনিল বরণ হালদার,বেশাইখান শহীদ স্মৃতি মাধ্যমিক বিদ্যানিকেতনের ভারপ্রাপ্ত প্রধান শিক্ষক পরিতোষ কান্তি সুতার, জেলা ব্র্যাক সমন্বয়ক মো. মোতাহার হোসেন,প্রাক্তন প্রধান শিক্ষক হাজী খলিলুর রহমান,শতবর্ষী আব্দুল খালেক মোল্লা, ইউপি সদস্য নিরু হাওলাদার,মহিলা সদস্য সেলিনা বেগম,সহকারী শিক্ষক রিপন হালদার ,ওবায়দুর রহমান তোতা মাস্টার,মনির হোসেন মোল্লা প্রমুখ। ফজলুর রহমান ওয়েলফেয়ার ফাউন্ডেশনের সার্বিক ব্যবস্থাপনায় ও ব্রাক ভিশন বাংলাদেশ প্রজেক্ট,বরিশাল এবং রিয়াল চক্ষু হাসপাতালের কারিগরী সহযোগিতায়। চক্ষু চিকিৎসা ক্যাম্পে প্রায় তিন শতাধিক রোগীকে বিনামূল্যে চিকিৎসা সেবা ও চশমা প্রদান করা হয়। এদের মধ্যে ৪০জন রোগীর চোখের ছানি সনাক্ত করা হয়।এদেরকে আগামী ২৬ আগস্ট বুধবার বরিশাল রিয়াল চক্ষু হাসপাতালে বিশেষজ্ঞ সার্জন দ্বারা চোখে ছানি অপারেশনের ব্যবস্থা করা হবে।এ সময় ফাউন্ডেশনের পক্ষ থেকে ঘোষণা করা হয় আগামী তে বিশেষজ্ঞ চিকিৎসককের মাধ্যমে গ্রামের হতদরিদ্রদের চিকিৎসক সেবা প্রদান করা হবে ।এছাড়া ফজলুর রহমান ওয়েলফেয়ার ফাউন্ডেশনের পক্ষ থেকে কবরজিয়ারত,হাজী খলিলুর রহমান হাফিজীয়া মাদ্রাসায় কোরানখানী ও দুপুরে মাদ্রাসার ছাত্রদের জন্য উন্নতমানের খাবারের ব্যবস্থা করা হয়।#