বরিশাল ৪ঠা মে, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ | ২১শে বৈশাখ, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ | ২৪শে শাওয়াল, ১৪৪৫ হিজরি
ঝালকাঠি সদর উপজেলায় ২০ বছর আগে দাফন করা এক ব্যক্তির মরদেহ অক্ষত অবস্থায় উদ্ধার করা হয়েছে। মরদেহ এবং কাফনের কাপড়ও ছিল অক্ষত। মঙ্গলবার (০১ সেপ্টেম্বর) বিকেলে পুনরায় ওই মরদেহ দাফন করা হয়েছে।
ঝালকাঠি সদর উপজেলার ভাটারাকান্দা গ্রামের ঘটনা এটি। এই গ্রামের বাসিন্দা মো. মোজাফফর আলী হাওলাদার ৭৫ বছর বয়সে ২০০০ সালে মৃত্যুবরণ করেন। পরে তাকে ভাটারাকান্দা গ্রামের পারিবারিক কবরস্থানে দাফন করা হয়েছিল।
মোজাফফর আলীর বড় ছেলে আবুল বাশার বাদশা বলেন, ভাটারাকান্দা গ্রামটি বিষখালী নদী তীরবর্তী হওয়ায় ভাঙনের কবলে পড়ে বিলীন হয়ে যায় আমাদের ঘরবাড়ি। একই সঙ্গে ভাঙনের কবলে পড়ে বাবার কবরটিও। পরে বৈদারাপুর গ্রামে আমরা বাড়ি তৈরি করি। এরই মধ্যে ছোট ভাই বাদল কুয়েত মেডিকেল কোরে কর্মরত অবস্থায় একাধিকবার বাবার কবর বিলীন হয়ে যাওয়ার বিষয়টি স্বপ্ন দেখে। পরে আমাকে বিষয়টি জানায় বাদল। সোমবার রাতে আত্মীয়-স্বজনদের নিয়ে বাবার কবর স্থানান্তরের জন্য পারিবারিকভাবে আলোচনা করা হয়।
পরিবারের সবার সিদ্ধান্ত অনুযায়ী বাবার কবর স্থানান্তরের জন্য মঙ্গলবার সকাল ৮টার দিকে প্রতিবেশী সাইফুলকে নিয়ে কবরের কাছে যাই। কবর খুঁড়তেই সাদা কাপড় দেখতে পাই আমরা। একপর্যায়ে অক্ষত মরদেহ দেখে ভয় পেয়ে যাই। পরে মরদেহ বৈদারাপুর গ্রামের নতুন বাড়িতে নেয়া হয়। ২০ বছর পরও বাবার মরদেহ অক্ষত দেখে সবাই হতভম্ব হন।
এদিকে, ২০ বছরে মরদেহ কবরে অক্ষত থাকার খবর শুনে ওই বাড়িতে ভিড় জমান এলাকাবাসী। শুধু এলাকাবাসী নয় দূর-দূরান্ত থেকে অনেকে দেখতে আসেন মরদেহ।
বাদশা আরও বলেন, আমার বাবা সাধারণ মুসল্লি ছিলেন। অনেক পরহেজগার ছিলেন তিনি। মরদেহ কবর থেকে তোলার পর দেখি কাফনের কাপড়ও পচেনি। ধরে দেখি কাপড়ের ভেতরে শুকনো দেহ রয়েছে। প্রতিটি হাড়ের জোড়া শক্ত। হাত-পায়ের জোড়া বিচ্ছিন্ন হয়নি। সকালে উদ্ধারকাজ শেষ করে বৈদারাপুর গ্রামের নতুন বাড়িতে নেয়া হয় মরদেহ। নতুন বাড়ির পাশেই আমার মায়ের কবর। তার কবরের পাশে মঙ্গলবার আসরের নামাজ শেষে তাকে পুনরায় দাফন করা হয়।