বরিশাল ৭ই মে, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ | ২৪শে বৈশাখ, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ | ২৮শে শাওয়াল, ১৪৪৫ হিজরি
ঝালকাঠি প্রতিনিধি ॥ ঝালকাঠিতে কার্যাদেশ ছাড়াই বিধিবহির্ভুতভাবে কাজ সম্পন্ন দেখিয়ে ঠিকাদার বিল উত্তোলন করছে বলে অভিযোগ উঠেছে। বেইস টাইপ-২ ও সিলকোডের কাজটি ঠিকাদার আমিনুল হক উপ-বিভাগীয় প্রকৌশলীকে অবহিত না করেই বিল উত্তোলন করায় এ অভিযোগ ওঠে। অভিযোগের পরেও নির্বাহী প্রকৌশলী ঠিকাদারের সঙ্গে যোগসাজসে
কাজের বিল ছাড় করেছেন গত ২৫ জুন ঝালকাঠি সড়ক ও জনপদ বিভাগের উপবিভাগীয় প্রকৌশলী শেখ নাবিল হোসেন নির্বাহী প্রকৌশলী কাছে বিনা কার্যাদেশে নির্ধারিত সময়ের বাইরে কাজ সম্পন্ন দেখিয়ে বিল উত্তোলনের চেষ্টা করায় একটি অভিযোগ দায়ের করেন।
ওই অভিযোগে উল্লেখ করা হয়, পিএমপি মাইনর খাতের দপদপিয়া-নলছিটি-মোল্লারহাট-মহেশপুর রাস্তার নবম অংশ থেকে দশম অংশ পর্যন্ত বেইস টাইপ-২ ও সিলকোডের কাজটি ঠিকাদার আমিনুল হক উপবিভাগীয় প্রকৌশলীকে অবহিত না করে এবং কোন কার্যাদেশ ছাড়াই সম্পন্ন করেছেন। ঠিকাদার কাজের বিল দাখিলের চেষ্টাও করছেন। কিন্তু কাজের শুরু থেকে শেষ হওয়া পর্যন্ত ঠিকাদার অথবা ঠিকাদারী প্রতিষ্ঠানের পক্ষে কোন প্রতিনিধি
উপবিভাগীয় প্রকৌশলীর সঙ্গে যোগাযোগ করেননি। না জানিয়েই অগোচরে কাজ শেষ দেখিয়ে এখন বিল উত্তোলনের চেষ্টা করছে ঠিকাদার।
সড়ক পরিবহন ও সেতু মন্ত্রণালয়ের নির্দেশনা অনুযায়ী জরুরী রুটিন মেইনটেন্যান্স ব্যতীত ১৫ জুন থেকে ১৫ সেপ্টেম্বর পর্যন্ত কোন বিটুমিনের কাজ না করানোর। সেখানে গত ১৫ জুনের মাঝে এ কাজের কোন কার্যাদেশ উপবিভাগীয় প্রকৌশলীর কাছে পৌছেনি। প্রকৌশলীকে অবহিত না করে বিনা কার্যাদেশে ঠিকাদার আমিনুল হক যে কাজ সম্পন্ন দেখিয়েছেন, তাও বিধি বহির্ভুতভাবে মন্ত্রণালয়ের বেধে দেওয়া সময়ের বাইরে (১৫ জুনের পরে)।
উপবিভাগীয় প্রকৌশলী শেখ নাবিল হোসেন বলেন, পিএমপি মাইনর খাতের দপদপিয়া-নলছিটি-মোল্লারহাট-মহেশপুর রাস্তার ৪৫ লাখ টাকা বরাদ্দে নবম অংশ থেকে দশম অংশ পর্যন্ত এক কিলোমিটার বেইস টাইপ-২ ও সিলকোডের
কাজটি ঠিকাদার আমিনুল হক বিনা কার্যাদেশে সম্পন্ন দেখিয়েছেন। যা বিধিবহির্ভুত হওয়ায় ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষকে লিখিতভাবে অবহিত
করেছি। গত ২৫ জুন অবহিত করার পরে ৫ জুলাই হেডকোর্য়ার্টারে বদলীর আদেশ হওয়ায় সেখানে কর্মরত আছি। তাই এব্যাপারে বিস্তারিত কিছু না
দেখে বলা যাচ্ছে না বলেও জানান তিনি।
নির্বাহী প্রকৌশলী শামীমা ইয়াসমিন বলেন, ঠিকাদার ভালোভাবেই কাজটি সম্পন্ন করেছেন, তাই তাকে সমুদয় বিল পরিশোধ করা হয়েছে।
কার্যাদেশ ছাড়া কোন কাজ হয় না। উপ-বিভাগীয় প্রকৌশলীর পারফরমেন্স (কর্মতৎপরতা) ভালো না থাকায় উপসহকারী প্রকৌশলীর তত্ত্বাবধানে কাজটি
সম্পন্ন করা হয়েছে। দাপ্তরিক কিছু বিষয় থাকে, এজন্য তাকে এ কাজের সঙ্গে সংযুক্ত করা হয়নি।
এব্যাপারে সংশ্লিষ্ট কাজের ঠিকাদার আমিনুল হকের মোবাইলফোনে কল করা হলেও তিনি তা ধরেননি।