বরিশাল ৮ই মে, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ | ২৫শে বৈশাখ, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ | ২৮শে শাওয়াল, ১৪৪৫ হিজরি
কে এম সবুজ, ঝালকাঠি ॥ নদী তীরে জেগে ওঠা বিশাল চর। চরজুড়েই পাখিদের বিচরণ। চরটি নানা
প্রজাতির পাখির অভয়ারণ্য। কিচিরমিচির শব্দে ঘুম ভাঙে স্থানীয় বাসিন্দাদের। মনরম এমন পরিবেশে ছুটে আসছে অনেকেই। ঝালকাঠির কাঁঠালিয়া উপজেলার বিষখালী নদী তীরের শৌলজালিয়া চরের এমন সৌন্দর্যে বিমহিত জেলার বাসিন্দারা। অবশেষে শৌলজালিয়া চরকে পাখির অভয়ারণ্য
ঘোষণা করা হয়েছে।
কাঁঠালিয়া উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও)
সুফল চন্দ্র গোলদার এ ঘোষণা করেন। সেখানে পাখি শিকার, মাটি কাটা, গাছ কাটা, বালু উত্তোলন ও গরু-মহিষ চরানো সম্পূর্ণ নিষিদ্ধ করা হয়েছে। প্রকৃতিকে সবুজ ও সুন্দর রাখতে ‘এসো পাখির বন্ধু হই’ স্লোগানসংবলিত সাইনবোর্ড লাগানো হয়েছে চরের মাঝে। পাখির বাসার জন্য বিভিন্ন গাছে ঝোলানো হয়েছে হাঁড়ি।
উপজেলা প্রশাসন ও স্থানীয় সূত্র জানায়, কাঁঠালিয়ার দক্ষিণ শৌলজালিয়া মৌজার ১০৩ দশমিক ৩ একর জমি পাখির অভয়ারণ্যের আওতায় থাকবে। উপজেলা প্রশাসনের তত্ত্বাবধানে শৌলজালিয়া ইউনিয়ন পরিষদ চরটি দেখভাল করবে। শুক্রবার বিকেলে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা সুফল চন্দ্র গোলদারের নেতৃত্বে চরটিকে পাখির অভয়ারণ্য ঘোষণা করা হয়। এ সময় সেখানে
উপস্থিত ছিলেন শৌলজালিয়া ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান মাহমুদ হোসেন রিপন, শৌলজালিয়া মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের সাবেক প্রধান শিক্ষক মো. মনেয়ার হোসেন, হক্কোননুর দরবার শরিফের প্রতিনিধি মো. মঞ্জিল মোর্শেদ, ইউপি সদস্য মো. সামছুল আলম, ইউপি সদস্য মো. খবির উদ্দিন খান, ইউপি সদস্য মো. ছালাম গাজী প্রমুখ।
স্থানীয় বাসিন্দা শামসুর রহমান বলেন, চরে অনেক পাখি আসে। শীতে পাখির সংখ্যা আরো বেড়ে যাবে। আমাদের ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান মাহমুদ
হোসেন রিপন পাখিদের অভয়ারণ্য ধরে রাখতে কাজ করছেন। তাকে সব ধরণের সহযোগিতা করে যাচ্ছে উপজেলা প্রশাসন।
শৌলজালিয়া ইউনিয়ন পরিষদ চেয়ারম্যান মাহমুদ হোসেন রিপন বলেন, পাখিপ্রেমী ঝালকাঠি জেলার বাসিন্দারা এখানে ছুটে আসেন। জেলার বাইরে থেকেই এখানে অনেকে আসছেন। পাখিদের সুরক্ষার জন্য আমরা গাছে গাছে হাঁড়ি ঝুলিয়ে দিয়েছি। চরটি পাখিদের জন্য নিরাপদ রাখতে
নানা উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে।
ইউএনও সুফল চন্দ্র গোলদার বলেন, বিষখালী নদীর বুকে জেগে ওঠা ৩০ বছর আগের এ নৈসর্গিক চরকে পাখির অভয়ারণ্য ঘোষণা করা হয়েছে। এতে
পাখির বংশ বৃদ্ধি পেয়ে প্রকৃতির ভারসাম্য রক্ষা হবে। পাখির বাসার সুবিধার জন্য গাছে হাঁড়ি বেঁধে দেওয়া হয়।