বরিশাল ২৭শে এপ্রিল, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ | ১৪ই বৈশাখ, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ | ১৭ই শাওয়াল, ১৪৪৫ হিজরি
দুর্গাপূজা শুরু হচ্ছে আজ বৃহস্পতিবার। ষষ্ঠীপূজার মধ্য দিয়ে সূচনা ঘটছে বাঙালির এ উৎসবের। পাঁচ দিনের এ উৎসব শেষ হবে ২৬ অক্টোবর সোমবার বিজয়া দশমীতে প্রতিমা বিসর্জনের মধ্য দিয়ে। করোনাভাইরাসের কারণে এবার ভিন্ন প্রেক্ষাপটে দুর্গাপূজা উদযাপিত হচ্ছে। দুর্গাপূজায় উৎসব-সংশ্নিষ্ট বিষয়গুলো পরিহার করে স্বাস্থ্যবিধি মেনে সাত্ত্বিক পূজায় সীমাবদ্ধ রাখা হবে।
এর আগে বুধবার সারাদেশের পূজামণ্ডপগুলোতে দুর্গা দেবীর বোধন অনুষ্ঠিত হয়েছে। শারদীয় দুর্গোৎসবের প্রাক্কালে এই বোধনের মাধ্যমে দক্ষিণায়নের নিদ্রিত দেবী দুর্গার নিদ্রা ভাঙার জন্য বন্দনা পূজা করা হয়। মণ্ডপে-মন্দিরে পঞ্চমীতে সায়ংকালে তথা সন্ধ্যায় এই বন্দনা পূজা অনুষ্ঠিত হয়।
এ বছরের দুর্গোৎসব শুরুর মাস আশ্বিন মাসটি ‘মল মাস’ তথা ‘অশুভ মাস’ হিসেবে বিবেচিত হওয়ায় হেমন্ত ঋতুর কার্তিক মাসে এ পূজার আয়োজন হচ্ছে। গত ১৭ সেপ্টেম্বর মহালয়া আয়োজিত হলেও এবারে দুর্গাপূজা শুরু হচ্ছে দেবীপক্ষের সূচনার ৩৫ দিন পার করে।
সনাতন বিশ্বাস ও পঞ্জিকামতে, জগতের মঙ্গল কামনায় দেবী দুর্গা এবার দোলায় (পালকি) চড়ে স্বর্গালোক থেকে মর্ত্যলোকে (পৃথিবী) এসেছেন (আগমন)। যার ফল হচ্ছে মড়ক। প্রাকৃতিক দুর্যোগ, রোগ ও মহামারির প্রাদুর্ভাব বেড়ে যাবে। দেবী স্বর্গালোকে বিদায় (গমন) নেবেন গজে (হাতি) চড়ে। যার ফল হিসেবে বসুন্ধরা শস্যপূর্ণা হয়ে উঠবে।
দুর্গাপূজার প্রথম দিন আজ ষষ্ঠীতে দশভূজা দেবী দুর্গার আমন্ত্রণ ও অধিবাস। ষষ্ঠী তিথিতে সকাল ৯টা ২৯ মিনিটের মধ্যে দেবীর ষষ্ঠ্যাদি কল্পারম্ভ ও ষষ্ঠীবিহিত পূজা। সায়ংকালে দেবীর আমন্ত্রণ ও অধিবাসের মধ্য দিয়ে শুরু হবে মূল দুর্গোৎসব। শুক্রবার মহাসপ্তমী, শনিবার মহাষ্টমী, রোববার মহানবমী এবং সোমবার বিজয়া দশমী। শেষ দিন প্রতিমা বিসর্জন অনুষ্ঠিত হবে। করোনার কারণে এবার মহাষ্টমীতে কুমারীপূজা ও বিজয়া দশমীতে বিজয়ার শোভাযাত্রা হচ্ছে না।