বরিশাল ৭ই মে, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ | ২৪শে বৈশাখ, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ | ২৭শে শাওয়াল, ১৪৪৫ হিজরি
ঝালকাঠির এক ব্যক্তির বিরুদ্ধে ‘ভুয়া মামলা’ দিয়ে জেল খাটানোয় জড়িতদের খুঁজে বের করতে পুলিশের অপরাধ তদন্ত বিভাগকে (সিআইডি) নির্দেশ দিয়েছেন হাইকোর্ট।
৩০ দিনের মধ্যে এ বিষয়ে প্রতিবেদন দিতে সিআইডিকে নির্দেশ দেয়া হয়েছে। একইসঙ্গে এ বিষয়ে পরবর্তী শুনানি ও আদেশের জন্য ৮ আগস্ট দিন ধার্য করেছেন হাইকোর্ট।
ওই মামলার কার্যক্রম স্থগিত করে রোববার (৬ জুন) হাইকোর্টের বিচারপতি মো. আবু জাফর সিদ্দিকী এবং বিচারপতি কে এম হাফিজুল আলমের সমন্বয়ে গঠিত ভার্চুয়াল বেঞ্চ রুলসহ আদেশ দেন। আদালতে আবেদনের পক্ষে শুনানি করেন আইনজীবী মনজিল মোরসেদ।
তিনি জানান, ঢাকা মহানগর হাকিম আদালতে ঝালকাঠি থানার রাজাপুরের রফিকুল ইসলামের বিরুদ্ধে মামলা করা হয়। এ মামলায় জাকির হোসেন নামে এক ব্যক্তিকে ভুয়া বাদী সাজানো হয়। এরপর ধানমন্ডির ঠিকানা দিয়ে দণ্ডবিধির ৪২০/৪০৬/৫০৬ ধারায় পিটিশন মামলা দায়ের করা হয়। পরে এই মামলায় গ্রেফতার করে কারাগারে পাঠানো হয় রফিকুলকে। আটদিন জেল খাটার পর জামিনে বের হয়ে তিনি খোঁজ নিয়ে ওই ঠিকানা ও ব্যক্তির কোনো অস্তিত্ব পাননি। একইসঙ্গে, জানতে পারেন ব্যবসায়িক শত্রুতাবশত কয়েকজন লোক এই সাজানো মামলাটি করেছেন।
‘বিষয়টি নিয়ে প্রতিকার চেয়ে আদালতে দরখাস্ত দাখিল করে তদন্তের মাধ্যমে ব্যবস্থা নেয়ার আবেদন করেন রফিকুল। কিন্তু শুধুমাত্র বাদীর ঠিকানা যাচাইয়ের আদেশ দেয়া হয় এবং রিপোর্টে ঠিকানার অস্তিত্ব নেই বলে পুলিশ প্রতিবেদনে উল্লেখ করা হয়।’
মামলার সঙ্গে জড়িতদের খুঁজে বের করতে কোনো প্রতিকার না পেয়ে উচ্চ আদালতে আবেদন করেন রফিকুল ইসলাম। সেই আবেদনের শুনানি নিয়ে আদালত ওই আদেশ দেন।