বরিশাল ৫ই মে, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ | ২২শে বৈশাখ, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ | ২৬শে শাওয়াল, ১৪৪৫ হিজরি
গত এক দশকে বাংলাদেশের বোলিং কোচ হিসেবে কাজ করেছেন, কিংবা এখনো কাজ করছেন এমন পাঁচ জন সাবেক ক্রিকেটার হচ্ছেন হিথ স্ট্রিক, কোর্টনি ওয়ালশ, ড্যানিয়েল ভেট্টোরি, অ্যালান ডোনাল্ড ও রঙ্গনা হেরাথ৷ আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে এই পাঁচ জনের সম্মিলিত উইকেট সংখ্যা তিন হাজার ২৯টি৷ এত এত অভিজ্ঞতার সম্মিলন ঘটিয়েও বাংলাদেশ এই সময়ে পাঁচজন বোলার পায়নি যারা একা কোনো ম্যাচের মোড় ঘুরিয়ে দিতে পারেন৷ শুধু বোলিং কেন, ব্যাটিংয়েও এখনো কেবল সাকিব আল হাসান খেললেই বাংলাদেশ খেলে৷ নিউজিল্যান্ডে ত্রিদেশীয় কাপই তো তার বড় প্রমাণ৷ শেষ দুই ম্যাচে তিনি দুটি ফিফটি করেছেন বলেই টানা চার হারেও কিছুটা মান রক্ষা৷ সমস্যাটা তাহলে কোথায়? নাজমুল হাসান একা নন৷ বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ডের সব কর্মকর্তারই উচিত এখন নিজেদের এই প্রশ্নটা করা৷ ক্রিকেটে দেদার টাকা খরচ করেই যারা তাদের দায় সেরেছেন৷ অনেকটা সেই সব গৃহকর্তার মতো, যারা সন্তানের জন্য সবচাইতে উচ্চশিক্ষিত গৃহশিক্ষক এনেই ভেবেছেন কাজ শেষ৷ এখন এই গৃহশিক্ষকের আলোয় আলোকিত হয়ে তার সন্তান হয়ে উঠবেন সমাজের সবচাইতে শিক্ষিত তরুণ৷ কিন্তু এই নিয়মে যে পৃথিবী চলে না, ধনগর্বে গর্বিত বাবারা অনেক সময় ঠিক বুঝে উঠতে পারেননা৷ কিংবা যখন বোঝেন সময় শেষ হয়ে যায়৷
বাংলাদেশের ক্রিকেট কর্তারা চাইলে নিজেদের ভাগ্যবানও ভাবতে পারেন৷ গত এক দশকে বাংলাদেশের ক্রিকেটে অভাবিত কিছু সাফল্য এসেছে, যাতে তাদের অবদান থাকুক আর না থাকুক তার কৃতিত্ব তারা পুরোটাই নিতে পেরেছেন৷ বিপত্তিটা বেধেছে এখন, যখন দল সংকটে পড়েছে৷ টেস্ট আর টিটোয়েন্টিতে টানা ব্যর্থতায় গত এক দশকে তাদের চালু রাখা সিস্টেমের দুর্বলতা বেরিয়ে পড়েছে বড় দৃষ্টিকটু ভাবে৷
বিসিবি সভাপতি ও তার পরিচালকরা জাতীয় দলের দিকে অতি নজর দিতে গিয়ে আরো যেসব বিষয়ে তাদের নজর দেওয়াটা জরুরি ছিলো সেটাই দিতে পারেননি৷ প্রথম-প্রথম প্রথম শ্রেণীর ক্রিকেট নিয়ে অনেকেই অনেক গাল-গল্প দিয়েছেন৷ কিন্তু এটা নিয়ে ক্রিকেট সংশ্লিষ্টদের আগ্রহ এখন তলানিতে এসে ঠেকেছে৷ চলবে…