বরিশাল ৫ই মে, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ | ২২শে বৈশাখ, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ | ২৫শে শাওয়াল, ১৪৪৫ হিজরি
এক বছরের ব্যবধানে টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপে দু’বার ১০ উইকেটের হার দেখলো ভারত। গত বছর দুবাইয়ে পাকিস্তান, এবার অ্যাডিলেডে ভারতকে লজ্জায় ডুবিয়েছে ইংল্যান্ড। বৃহস্পতিবার দ্বিতীয় সেমিফাইনালে ইংলিশ ওপেনার অ্যালেক্স হেলস-জস বাটলার মিলে ১৬ ওভারেই টপকে যান ১৬৯ রানের টার্গেট। তাদের সামনে বড্ড অসহায় দেখাচ্ছিল ভারতীয় বোলারদের। এমন হারের পর পাকিস্তানের কিংবদন্তি পেসার ওয়াসিম আকরাম আঙুল তুলেছেন আইপিএলের দিকে। ওয়াসিম মনে করেন, আপিএলের কারণে ভারতের বোলাররা ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছেন।
ওয়াসিম আকরাম কলকাতা নাইট রাইডার্সের বোলিং কোচ হিসেবে কাজ করেছেন। তার কোচিংয়ে ২০১২ ও ২০১৪তে চ্যাম্পিয়ন হয় কলকাতা। আইপিএল সম্পর্কে তাই ভালো ধারণা আছে ওয়াসিমের। এস্পোর্টসকে তিনি বলেন, ‘ব্যাপারটা এমন নয় যে ভারতের গতিময় পেসার নেই। আবেশ খান ও উমরান মালিকের মতো সাড়া জাগানো তরুণ পেসার রয়েছে তাদের।
ওরা নিয়মিত ১৪৫ কি.মি. গতিতে বল করতে পারে। কিন্তু সমস্যা হচ্ছে আইপিএলের একটা মৌসুম খেলার পরই ভারতের অধিকাংশ বোলার গতি হারিয়ে ফেলে।’
শুরুতে আবেশ খানের গতি ১৪০ কি.মি.-এর বেশি হলেও সেটি কমে গিয়েছে। আবেশের উদাহরণ টেনে ওয়াসিম বলেন, ‘এক সিজন আইপিএল খেলার পর আবেশের গতি নেমেছে ১৩৫-এ। ভারতীয় ক্রিকেট বোর্ডের বিষয়টি খতিয়ে দেখা উচিৎ কেন এমনটা ঘটছে।’
ওয়াসিম মনে করেন, আইপিএল থেকে প্রচুর ইনকামের পর ভারতের তরুণ ক্রিকেটারদের মধ্যে ‘গা ছাড়া’ ভাব চলে আসে। তারা কঠোর পরিশ্রমে অনাগ্রহী হয়ে পড়েন। ওয়াসিম বলেন, ‘আমার মনে হয় আবেশকে ১২ কোটি রুপি দেওয়া হয়েছিল আইপিএল থেকে। যখন তরুণ বয়সে কেউ অনেক টাকা আয় করে ফেলে, তখন মনোযোগ সরে যাওয়া এবং পরিশ্রম কম করার অনীহা চলে আসতে পারে।’
ভারতীয় ক্রিকেটারদের অন্য লীগে খেলতে না দেওয়ারও সমালোচনা করেছেন ওয়াসিম। তিনি বলেন, ‘২০০৮ থেকে যখন আইপিএল শুরু হলো, তখন থেকে ভারত কোনো টি- টোয়েন্টি বিশ্বকাপ জেতেনি। বিষয়টি নিয়ে বিসিসিআইয়ের ভাবা উচিৎ। তারা তাদের খেলোয়াড়দের বিদেশি লীগে খেলতে দেয় না। সম্ভবত এ কারণে ভিন্ন দেশের ভিন্ন কন্ডিশনে কীভাবে খেলতে হয় সেই শিক্ষা থেকে বঞ্চিত হচ্ছে ভারতীয় ক্রিকেটাররা।’
যদিও অন্য দেশের লীগে খেলার খুব একটা প্রয়োজন পড়ে না রোহিত-কোহলিদের। বছর বছরই ইংল্যান্ড ও অস্ট্রেলিয়ার মাটিতে পূর্ণাঙ্গ সিরিজ খেলছে তারা। এ দুটি দলের বিপক্ষে সাম্প্রতিক রেকর্ডও ভালো তাদের। শুধু টুর্নামেন্ট এলেই ভারতের ওপর ভর করে শনির দশা।