বরিশাল ২৬শে এপ্রিল, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ | ১৩ই বৈশাখ, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ | ১৭ই শাওয়াল, ১৪৪৫ হিজরি
ভোলার চরফ্যাসনে ইকরা হাসপাতাল অ্যান্ড ডায়াগনস্টিক সেন্টারে চিকিৎসকের অবহেলায় দুই শিশুর মৃত্যুর অভিযোগ পাওয়া গেছে। বুধবার শিশু দুটির অবস্থার অবনতি হলে ওই ক্লিনিকের কর্তব্যরত চিকিৎসক ডা. আবদুল্লাহ আল মামুন ও গাইনি চিকিৎসক ডা. ফারজানা তাসনীন চরফ্যাসন সরকারি হাসপাতালে পাঠান। সেখানে নেওয়ার পথে তাদের মৃত্যু হয়।
জানা যায়, বুধবার সকালে জ্বর নিয়ে মোসরাদ নামের ১০ মাস বয়সী শিশুকে চরফ্যাসন হাসপাতালে নিয়ে আসার পথে দালাল চক্র প্রাইভেট ক্লিনিক ইকরা হাসপাতাল অ্যান্ড ডায়াগনস্টিক সেন্টারে নিয়ে যান। শিশুটির বাবা দুলারহাট থানার আহাম্মপুর ইউনিয়নের বাসিন্দা মোশারফ হোসেন অভিযোগ করেন, তার মেয়েকে পরীক্ষা-নিরীক্ষার নামে কোনো রকম চিকিৎসা ছাড়াই ক্লিনিকে বসিয়ে রাখা হয়। তীব্র জ্বরে অবস্থা সংকটাপন্ন হলে তাকে সরকারি হাসপাতালে পাঠিয়ে দেন চিকিৎসকেরা। সেখানে নেওয়ার পথে শিশুটির মৃত্যু হয়।
এর আগে মঙ্গলবার বিকেলে ওই ক্লিনিকে চিকিৎসকের অবহেলায় দক্ষিণ আইচা থানার করিমপাড়া গ্রামের সেলিমের নবজাতক ছেলের মৃত্যু হয় বলে অভিযোগ উঠেছে। সেলিমের শ্যালিকা লাইজু বেগম অভিযোগ করেন, ইকরা হাসপাতাল অ্যান্ড ডায়াগনস্টিক সেন্টারের দালালচক্র তার অন্তঃসত্ত্বা বোন মর্জিনাকে ওই ক্লিনিকে নিয়ে যান। পরে সেখানে অস্ত্রোপচারের মাধ্যমে তার বোন ছেলে সন্তানের জন্ম দেন। নবজাতক শিশুর শরীরের অবস্থা ভালো না হওয়ায় কর্তব্যরত চিকিৎসক ও নার্সদের একাধিকবার বলা হয়। কিন্তু তারা কোনো ব্যবস্থা নেননি। অবস্থার অবনতি হওয়ায় তড়িঘড়ি করে চিকিৎসকরা নবজাতক শিশুটিকে চরফ্যাসন সরকারি হাসপাতালে নিয়ে যেতে বলেন। সেখানে নেওয়ার পর চিকিৎসক শিশুটিকে মৃত ঘোষণা করেন।
শিশু মোসরাদের মৃত্যুর বিষয়ে ইকরা হাসপাতাল অ্যান্ড ডায়াগনস্টিক সেন্টারের চিকিৎসক ডা. আবদুল্লাহ আল মামুন বলেন, শিশুকে হাসপাতালে নিয়ে এলে পরীক্ষা-নিরীক্ষা দেই। রিপোর্ট পাওয়ার আগেই শিশুটির অবস্থার অবনতি হলে তাকে উন্নত চিকিৎসার জন্য সরকারি হাসপাতালে পাঠানো হয়
এ বিষয়ে ক্লিনিক মালিক পলি ইসলাম জানান, ১০ মাস বয়সী শিশুটির অবস্থার অবনতি দেখে তাকে দ্রুত সরকারি হাসপাতালে নিয়ে যেতে বলা হয়, সেখানে কী হয়েছে জানা নেই। নবজাতকের মৃত্যুর বিষয়ে তিনি বলেন, নবজাতক শিশুর পরিবারকে একজন শিশু বিশেষজ্ঞ দেখাতে বলা হয়েছে। কিন্তু তারা তা করেননি।
চরফ্যাসন উপজেলা পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা ডা. শোভন বসাক জানান, ঘটনাটি শুনেছি। বিষয়টি খতিয়ে দেখে ব্যবস্থা নেওয়া হচ্ছে।