বরিশাল ৮ই মে, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ | ২৫শে বৈশাখ, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ | ২৯শে শাওয়াল, ১৪৪৫ হিজরি
নিউজিল্যান্ডের মাঠ ছোট হওয়ায় টি-টোয়েন্টি ম্যাচগুলোতে সেখানে রানের বন্যা বইয়ে যায়। পাকিস্তানের বিপক্ষে নিউজিল্যান্ডের ৫ ম্যাচের টি-টোয়েন্টি সিরিজের প্রথমটিতেও দেখা যায় রানবন্যা। দুই দল মিলে করে ৪০৬ রান। নিউজিল্যান্ডের করা ২২৬ রানের জবাবে ১৮০ রানে থামে পাকিস্তান। ৪৬ রানের হার দিয়ে সিরিজ শুরু করল শাহীন আফ্রিদির দল।
নিউজিল্যান্ডের বিপক্ষে সিরিজই টি-টোয়েন্টি অধিনায়ক হিসেবে শাহীনের প্রথম ম্যাচ। এদিন টস জিতে নিউজিল্যান্ডকে ব্যাটিংয়ে পাঠান তিনি। ইনিংসের দ্বিতীয় বলেই কিউই ওপেনার ডেভন কনওয়েকে ফিরিয়ে উড়ন্ত সূচনা আনেন অধিনায়ক। তবে এরপর পাকিস্তানের বোলারদের ওপর ঝড় বইয়ে দেন আরেক ওপেনার ফিন অ্যালেন। মাত্র ১৫ বলে সমান ৩টি করে ছক্কা ও চারে ৩৪ রান করে ফেরেন তিনি।
৫০ রানের মাথায় অ্যালেন ফিরলেও কিউই ঝড় থামেনি। একপাশে অধিনায়ক কেন উইলিয়ামসন ম্যাচ ধরে খেলেন, আরেকপাশে পাকিস্তানের বোলারদের তুলোধুনো করতে থাকেন ড্যারিয়েল মিচেল। তার সঙ্গে ৭৮ রানের জুটি গড়ে ১২৮ রানের মাথায় ৪২ বলে ৫৭ রান করে ফেরেন উইলিয়ামসন। তবে ঝড় অব্যাহত রাখেন মিচেল। ১৬৪ রানের মাথায় ১৯ রান করে ফেরেন গ্লেন ফিলিপস। আর মিচেল ঝড় থামে ১৮৩ রানের মাথায়। ২৭ বলে সমান ৪টি করে চার ও ছক্কায় ৬১ রান করেন মিচেল। শেষদিকে, মার্ক চাপম্যান ১১ বলে ২৬ রানের ক্যামিও ইনিংস খেললে ২২৬ রানের বিশাল সংগ্রহ পায় নিউজিল্যান্ড।
পাকিস্তানের অধিনায়ক শাহীন ৩ উইকেট নিলেও ৪ ওভারে ৪৬ রান দিয়েছেন। সবচেয়ে আঁটসাঁট বোলিং করেছেন হারিস রউফ ও আব্বাস আফ্রিদি। এই দুজন ৪ ওভারে ৩৪ রান দিয়ে নিয়েছেন যথাক্রমে ২টি ও ৩টি উইকেট।
নিউজিল্যান্ডের দেওয়া ২২৭ রানের লক্ষ্যে খেলতে নেমে উড়ন্ত সূচনা করে পাকিস্তানও। একের পর এক বল সীমানাছাড়া করতে থাকেন পাকিস্তান দলে নতুন সাইম আইয়ুব। তবে দুর্ভাগ্য তার। দলীয় ৩৩ রানের মাথায় রান আউটে কাটা পড়েন তিনি। ততক্ষণে ৮ বলে ২ চার ও ৩ ছক্কায় ২৭ রান করে ফেলেন তিনি। এরপর এক বাবর আজম ছাড়া সবাই উইকেটে সেট হয়েও বড় ইনিংস খেলতে পারেননি। দ্রুত আউট হওয়ার মাশুল দিয়ে নির্ধারিত ২০ ওভারের ১২ বল আগেই ১৮০ রানে অলআউট হয় দলটি। দলের হয়ে ৩৫ বলে সর্বোচ্চ ৫৭ রান করেন বাবর।