ভোলায় মেঘনার চরের দখল নিয়ে সংঘর্ষ ও গুলিবর্ষণ, আহত ৩০

  • আপডেট টাইম : মে ০৮ ২০২৪, ০৬:২৮
  • 26 বার পঠিত
ভোলায় মেঘনার চরের দখল নিয়ে সংঘর্ষ ও গুলিবর্ষণ, আহত ৩০
সংবাদটি শেয়ার করুন....

ভোলার দৌলতখান উপজেলার মেঘনা নদীর মাঝে জেগে ওঠা চর নেয়ামতপুরের মালিকানা নিয়ে বিরোধের জের ধরে আজ সোমবার দুপুরে দুই পক্ষের মধ্যে সংঘর্ষ ও গোলাগুলির ঘটনা ঘটেছে। এ সময় ৩০ জন আহত হয়েছেন। আহত ব্যক্তিদের মধ্যে ১৯ জনকে ভোলা সদর হাসপাতালে চিকিৎসা দেওয়া হচ্ছে। সংঘর্ষ চলাকালে লুটপাটের অভিযোগ পাওয়া গেছে।

ভোলা ২৫০ শয্যাবিশিষ্ট হাসপাতালের আবাসিক চিকিৎসা কর্মকর্তা (আরএমও) মো. তায়েবুর রহমান বলেন, আহত ব্যক্তিদের অবস্থা গুরুতর। তাঁদের চিকিৎসা দেওয়া হচ্ছে। তবে কেউ গুলিবিদ্ধ হননি।

ভোলা সদর থেকে প্রায় ৪০ কিলোমিটার পূর্ব-দক্ষিণে মেঘনা নদীর মধ্যে বিরোধপূর্ণ নেয়ামতপুর চরের অবস্থান। এখানে প্রায় ৪ হাজার একর জমি আবাদযোগ্য। আরও ২ হাজার একর জমি আছে গবাদিপশুর চারণভূমি হিসেবে। নেয়ামতপুর চরটি উপজেলার মেদুয়া ইউনিয়নের অংশ।

সিকস্তি ও পয়স্তি আইনে বলা হয়েছে, রেকর্ডীয় সম্পত্তি নদীতে ভেঙে যাওয়ার ৩০ বছরের মধ্যে জেগে উঠলে এবং খাজনা পরিশোধ থাকলে মালিকপক্ষ আদালতে মামলা করে জমির মালিকানা ফেরত পেতে পারে। চর নেয়ামতপুর মেঘনায় ভেঙে যাওয়ার পর জেগে ওঠা এ রকমই একটি ভূখণ্ড। তবে বিএনপি সরকারের সময় এই চর নিয়ে মামলা চলমান থাকা অবস্থায় ভূমিহীনদের (কার্ড হোল্ডার) জন্য জমি বন্দোবস্ত দেওয়া হয়। এই দুই পক্ষের মধ্যেই এখন চরের মালিকানা নিয়ে দ্বন্দ্ব-সংঘাত চলছে।

নেয়ামতপুর চর মালিক সমিতির সাধারণ সম্পাদক মো. বসির হাওলাদার বলেন- দৌলতখান উপজেলার ভবানীপুর ইউপির সাবেক চেয়ারম্যান গোলাম নবী নবু ও ভুট্ট পিটারের নেতৃত্বে ২০০-৩০০ লোক দা, বঁটি, আগ্নেয়াস্ত্র চালিয়ে চরের ৫০০ বস্তা সয়াবিন, ৮২টি ভেড়া, ৮টি ছাগল, ৪০০ হাঁস, ৫০টি মুরগিসহ ২৫ লাখ টাকার মালামাল লুট করে নিয়ে গেছেন।

কয়েকজন প্রত্যক্ষদর্শী বলেন, আজ দুপুরে দৌলতখান উপজেলার ভবানীপুর ইউনিয়ন পরিষদের (ইউপি) সাবেক চেয়ারম্যান গোলাম নবী নবু, ভুট্ট পিটারের নেতৃত্বে ২০০-৩০০ লোক ১২টি ট্রলারে এসে চরের লোকজনের ওপর সশস্ত্র হামলা চালান। হামলাকারীরা চরে উঠেই গুলি ছুড়তে থাকেন। যাঁকে সামনে পান, তাঁকে পিটিয়ে আহত করেন। এ সময় কৃষকের উঠান থেকে বস্তাভর্তি সয়াবিন, মাঠের চরা গরু, ভেড়া, ছাগল ও খামারের হাঁস-মুরগি লুট করে নিয়ে যান।

প্রত্যক্ষদর্শীরা আরও জানান, লুটপাট প্রতিরোধে কৃষকেরা একত্র হলে দুই পক্ষের সংঘর্ষ বাধে। চরবাসীর প্রতিরোধের মুখে হামলাকারীরা কৃষকদের লক্ষ্য করে ফাঁকা গুলি ছুড়ে পিছু হটতে বাধ্য হন। বেলা ২টা পর্যন্ত চলে এ হামলা, লুটপাট, সংঘর্ষ। এ সময় দুই পক্ষের ৩০ জন আহত হয়েছেন। আহত ব্যক্তিদের মধ্যে গুরুতর জখম ব্যক্তিদের ভোলা সদর হাসপাতালে চিকিৎসা দেওয়া হচ্ছে।

চরের সাধারণ কৃষকেরা জানান, জোতদারের লোকজনকে বার্ষিক টাকা দিয়ে জমি লগ্নি নিয়ে তাঁরা চাষাবাদ ও বসবাস করছেন। তাঁদের কষ্টার্জিত ফসল ও গবাদিপশু লুট করে নিয়ে গেছেন দৌলতখান ও ভোলার লোকজন। তাঁদের সব শেষ হয়ে গেছে। তাঁরা নিরাপত্তার জন্য চরে একটি পুলিশ ক্যাম্পের দাবি জানান।

এই ক্যাটাগরীর আরো খবর

ফেসবুক কর্নার

শিরোনাম
বিশ্বকাপে প্রথম ক্রিকেটার হিসেবে অনন্য কীর্রিকশাওয়ালা-দিনমজুররাও ফ্ল্যাটে থাকবে: প্রধআগামীতে কোনো প্রকল্পে ‘শেখ হাসিনা’ নাম না রাববি শিক্ষার্থীরা একদিন সারা দেশের নেতৃত্ব দেনায়ক সোহেল চৌধুরী হত্যা মামলায় আজিজ মোহাম্মদসারা বিশ্বে এমআর-৯, মুক্তি পাবে চীনেওভোলায় মেঘনার চরের দখল নিয়ে সংঘর্ষ ও গুলিবর্ষধান কাটার মৌসুমের কারণে ভোট কম পড়েছে: সিইসিফিলিস্তিনিদের দুর্দশা কমাতে দরকার মুসলিম দেছুরি-ব্লেড দিয়ে নিজেই অপারেশন করতেন মিল্টনপ্রয়োজনে শুক্রবারও ক্লাস: শিক্ষামন্ত্রীজনগণের আস্থাহীন সেনাবাহিনী রণাঙ্গণে জয়ী হতে শিক্ষকের বেতন ও শিক্ষার্থীদের ঝরে পড়া রোধে কউত্তাল নথুল্লাবাদআনারস ও মটর সাইকেল প্রার্থীর সমর্থকদের সংঘর্
%d