ভোলা প্রতিনিধি ॥ ভোলা সদর উপজেলায় এসএসসি ও সমমানের পরীক্ষার কেন্দ্র পরিদর্শক (ট্যাগ অফিসার) বিরুদ্ধে উদ্দেশ্য প্রণদিতভাবে বিনা অপরাধে রাজিয়া বেগম নামের এক পরীক্ষার্থীকে বহিষ্কার করেছেন বলে অভিযোগ উঠেছে। এতে করে ওই পরীক্ষার্থীর ভবিষ্যত অনিশ্চয়তার মধ্যে পরেছে বলে অভিযোগ করেন ওই শিক্ষার্থী। শনিবার বিকেলে ভোলার একটি পত্রিকা অফিসে সংবাদ সম্মেলন করে এ অভিযোগ করেন ওই পরীক্ষার্থী।
সংবাদ সম্মেলনে ভুক্তভোগী পরীক্ষার্থী রাজিয়া বেগম অভিযোগ করে বলেন, শনিবার এসএসসি ইসলাম ও নৈতিক শিক্ষা বিষয়ের পরীক্ষা চলাকালিন সময়ে ভোলা সদর উপজেলার হালিমা খাতুন গার্লস স্কুল এন্ড কলেজ কেন্দ্রে পরীক্ষা দিচ্ছিলেন। এসময় একটি প্রশ্ন দেখার জন্য পশের সিটের একজন পরীক্ষার্থী তার উত্তরপত্র নেয়ার চেষ্টা করে। কিন্তু সে উত্তরপত্রটি দিতে চাচ্ছিল না। পরে দু’জনে টানাটানি করতে গিয়ে উত্তরপত্রটি টেবিলের নিচে পড়ে যায়। এ মূহুর্তে কেন্দ্রের পরিদর্শক মো. শরিফুল ইসলাম উত্তরপত্রটি নিয়ে যায়। এক পর্যায়ে সে কেন্দ্র পরিদর্শককে বিষয়টি বলার পরেও সে কোনো কথা না শুনে উল্টো তাকে বহিষ্কার করে।
পরীক্ষার্থী আরো অভিযোগ করে বলেন, আমি পরীক্ষায় কোনা অসদুপায় অবলম্বন না করার পরেও আমাকে নিজের সেচ্ছাচারিতায় কেন্দ্র পরিদর্শক বহিষ্কার করেছে। যার কারনে আমার ভবিষ্যত এখন হুমকির মুখে। আমার বাবা-মা অতিদরিদ্র। আমি মুনুষের কাছ থেকে টাকা নিয়ে শুধু মাত্র বোর্ড ফি দিয়ে এবছর ফরম ফিলাপ করেছি। আগামী বছর যে আমি আবার ফরম ফিলাপ করবো যে অবস্থাও আমার নেই। তাই আমি এ ঘটনার তদন্তপূর্বক সমাধান দাবি করছি। সেই সাথে আমাদে বাকী পরীক্ষাগুলো দেয়ার সুযোগ দেয়ার জোর দাবি করছি।
এব্যাপারে অভিযুক্ত কেন্দ্র পরিদর্শক (ট্যাগ অফিসার) মো. শরিফুল ইসলাম বলেন, রাজিয়া বেগম তার মূল উত্তরপত্রটি অন্য টেবিলের একজন পরীক্ষার্থীকে দিয়ে দিয়েছে। আমি আসার পর ওই পরীক্ষার্থী উত্তরপত্রটি মাটিতে ফেলে দেয়। যা নকলের চেয়ে গুরুতর অপরাধ। আর এজনই তাকে বহিষ্কার করা হয়েছে। এঘটনায় ওই কক্ষের দুই কক্ষ পরিদর্শককেও বহিষ্কার করা হয়েছে।
হালিমা খাতুন গার্লস স্কুল এন্ড কলেজের কেন্দ্র সচিব মো. টিপু সুলতান বলেন, আমি ওই সময় আমার রুমে ছিলাম। তবে আমকে কেন্দ্র পরিদর্শক আমাকে জানিয়েছে ওই পরীক্ষার্থী তার উত্তরপত্র অন্য পরীক্ষার্থীকে দিয়েছে বিধায় এবছরের বাকী পরীক্ষায়গুলোর জন্য তাকে বহিষ্কার করা হয়েছে।
ভোলা সদর উপজেলা নির্বাহী অফিসার মো. কামাল হোসেন বলেন, বিষয়টি আমি শুনেছি। কক্ষ পরিদর্শক ও কেন্দ্রের সচিবের কাছ থেকে জেনে তদন্ত স্বাপেক্ষে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেয়া হবে।
Like this:
Like Loading...