বরিশাল ৯ই মে, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ | ২৬শে বৈশাখ, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ | ১লা জিলকদ, ১৪৪৫ হিজরি
সেই গোবিন্দের পক্ষে আদালতে দাড়ালেন প্রভাবশালী আইনজীবিরা
তিনদিনের রিমান্ড মঞ্জুর
স্টাফ রিপোর্টার \ বরিশাল শিক্ষা বোর্ডে উচ্চ মাধ্যমিকের খাতা কেলেংকারীর নায়ক গোবিন্দ চন্দ্র পালের পক্ষে আইনজীবি সমিতির প্রভাবশালী আইনজীবিরা আদালতে রিমান্ডের বিরোধীতা করেছেন বলে জানা গেছে। যদিও আদালত আসামীকে তিনদিনের রিমান্ড করে। গতকাল বরিশাল আদালতে তদন্তকারী কর্মকর্তা তার রিমান্ডের আবেদন জানালে আদালত উভয় পক্ষের শুনানী শেষে ৩ তিন দিনের রিমান্ড মঞ্জুর করে।
বরিশাল শিক্ষা বোর্ডের এইচ এস সি পরীক্ষার খাতা কেলেংকারীর মূল নায়ক গোবিন্দ ঘটনার পরপরই পালিয়ে যায় ভারতে। গত বৃহস্পতিবার বরিশাল আদালতে আত্ম সমার্পন করলে আদালত তাকে কারাগারে প্রেরণ করে। তদন্তকারী কর্মকর্তা তাকে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য ৫ দিনের রিমান্ড প্রার্থনা করলে গতকাল আদালততিন দিনের রিমান্ড মঞ্জুর করে। বরিশাল মেট্রোপলিটন মেজিষ্ট্রেট আদালতের বিচারক এ আদেশ দেন। তবে বরিশাল আইনজীবি সমিতির প্রভাবশালী কয়েকজন আইনজীবি তার পক্ষে রিমান্ডের বিরোধীতা করেন বলে জানা গেছে। বরিশাল শিক্ষা বোর্ডের পক্ষে রিমান্ডের আবেদন জানান এ্যাডঃ নাসির আহমেদ খান। উভয় পক্ষের শুনানীর পর বিচারক রিমান্ড মঞ্জুর করেন।
বরিশাল শিক্ষা বোর্ডের প্রতিষ্ঠা লগ্ন থেকে সব চেয়ে ন্যাক্কারজনক ঘটনা হল চলতি বছরে উচ্চ মাধ্যমিক পরীক্ষার থাতা কেলেংকারী। শিক্ষা বোর্ডের গোপনীয় শাখা থেকে খাতা বের করে বাইরে নিয়ে নতুন করে লিখে আবার বোর্ডে জমা দেয়র ঘটনাটি নিয়ে দেশ ব্যাপি তোলপাড় শুরু হয়। ২০১৯ সালের উচ্চ মাধ্যমিক পরীক্ষায় ফলাফল প্রকাশের সময় বিভিন্ন কেন্দ্রের ১৮ পরীক্ষার্থীর একই নম্বর পাওয়ার বিষয়টি প্রথমে কম্পিউটার বিভাগের নজরে আসে। ভিন্ন ভিন্ন কেন্দ্রের ১৮ পরীক্ষার্থীর খাতা নির্দিষ্ট একজন শিক্ষকের কাছে কিভাবে এল সে রহস্য খুজতে গিয়ে বেড়িয়ে পড়ে সাপ। এই ১৮ পরীক্ষার্থীর মধ্যে ৪জন ২০১৮ সালে উচ্চতর গনিতে ফেল করে। এদের মধ্যে কেউ পেয়েছিল ১ কেউবা ২ বা ৩। এবার তারা ৫০এর মধ্যে ৫০ পাওয়ায় সন্দেহ আরও জটিল হয়। অন্যদিকে বিভিন্ন কেন্দ্রের ১৮ পরীক্ষার্থীর খাতা একজন নির্দিষ্ট পরীক্ষকের কাছে কিভাবে গেল তা নিয়েই বোর্ড তোলপাড় শুরু হয়। কেলেংকারীর পর পরীক্ষা নিয়ন্ত্রক বাদি হয়ে গোবিন্দসহ ১৮ পরীক্ষার্থীর বিরুদ্ধে মামলা করেন। এ ঘটনার পরপরই গোবিন্দ দেশের বাইরে পালিয়ে যায়। এদিকে মামণাটি সিআইডিতে হস্তান্তর হয়। তদন্দের মাঝ পথেই আর ৫জনকে বহিস্কার করে বোর্ড। এর মধ্যে একজন বোর্ড কর্মচারী, অপর ৪জন লেবার হিসাবে কর্মরত ছিল। গোবিন্দ আত্ম সমার্পনের পরপরই মামলাটি নতুন মোড় নেয়। বোর্ডের কর্মকর্তা কর্মচারীরা আশা প্রকাশ করছেন জিজ্ঞাসাবাদে খাতা কেলেংকারীর মূল হোতাদের নাম বেরিয়ে আসবে।