বরিশাল ১৭ই মে, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ | ৩রা জ্যৈষ্ঠ, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ | ৯ই জিলকদ, ১৪৪৫ হিজরি
মো. সুজন মোল্লা,বানারীপাড়া।। প্রসাশন জানলেও তেমন কোন জোরদার অভিযান নেই বলে প্রতিনিয়ত বাধা জাল দিয়ে ঝাঁকে ঝাঁকে বিভিন্ন প্রজাতির মাছের পোনা বা রেনু নিধন করা হচ্ছে বলে অভিযোগ উঠেছে। আর বরাবরই প্রসাশনের পক্ষ থেকে বলা হচ্ছে অভিযান অব্যাহত আছে আরও জোরদার করা হবে। তবে তেমন কোনটিই করা হয় না বিধায় সন্ধ্যা নদীর বিশাল জায়গায় পাতা হচ্ছে নিষিদ্ধ বাধা জাল।
সরেজমিনে ঘুরে এমনই অভিযোগ পাওয়া গেলো কয়েকটি গ্রামের স্থানীয়দের কাছ থেকে। তারা জানান,বরিশালের বানারীপাড়া উপজেলার মাঝদিয়ে প্রবাহমান সন্ধ্যা ও এর শাখা নদীতে এক শ্রেণীর অসাধু জেলে নিষিদ্ধ ঘোষিত বাধা জাল দিয়ে বিভিন্ন প্রজাতির মাছের পোনা নিধনের মহোৎসবে মেতে রয়েছে। তবে এদিকে কোন
প্রকার নজরদারি নেই সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের। এমন অভিযোগ পাওয়া গেছে নদীর তীরবর্তী উপজেলার সদর ইউনিয়নের জম্বদ্বীপ, পৌরসভার ২ নং ওয়ার্ডের দক্ষিণ নাজিরপুর ও সৈয়দকাঠি
ইউনিয়নের নলশ্রী, মসজিদবাড়ি, তালাপসাদ, জিরারকাঠি, সলিয়াবাকপুর ইউনিয়নের খেজুরবাড়ি ও চাখার ইউনিয়নের মীরেরহাট গ্রামের বাসিন্দাদের কাছ থেকে। কখনও দিনের বেলা আবার কখনও রাতের আঁধারে নদীতে বাধা জাল দিয়ে প্রতিনিয়ত হাজার হাজার পোনা মাছ নিধন করে ‘গুড়া মাছ’ বলে প্রকাশ্যে হাট বাজারে আবার বাড়ি বাড়ি ফেরী করে বিক্রি করা হলেও উপজেলা প্রশাসন কিংবা উপজেলা মৎস্য দপ্তর এ ব্যপারে কার্যকরী কোন
পদক্ষেপ নিচ্ছেনা বলে অভিযোগ রয়েছে।অথচ তারা যথাযথ ব্যবস্থা নিলে পোনা মাছ গুলো রক্ষা
পেয়ে বড় মাছে পরিণত হয়ে স্থানীয় মৎস্য চাহিদা পূরণের পাশাপাশি দেশের বিভিন্ন স্থানেও পাঠানো যেত।
এ প্রসঙ্গে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা শেখ আব্দুল্লাহ সাদীদ জানান প্রায়ই জাল সহ জেলেদের আটক করে ভ্রাম্যমান আদালতে সাজা দেওয়া হচ্ছে,
অভিযান অব্যাহত রয়েছে এবং আরও জোরদার করা হচ্ছে।