বরিশাল ১৯শে মে, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ | ৫ই জ্যৈষ্ঠ, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ | ১১ই জিলকদ, ১৪৪৫ হিজরি
মো. সুজন মোল্লা, বানারীপাড়া।। বরিশাল থেকে
বরিশালের বানারীপাড়ায় ফেরীর পন্টুন থেকে পড়ে নিখোঁজ হওয়া জান্নাত (৬)’র লাশ ৩০ ঘন্টা পরে সন্ধ্যা নদীতে ভেসে উঠেছে। ১৪ মার্চ বিকেলে অসুস্থ জান্নাত মা-বাবার সাথে উপজেলার উদয়কাঠি গ্রাম থেকে চিকিৎসা নিতে বরিশালে গিয়েছিলো।
চিকিৎসা শেষে বাড়ি ফেরার পথে সন্ধ্যা সাড়ে ৭ টার দিকে বানারীপাড়া বন্দর বাজারের বড় খেয়াঘাট এলাকায় ফেরীর পন্টুনের একেবারে কিনারে (নদীর পাশে) মেয়েকে দাঁড় করিয়েছিলেন মা বাবা। নিয়তীর লেখা জন্মালে মৃত্যুর পেয়ালা গ্রহণ করতেই হবে। জান্নাতের নিয়তী ওখানেই শেষ ছিলো তাইতো অসুস্থ হওয়া সত্বেও তাকে নদীর পাশে পন্টুনের ওপরে দাঁড় করিয়েছিলেন মা বাবা। ওখান থেকেই সবার অগচরে নদীতে পাড়ে যায় শিশু জান্নাত। তার কিছুক্ষণ পরে মেয়েকে দেখতে না পেয়ে খোঁজাখোঁজি শুরু হয় বড় খেয়াঘাট এলাকাসহ বন্দর বাজারের সর্বত্র। পরে করা হয় মাইকিং। না পেয়ে খবর দেয়া হয় বানারীপাড়া ফায়ার সার্ভিস’কে, তারা এসে অনেক সময় নদীতে খোঁজ করার পরেও সন্দান পাননি জান্নাতের।
পরে বরিশাল ফায়ার সার্ভিস এসেও অনেক চেষ্টা করার পরেও ব্যর্থ হন তারা। ১৫ মার্চ রাত ১২টায়
যেখানে পড়ে ছিলো অবুঝ শিশু জান্নাত তার একটু পাশ থেকেই ভেসে ওঠে। স্থানীয়রা দেখতে পেয়ে পুলিশ ও ফায়ার সার্ভিসকে খবর দিলে তারা এসে নদী থেকে প্রাণহীণ জান্নাতকে উদ্ধার করে মা-বাবার কোলে তুলে দেন। মেয়েকে পেয়ে বুকে জড়িয়ে ধরে মা বাবার কান্নার দৃশ্য দেখে উপস্থিত কেউই অশ্রু সংবরণ করতে পারেননি। ১৬ মার্চ সকালে জান্নাতের নিজ বাড়িতে জানাযা শেষে পারিবারিক কবরস্থানে তাকে দাফন করা হয়। জান্নাত’র পিতা মো. জাহাঙ্গীর হোসেন শিয়ালকাঠি সড়কের অটোচালক।