বরিশাল ৮ই মে, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ | ২৫শে বৈশাখ, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ | ২৯শে শাওয়াল, ১৪৪৫ হিজরি
একের পর এক গুজব। থানকুনি পাতা, আদা। এরপর আমগাছের পাতায় মধু ঝড়ছে। এক সুহৃদ ফোন করে জানাল। ছুটে গেলাম বাইরে। । একটা আমগাছ আছে গেটের বাইরে। বৃস্টির দেখা নেই, অথচ গাছের পাতাগুলো ভিজে। একটা পাতা ছিড়তে গিয়ে আটা জাতীয় পদার্থে হাত জড়িয়ে গেল। হাতটা সেই সুহৃদের কথামত মুখে নিলাম। বেশ মিস্ট। ব্যাপার কি? আরো কয়েকটা পাতা ছিড়লাম। একই অবস্থা। আম পাতায় মধু। পুরো শহর জুড়ে এরই মধ্যে ছড়িয়ে পড়েছে, আম পাতায় মধু। হচ্ছে টা কি এ দেশে, চিৎকার করে বলে উঠল পাশের বাসার ভাবি। আপনার ঘরের আশেপাশে আমগাছ কি আছে?
ডিজিটাল তথ্য প্রযুক্তি ঘাটতে গিয়ে দেখা যায়। ২০১৭ সালের এপ্রিল মাসে ঈশ্বদীতে এমন একটি ঘটনা ঘটে। যা নিয়ে তখনকার সময় বিভিন্ন গণমাধ্যমে সংবাদও প্রকাশ হয়েছে।
একটি অনলাইন নিউজ পোর্টালে প্রচার হওয়া সংবাদে ঈশ্বরদী উপজেলার তৎকালিন কৃষি কর্মকর্তা খুরশিদ আলমের বরাত দিয়ে লেখা হয়েছে, ‘তাপমাত্রা বেড়ে যাওয়ায় আম গাছে শোষক পোকা নামে এক ধরনের ক্ষুদ্র ক্ষতিকারক পোকার আক্রমণের কারণে এটা হতে পারে। আম উৎপাদনের জন্য এটি উদ্বেগজনক।
নিউজটিতে ঈশ্বরদী আঞ্চলিক কৃষি গবেষণা কেন্দ্রের তৎকালিন প্রধান বৈজ্ঞানিক কর্মকর্তা আলতাব হোসেনের বরাত দিয়ে লেখা হয়েছে, ‘আম গাছের জন্য এটি একটি নতুন সমস্যা মনে হচ্ছে। গাছে শোষক পোকার উপদ্রব বেড়ে যাওয়ায় এ পরিস্থিতির সৃষ্টি হতে পারে।
এছাড়াও চাঁপাইনবাবগঞ্জে অবস্থিত আঞ্চলিক উদ্যানতত্ত্ব গবেষণা কেন্দ্রের (আম গবেষণা কেন্দ্র) তৎকালিন ঊর্ধ্বতন বৈজ্ঞানিক কর্মকর্তা জমির উদ্দিনের বরাত দিয়ে লেখা হয়েছে, ‘সমস্যাটি আম উৎপাদনের জন্য উদ্বেগজনক। তবে তাৎক্ষনিকভাবে তিনিও এর সঠিক উত্তর দিতে পারেননি।
তবে এটি পোকার আক্রমনে হতে পারে বলে তিনি ওই পত্রিকাটিকে জানিয়েছেন, এসব পোকা গাছের কচি পাতা ও ডগার রস খেয়ে ফেলে। সাধারণত ফেব্রুয়ারি ও মার্চ মাসে ওই পোকা বংশবৃদ্ধি করে। পোকার দেহ থেকে নিসৃত রস আঠালো ও মধুর মতো মিষ্টি মনে হয়। রসের কারণে আম ও গাছের পাতায় বিভিন্ন ছত্রাকজনিত রোগ তৈরির অনুকূল পরিবেশ সৃষ্টি হয়।
এতে গাছে বিভিন্ন ধরনের রোগ দেখা দেয়। এমনটি হলে গাছের আম কালো হয়ে আস্তে আস্তে তা শুকিয়ে ঝরে পড়ে। এ পোকার আক্রমণ গুটি বা ছোট আমের জন্য ঝুঁকিপূর্ণ। পোকা আক্রমণের সময়কে শুটি মৌল বলা হয়। বড় আমগাছে এ পোকার আক্রমণ কম হয়। ছোট গাছে প্রভাব পড়ে বেশি।