বরিশাল ২০শে মে, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ | ৬ই জ্যৈষ্ঠ, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ | ১২ই জিলকদ, ১৪৪৫ হিজরি
পটুয়াখালী প্রতিনিধিঃ পটুয়াখালীতে করোনা ভাইরাস কোভিড-১৯ সংক্রমন প্রতিরোধে সতর্কতার তৃতীয় দিন ২৮ মার্চ শনিবার মাঠে নেমেছে সেনাবাহিনীর সদস্যরা। করোনা ভাইরাস প্রতিরোধে আতঙ্কিত না হয়ে সতর্ক হউন, ঘরে থাকুন, অপ্রয়োজনে কেউ ঘরের বাহিরে যাবেন না প্রভৃতি শ্লোগান নিয়ে সেনাবাহিনীর একটি দল জীবাণুনাশক ঔষধ স্প্রে ও প্রচার মাইকিং করে জনগণকে সচেতন করেন।
সেনাবাহিনীর লেঃ কর্নেল শাহরিয়ার ও লেঃ সাকিব আহমেদ এর নেতৃত্বে ১৩ সদস্যের একটি সেনাবাহিনীর দল পটুয়াখালী জেলা শহরের বিভিন্ন গুরুত্বপুর্ন স্থানে জীবাণুনাশক ঔষধ স্প্রে করেন। ঔষধ স্প্রে’র পাশাপাশি প্রচার মাইকিং করে মানুষকে সচেতন করে । করোনা ভাইরাস থেকে মুক্ত থাকতে ঘরে থাকার জন্য এবং বাসায় সাবান ও হ্যান্ডস্যানিটাইন দিয়ে হাত ধুয়ে ভালো ভাবে রান্না করে খাবার তৈরীর জন্য আহবান জানান সেনা সদস্যের দল।
২৮ মার্চ শনিবার সকাল ১০ টায় উক্ত সেনাবাহিনীর দল পটুয়াখঅলীতে প্রবেশ করে দুমকী, বাউফল, দশমিনা ও গলাচিপা প্রচার কার্যক্রম পরিচালনা করে বিকেল তিন টায় জেলা শহরে প্রবেশ করে বিভিন্ন সড়ক এলাকায় করোনা ভাইরাস প্রতিরোধে সচেতনতামূলক ক্যাম্পেইনের মাধ্যমে বিভিন্ন কার্যক্রম পরিচালনা করেন। এ প্রচার কার্যক্রম অব্যাহত থাকবে বলে লেঃ কর্নেল শাহরিয়ার জানান।
এ ছাড়াও করোনা ভাইরাস সংক্রমন প্রতিরোধে ও রেড ক্রিসেন্ট পটুয়াখালী ইউনিটের চেয়ারম্যান খলিলুর রহমান মোহন মিয়া ও পটুয়াখালী পৌরসভার মেয়র মহিউদ্দিন আহমেদ এর নেতৃত্বে পৃথক পৃথকভাবে শহরের বিভিন্ন সড়ক, বাসাবাড়ি ও বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানে জীবানুনাশক ঔষধ ছিটানোর কাজ অব্যাহত রেখেছে। পুলিশ প্রশাসনও জেলায় হোম কোয়ারেন্টাইনে থাকা মানুষের খো*জ খবর নিচ্ছেন।
পটুয়াখালীতে করোনা সেল সূত্রে জানাগেছে, ১ মার্চ হতে ২৮ মার্চ পর্যন্ত বর্তমানে জেলায় হোম কোয়ারেন্টাইনে আছে ৩৬২ জন, ছাড়পত্র নিয়েছে (১৪দিন পুর্ন হয়েছে ) ২,৩২৬জন। করোনা ভাইরাস সংক্রমন প্রতিরোধে সরকারীভাবে ৮৫টি আইসোলেশন শয্যা প্রস্তুত রাখা হয়েছে। বিভিন্ন উপজেলায় ১২০ টি পিপিই সরবরাহ করা হয়েছে, মজুদ আছে ৮০টি। এছাড়া সংক্রমিত রোগী আনা-নেয়ার জন্য ৭টি এ্যাম্বলেন্স প্রস্তুত রাখা হয়েছে। ডাক্তার রয়েছে ৬৪ জন এবং নার্স ৭৭জনকে প্রস্তুত রাখা হয়েছে চিকিৎসার সেবা দেয়ার জন্য।