বরিশাল ১৯শে মে, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ | ৫ই জ্যৈষ্ঠ, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ | ১০ই জিলকদ, ১৪৪৫ হিজরি
মো. সুজন মোল্লা, বানারীপাড়া।। করোনা ভাইরাসের ভয়াল ছোবল থেকে বাঁচতে লক ডাউনে থাকতে গিয়ে অনেকদিন পেড়িয়ে আজ মধ্যবিত্ত পরিবার গুলো দিশেহারা হয়ে পড়েছেন। কেউ কেউ বলছেন তাদেরকে ফোন করলে মধ্যবিত্তদের বাড়িতে খাবার পাঠিয়ে দিবেন। যদি ফোন করেই খাবার চাইতে পারতো তবে ওই পরিবার গুলো কোন না কোন উপহার বা ত্রান যেটাই আপনারা বলেন সেই লাইনে দাঁড়িয়ে যেতেন। সেই রকম কোন কিছু করতে না পেরে মধ্যবিত্ত পরিবার গুলো আজ চরম এক হতাশার মধ্যে পড়ে গেছেন। যাদের খোঁজ-খবর কোন দপ্তর থেকেই নেয়া হচ্ছেনা। কেবলমাত্র সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে একটি পোষ্ট দিয়েই দায় সারার চেষ্টা করছেন অনেকেই। তবে ওই সব পরিবার গুলোর নাম প্রকাশ করতেও পারছি না
এই প্রতিবেদনে। যদি উপজেলা ব্যপী স্থানীয় চেয়ারম্যান, ইউপি সদস্য ও সংরক্ষীত নারী সদস্য’রা
পারেন সকাল হলে তাদের স্ব-স্ব এলাকায় ঘুরে ঘুরে এমন পরিবারের খোঁজ-খবর নিতে যারা আপনাদের
কাছে এর আগে আর কখনও কোন প্রকার সাহায্যের জন্য আসেননি। এটা করা আপনাদের
জনপ্রতিনিধি হিসেবে ধর্মীয় দায়িত্বও বটে। যারা আপনাদের কাছে কোনদিন আসেননি আজ
অনেকদিন লক ডাউন হওয়ায় তারা কিন্তু এক প্রকার ক্ষুধা ভাইরাসেও আক্রান্ত হয়ে পড়েছেন। ঘরে থেকে নোভেল কোভিট-১৯ করোনা ভাইরাসের সাথে আপোশ করতে গিয়ে অনেক পরিবার আজ
দিশেহারা হয়ে উঠেছেন। তাই এ যুদ্ধে রাষ্ট্র ছাড়াও সমাজের বিত্তবান’রা এগিয়ে আসুন আপনাদের সামর্থনুযায়ী। হয়ে যান একজন প্রকৃত খাদ্য যোগান যোদ্ধা। তবে ছবি তুলে বা প্রকাশ্যে নয় গোপনে ওই সব পরিবারে খাদ্য সরবরাহ করার সময় এখন এসে গেছে বলে অনেকেই মনে করছেন।