বানারীপাড়ায় কিশোরী শিক্ষার্থী হত্যাকান্ডের রহস্য উদঘাটন

ধর্ষণ নয়, গালি শোনায় রাগে শিশুটিকে চুবিয়ে হত্যা করে সাব্বির

  • আপডেট টাইম : জুলাই ০৯ ২০২০, ১৮:১৩
  • 711 বার পঠিত
ধর্ষণ নয়, গালি শোনায় রাগে শিশুটিকে চুবিয়ে হত্যা করে সাব্বির
সংবাদটি শেয়ার করুন....

বানারীপাড়া প্রতিনিধি ॥ বরিশালের বানারীপাড়ায় মাদ্রাসা ছাত্রী কিশোরী আয়েশা আক্তার (১৩) কে হত্যার ঘটনায় স্বিকারোক্তিমূলক জবারবন্দি দিয়েছে আটক সাব্বির। পরে লাশ গুম করতে সহায়তা করে তার বাবা। এ ঘটনায় একটি হত্যা মামলা া দায়ের করা হয়েছে। বুধবার দিবাগত রাতে নিহত কিশোরীর বাবা দুলাল লাহাড়ী বাদী হয়ে প্রতিবেশী সিদ্দিক মীর, তার ছেলে সাব্বির মীর ও সাইদ মীরকে নামধারী এবং আরও দু’জনকে অজ্ঞতনামা আসামী করে মামলাটি দায়ের করেন।
হত্যা মামলায় গ্রেফতার দেখিয়ে ওই তিন আসামিকে বৃহস্পতিবার দুপুরে আদালতের মাধ্যমে বরিশাল কেন্দ্রীয় কারাগারে প্রেরণ করা হয়েছে। তাছাড়া হত্যার ঘটনার সাথে সম্পৃক্ততা না থাকায় সাব্বির মীরের মা হনুফা বেগমকে ছেড়ে দেওয়া হয়েছে বলে জানিয়েছেন অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (বাকেরগঞ্জ সার্কেল) আনোয়ার সাঈদ এই তথ্য নিশ্চিত করেছেন।
এদিকে হত্যা মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা বানারীপাড়া থানার পুলিশ পরিদর্শক (তদন্ত) জাফর আহম্মেদ জানান, হত্যার রহস্য উদঘাটন হয়েছে।
আসামিদের দেওয়া স্বীকারক্তি অনুযায়ী মঙ্গলবার ১১টার দিকে আয়শা আক্তার প্রতিবেশী সিদ্দিক মীরের ঘরে টিভি দেখতে যায়। টিভি দেখা শেষে বাড়ি যাওয়ার সময় সিদ্দিক মীরের বাড়ির পরিত্যক্ত একটি ঘরের পিছনে খালের মধ্যে চুবিয়ে আয়শাকে হত্যা করে সাব্বির। পরের দিন বুধবার সকালে সিদ্দিক মীর বাড়ির পাশের ছোট খালে আয়শার লাশ জালের সাথে পেচানো অবস্থায় দেখতে পায় এবং সে ধারণা করে হয়তো তার ছেলেরা মেয়েটিকে ধর্ষণ করে হত্যা করেছে।
পরে সিদ্দিক ছেলেদের বাঁচাতে লাশটি গুম করার উদ্দেশ্যে পায়ে বালতি ও মেয়েটির ফ্রকের ভিতরে ইট ঢুকিয়ে বাড়ির অদূরে বড় খালে ডুবিয়ে দেয়। এসময় সিদ্দিক মীরের ছোট ছেলে সাইদ তার বাবাকে সহায়তা করে।
তিনি আরও জানান আয়শা প্রতিবেশী সিদ্দিক মীরের ঘরে প্রতিদিন গিয়ে টিভি দেখতো। আয়শার সঙ্গে একত্রে সাব্বিরও টিভি দেখতো। এ নিয়ে সাব্বিরের মা হনুফা বেগম তাকে গালমন্দ করায় আয়শার জন্য গালি শোনায় সে ক্ষিপ্ত হয়ে তাকে হত্যা করেছে বলে জিজ্ঞাসাবাদে জানায়।
প্রসঙ্গত, গত মঙ্গলবার সকাল ১১টার পর থেকে রহস্যজনকভাবে নিখোঁজ হয় মাদ্রাসা ছাত্রী আয়েশা আক্তার। অনেক খোঁজাখুজির পরে বুধবার সকালে কিশোরীর একটি জুতা খুঁজে পায় তার স্বজনরা। জুতার সূত্র ধরে সিদ্দিক মীর, তার স্ত্রী ও দুই ছেলেকে স্থানীয় ইউনিয়ন পরিষদ কার্যালয়ে ডেকে নেয় জনপ্রতিনিধি ও স্থানীরা।
জিজ্ঞাসাবাদে তারা কিশোরীকে হত্যা করে লাশ খালের পানিতে ডুবিয়ে দেওয়ার কথা স্বীকার করে। খবর পেয়ে বানারীপাড়া থানা পুলিশ ঘটনাস্থলে পৌঁছে ওই চারজনকে আটক করে। পরে তাদের দেখানো মতে খালে তল্লাশী করে বুধবার বিকাল সাড়ে ৫টার দিকে কিশোরীর মরদেহ উদ্ধার করে ফায়ার সার্ভিসের ডুবুরিরা।

এই ক্যাটাগরীর আরো খবর

ফেসবুক কর্নার

শিরোনাম
বিশ্বকাপে প্রথম ক্রিকেটার হিসেবে অনন্য কীর্রিকশাওয়ালা-দিনমজুররাও ফ্ল্যাটে থাকবে: প্রধআগামীতে কোনো প্রকল্পে ‘শেখ হাসিনা’ নাম না রাববি শিক্ষার্থীরা একদিন সারা দেশের নেতৃত্ব দেনায়ক সোহেল চৌধুরী হত্যা মামলায় আজিজ মোহাম্মদসারা বিশ্বে এমআর-৯, মুক্তি পাবে চীনেওভোলায় মেঘনার চরের দখল নিয়ে সংঘর্ষ ও গুলিবর্ষধান কাটার মৌসুমের কারণে ভোট কম পড়েছে: সিইসিফিলিস্তিনিদের দুর্দশা কমাতে দরকার মুসলিম দেছুরি-ব্লেড দিয়ে নিজেই অপারেশন করতেন মিল্টনপ্রয়োজনে শুক্রবারও ক্লাস: শিক্ষামন্ত্রীজনগণের আস্থাহীন সেনাবাহিনী রণাঙ্গণে জয়ী হতে শিক্ষকের বেতন ও শিক্ষার্থীদের ঝরে পড়া রোধে কউত্তাল নথুল্লাবাদআনারস ও মটর সাইকেল প্রার্থীর সমর্থকদের সংঘর্
%d