বরিশাল ১৯শে মে, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ | ৫ই জ্যৈষ্ঠ, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ | ১১ই জিলকদ, ১৪৪৫ হিজরি
বরগুনা প্রতিনিধি :
বরগুনায় পরিবার কল্যাণ পরিদর্শিকা নার্গিস সুলতানা অশ্রুর রহস্যজনক মৃত্যুর ঘটনায় বড় ভাইয়ের দায়ের করা আত্মহত্যার প্ররোচনার মামলায় স্বামী স্কুলশিক্ষক রেজবুল হায়দার হিরুকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ।
শুক্রবার বরগুনা পৌর শহরের আমতলাপাড় এলাকার নিজ ঘরে গলায় ফাঁস দিয়ে আত্মহত্যা করেন নার্গিস সুলতানা অশ্রু।
তিনি বরগুনা মা ও শিশু কল্যাণ কেন্দ্রে পরিবার কল্যাণ পরিদর্শিকা হিসেবে কর্মরত ছিলেন।
স্থানীয়রা জানায়, প্রায় প্রতিদিন এই বাসার স্বামী-স্ত্রীর মধ্যে ঝগড়া হতো।
নির্যাতনের ঘটনাও ঘটতো।
পুলিশ ও নিহতের স্বজনদের সূত্রে জানা যায়, বরগুনা পৌর শহরের আমতলা পাড় এলাকায় স্ত্রী নার্গিস সুলতানা অশ্রু ও সন্তানদের নিয়ে ভাড়া বাসায় থাকতেন তালতলী উপজেলার ছোট বগী পিকে মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের সহকারী শিক্ষক রেজবুল হায়দার হিরু।
দীর্ঘদিন ধরে বিভিন্ন বিষয় নিয়ে স্বামী-স্ত্রীর মধ্যে পারিবারিক অশান্তি ছিল। প্রায় সময় মারধর করা হতো অশ্রুকে। নির্যাতন সহ্য করতে না পেরে শুক্রবার দুপুরের পর পর তিনি গলায় ফাঁস দিয়ে আত্মহত্যা করেন বলে অভিযোগ অশ্রুর পরিবারের।
শুক্রবার দুপুর ২টার দিকে পুলিশ লাশ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তরে জন্য বরগুনা জেনারেল হাসপাতালের মর্গে পাঠায় পুলিশ। শনিবার ময়নাতদন্ত শেষে লাশ স্বজনদের কাছে হস্তান্তর করা হয়েছে।
এদিকে এ ঘটনায় নিহতের বড় ভাই গোলাম সরোয়ার মিরণ বাদী হয়ে স্বামী স্কুল শিক্ষক রেজবুল হায়দার হিরুকে আসামি করে আত্মহত্যার প্ররোচনায় অভিযোগে একটি মামলা করেছেন।
পুলিশ ঘটনার দিন স্বামীকে আটক করে জিজ্ঞাসাবাদ শেষে শনিবার তাকে মামলায় গ্রেপ্তার দেখিয়ে আদালতের মাধ্যমে তাকে কারাগারে পাঠান।
এ বিষয়ে নিহত নার্গিস সুলতানা অশ্রুর বড় ভাই গোলাম সরোয়ার মিরণ বলেন, দীর্ঘদিন ধরে আমার বোনের স্বামী তাকে শারীরিক ও মানসিক নির্যাতন করে আসছিলেন অবশেষে আর সহ্য করতে না পেরে আমার বোন আত্মহত্যা করে। আমার বোনের মৃত্যুর জন্য হিরুই দায়ী।
বরগুনা সদর থানার ওসি (তদন্ত) ও মামলার তদন্ত কর্মকর্তা শহিদুল ইসলাম খান বলেন, লাশের ময়নাতদন্ত রিপোর্ট হাতে আসলে জানতে পারবো এটি হত্যা না আত্মহত্যা। এছাড়াও ইতোমধ্যেই আমরা এ ঘটনার তদন্ত শুরু করেছি।