বরিশাল ১৭ই মে, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ | ৩রা জ্যৈষ্ঠ, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ | ৯ই জিলকদ, ১৪৪৫ হিজরি
শামীম আহমেদ ॥ চট্রগ্রাম থেকে ৮ বছর পূর্বে গুম হয়ে যাওয়া বরিশাল সরকারী বিএম কলেজ ছাত্রদল নেতা ও বিসিসি (১৯) নং ওয়ার্ড সভাপতি ফিরোজ খান কালু ও তার সহদর সরকারী বরিশাল কলেজ ছাত্রদল নেতা মিরাজ খানের মাতা ফিরোজা বেগমকে কেন্দ্রীয় বিএনপি ভাইস চেয়ারম্যান তারেক রহমান ও বরিশাল মহানগর বিএনপি’র পক্ষ থেকে শান্তনা ও আর্থিক
সহযোগীতা প্রদান করা হয়।
রবিবার (৩০ই) আগস্ট কেন্দ্রীয় বিএনপি নেতাকর্মী নিখোঁজ গুম ও হত্যা হওয়ায় সারাদেশে বিএনপি কর্তৃক ঘোষিত গুম দিবস উপলক্ষে নিখোঁজ নেতাদের বাসায় বাসায় গিয়ে তাদের স্বজনদের খোঁজ-খবর নেয়া ও শান্তনা দেন বিএনপি নেতৃবৃন্দ। সকাল ১১ টায় বিএনপি ভাইস চেয়ারম্যান তারেক রহমান ও বরিশাল মহানগর বিএনপি’র পক্ষ থেকে আর্থিক সহযোগীতা প্রদান করা হয়।
এসময় উপস্থিত ছিলেন বরিশাল মহানগর বিএনপি সাধারন সম্পাদক জিয়া উদ্দিন সিকদার জিয়া, সিনিয়র সহ-সভাপতি মনিরুজ্জামান খান ফারুক, রফিকুল ইসলাম (রুনু) সরদার, মহানগর বিএনপি যুগ্ম সম্পাদক সৈয়দ আকবর হোসেন, মহানগর যুবদল সাধারন সম্পাদক মাসুদ হাসান মামুন,সহ-সভাপতি সাজ্জাদ পারভেজ, আসাদুজ্জামান তৌহিদ,মহানগর শ্রমিকদল সাধারন সম্পাদক ফয়েজ আহমেদ খান, মহানগর স্বোচ্ছাসেবকদল সহ-সভাপতি জাহিদুল ইসলাম সমির,সাংগঠনিক সম্পাদক
রাসেদুজ্জামন রাসেদ,মহানগর ছাত্রদল সম্পাদক হুমাউন কবীর সহ বিভিন্ন অঙ্গ সংগঠনের নেতৃবৃন্দ।
এ সময় ফিরোজ খাঁন কালু মিরাজের মাতা ফিরোজা বেগম গণ মাধ্যমের সামনে কান্না কন্ঠে বলেন, আজ আমি বেঁচে থেকেও মরার মত বেঁচে আছি। এর চেয়ে আমার মরন ভাল ছিল। আজ পর্যন্ত জানতে পারলাম না। আমার ছেলেরা বেঁচে আছে কিনা। একবার যদি শুনে যেতে পারতাম আমার মৃত্যুর পূর্বে ছেলেরা বেঁছে আছে। তিনি আরো বলেন শুনেছি প্রধানমন্ত্রী স্বজন হারানো ব্যাথায় ব্যাথিত। তাহলে অন্য মায়ের স্বজন হারানো কান্না তার কানে গিয়ে পৌছায় না।
অপরদিকে বরিশাল মহানগর বিএনপি (ভারপ্রাপ্ত সাধারন সম্পাদক জিয়া উদ্দিন সিকদার বলেন, বর্তমান সরকারের শাষন আমলে আমাদের বিএনপি ও অঙ্গগঠন সহ সারাদেশে যেসকল নেতা-কর্মী গুম নিখোঁজ হয়েছে তাদের খুজে বেড় করার দায়ীত্ব সরকার প্রধান সহ প্রশাসনিক কর্মকর্তাদের। আজ পর্যন্ত সরকারের পক্ষ থেকে একটিও নিখেঅঁজ ব্যাক্তিদের সন্ধান সরকারের কোন দপ্তর থেকে দিতে না পারার কারনেই বিএনপি সারাদেশে গুম-নিখোঁজ দিবস পালন করে আসছে। এই গুম দিবস উপলক্ষে আমাদের দুই সহকর্মী ৮ বছর পূর্বে গুম হয়েছে এ উপলক্ষে নিখোঁজ সহকর্মীর মাকে সহ মর্মিতা ও শান্তনা দিতে এসেছি।
উল্লেখ্য ২০১২ সালের ২৪ই আগস্ট ফিরোজ খাঁন কালু ও তারই সহদর মিরাজ খান ৩ই এপ্রিল চট্রগাম থেকে গুম হয়ে যায় যা আজ পর্যন্ত তাদের কোন সন্ধান পাওয়া যায়নি।