বরিশাল ২০শে মে, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ | ৬ই জ্যৈষ্ঠ, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ | ১২ই জিলকদ, ১৪৪৫ হিজরি
ধর্ষণের পর হত্যা করে নদীতে ফেলে দেওয়ার সাতদিন পর পটুয়াখালীর রাঙ্গাবালী উপজেলার বঙ্গোপসাগরে ভাসমান অবস্থায় শিশু লামিয়ার (১২) অর্ধগলিত লাশ উদ্ধার করেছে পুলিশ। শুক্রবার (১৩ জানুয়ারি) দুপুর আড়াইটার দিকে সাগর থেকে লাশটি তীরে আনা হয়। পরে পরিবারের লোকজন লামিয়ার লাশ শনাক্তের পর ময়নাতদন্তের জন্য মর্গে পাঠানো হয়।
বিষয়টি নিশ্চিত করে রাঙ্গাবালী থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. নুরুল ইসলাম মজুমদার বলেন, ‘রূপারচর সংলগ্ন শীবচর থেকে প্রায় ২০ কিলোমিটার দূরের গভীর সাগর থেকে লাশটি উদ্ধার করা হয়। ময়নাতদন্ত শেষে লাশ পরিবারের কাছে হস্তান্তর করা হবে।’
এর আগে গত ৬ জানুয়ারি সন্ধ্যায় উপজেলার চরমোন্তাজ ইউনিয়নের সাগরপাড় বাজার থেকে ফেরার পথে নিখোঁজ হয় শিশু লামিয়া। পরদিন ৭ জানুয়ারি দুপুরে চরআন্ডা সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় এলাকার একটি পুকুর পাড় থেকে শিশুটির জুতা-ওড়না পড়ে থাকতে দেখে স্থানীয়রা। ঘটনার সঙ্গে জড়িত সন্দেহে আল আমিন নামের এক অটোরিকশাচালককে আটক করে পুলিশ। প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে আল আমিন শিশুটিকে অপহরণ করে ধর্ষণের পর শ্বাসরোধে হত্যা ও লাশ গুম করতে বুড়াগৌরাঙ্গ নদীতে ফেলে দেওয়ার কথা স্বীকার করেন।
চরমোন্তাজ পুলিশ তদন্ত কেন্দ্রের ইনচার্জ সজল কান্তি দাস বলেন, ‘লাশ উদ্ধারকালে শিশুর গায়ে থাকা জামা এবং তাকে যে চাদর দিয়ে পেঁচিয়ে ফেলা হয়েছিল সেগুলো পাওয়া যায়। জেলেরা লাশটি সাগরে ভাসতে দেখে খবর দেয়