দুই ওসিকে দায়ী করে চিরকুট লিখে ঝাড়ুদারের আত্মহত্যা

  • আপডেট টাইম : জুন ০৬ ২০২৩, ০৪:১৮
  • 199 বার পঠিত
দুই ওসিকে দায়ী করে চিরকুট লিখে ঝাড়ুদারের আত্মহত্যা
সংবাদটি শেয়ার করুন....

‘আমি নির্দোশ। আমার মৃত্যুর জন্য দায়ী ইন্দুরকানী থানার ওসি এনামুল হক আর পিরোজপুর সদর থানার ওসি আবির হোসেন। আমি ইন্দুরকানী থানার ওসির টাকা চুরি করি নাই। আমাকে ফাঁসানো হয়েছে। আমার মৃত্যুর পর পোস্টমর্টেম না করে আমাকে মামার বাড়িতে দাফন করবেন’ মৃত্যুর আগে এরকমই একটি চিরকুট লিখে গেছেন পিরোজপুর সদর থানায় কর্মরত ঝাড়ুদার আল মামুন (৪০)।
সোমবার (৫ জুন) সকালে পিরোজপুরের ইন্দুরকানী উপজেলার গাবগাছিয়া গ্রামের একটি বাজারে বিষপানের পর রাতে ঢাকা নেওয়ার পথে মামুন মারা যান। একই গ্রামের আবুল কালাম শেখের ছেলে মামুন প্রায় ১০ বছর ইন্দুরকানী থানায় ঝাড়ুদারের চাকরি করার পর দুই মাস হলো পিরোজপুর সদর থানায় বদলি হয়ে আসেন। তবে তিনি বাড়ি থেকে পিরোজপুরে এসে তার দায়িত্ব পালন করতেন।
মামুনের স্ত্রী মরিয়ম বেগম জানান, তার স্বামী মামুন রোববার বিকেলে বাড়িতে ফেরার পর তাকে খুবই বিমর্ষ দেখাচ্ছিল। তাকে অনেক বার জিজ্ঞাসা করার পর সে জানান যে, মসজিদ থেকে একটি জায়নামাজ চুরির অভিযোগে পিরোজপুর সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আবির মোহাম্মদ হোসেন তাকে গালমন্দ ও শারীরিকভাবে লাঞ্চিত করেছেন।
এ ঘটনায় মামুন কোনো অঘটন ঘটাতে পারে এই আশঙ্কায় পরিবারের সদস্যরা পুরো বিকেল এবং রাতেও তাকে পাহারা দিয়েছে। তবে মামুন সকালে বাজারে গিয়ে আগাছা নিধনের ওষুধ কিনে তা পান করে। এরপর স্থানীয়রা দ্রুত মামুনকে ইন্দুরকানী উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে যায়।
সেখান থেকে তাকে পিরোজপুর জেলা হাসপাতালে এবং পরবর্তীতে বরিশাল শের-ই-বাংলা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নিয়ে ভর্তি করা হয়। সেখানে তার শারিরীক অবস্থার অবনতি হওয়ায়, দ্রুত তাকে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নিয়ে রওনা হয় স্বজনরা। এরপর পথে সন্ধ্যা ৭টার দিকে মামুনের মৃত্যু হয়।
মামুনের স্ত্রী অভিযোগ করে আরও বলেন, ইন্দুরকানী থানায় থাকাকালীন ওই থানার ওসি এনামুল হক আমার স্বামীর উপর বিভন্নভাবে নির্যাতন করত। এমনকি সে পিরোজপুর সদর থানায় যাওয়ার পরও ইন্দুরকানী থানার ওসি ওই থানার ওসির কাছে তার স্বামীর বিরুদ্ধে আজেবাজে কথা বলেছে যাতে সেখানেও আমার স্বামী নির্যাতিত হয়।
এ বিষয়ে জানার জন্য যোগাযোগ করা হলে ইন্দুরকানী থানা পুলিশের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) এনামুল হক বলেন, আমাদের থানায় কোনো ঝামেলা ছিল না। সে তিনমাস আগে বদলি হয়েছে। তার স্ত্রীর সঙ্গে একটু ঝামেলা ছিল, সেটা নিয়ে তাদের শান্ত থাকতে বলেছি। কর্তৃপক্ষ অফিসিয়াল সিস্টেমে তাকে বদলি করেছিল। তার আত্মহত্যার বিষয়ে আমরা কিছু জানি না।
অন্যদিকে পিরোজপুর সদর থানা পুলিশের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আবির মোহাম্মদ হোসেন জানান, থানায় চুরি কিংবা মামুনকে গালমন্দ ও মারধরের কোনো ঘটনা ঘটেনি। তবে মামুনের আত্মহত্যার বিষয়টি জেনেছেন বলে জানান পিরোজপুরের পুলিশ সুপার মোহাম্মদ সাঈদুর রহমান।
পুলিশ সুপার আরও জানান, মামুন এ বিষয়ে আগে কখনো তার কাছে কোন অভিযোগ করেনি। চিরকুটের বিষয়টি তদন্ত করে দেখা হবে। মামুন ও মরিয়ম দম্পতির আফসানা আক্তার মীম নামের ১৬ বছর বয়সী একটি মেয়ে এবং আব্দুল্লাহ আল কাওসার নামে ৮ বছর বয়সী একটি ছেলে রয়েছে।

এই ক্যাটাগরীর আরো খবর

ফেসবুক কর্নার

শিরোনাম
সারা বিশ্বে এমআর-৯, মুক্তি পাবে চীনেওভোলায় মেঘনার চরের দখল নিয়ে সংঘর্ষ ও গুলিবর্ষধান কাটার মৌসুমের কারণে ভোট কম পড়েছে: সিইসিফিলিস্তিনিদের দুর্দশা কমাতে দরকার মুসলিম দেছুরি-ব্লেড দিয়ে নিজেই অপারেশন করতেন মিল্টনপ্রয়োজনে শুক্রবারও ক্লাস: শিক্ষামন্ত্রীজনগণের আস্থাহীন সেনাবাহিনী রণাঙ্গণে জয়ী হতে শিক্ষকের বেতন ও শিক্ষার্থীদের ঝরে পড়া রোধে কউত্তাল নথুল্লাবাদআনারস ও মটর সাইকেল প্রার্থীর সমর্থকদের সংঘর্মিল্টন সমাদ্দার গ্রেপ্তার, উজিরপুরে মিষ্টি বআমাকে উৎখাত করলে পরবর্তীতে কে আসবে, প্রশ্ন প্আইপিএল ছেড়ে দেশে ফিরতে হবে মুস্তাফিজকে!ইডেনের গ্যালারিতে বসেই ধূমপান, প্রবল সমালোচনআরো ১১৮ বুদ্ধিজীবীর তালিকা দিল মুক্তিযুদ্ধ ম
%d