বরিশাল ৮ই মে, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ | ২৫শে বৈশাখ, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ | ২৯শে শাওয়াল, ১৪৪৫ হিজরি
পিরোজপুরের নাজিরপুর উপজেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক আশুতোষ বেপারীর (৪৬) আপত্তিকর ছবি ও ভিডিও সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ভাইরাল হয়েছে। যা নিয়ে এলাকাজুড়ে চলছে তোলপাড়।
যেখানে দেখা গেছে, মদ হাতে আওয়ামী লীগ নেতা আশুতোষ বেপারী। তার পাশে দুই নারী। তারা সবাই বিবস্ত্র।
আশুতোষ বেপারী শুধু আওয়ামী লীগ নেতাই নন, তিনি উপজেলার দীর্ঘা ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান। ওই ইউনিয়নের কুমারখালী গ্রামের মৃত জগদ্বীশ বেপারীর ছেলে তিনি।
সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে নগ্ন ছবি ও ভিডিও ভাইরালের বিষয়টিকে যড়যন্ত্র বলে দাবি করেছেন ইউপি চেয়ারম্যান আশুতোষ।
তিনি বলেন, এসব আমাকে নিয়ে ষড়যন্ত্র। এ নিয়ে এর চেয়ে বেশি কিছু বলতে চাই না।
স্থানীয় আওয়ামী লীগ নেতাদের সঙ্গে কথা বলে জানা গেছে, আশুতোষের এমন কাণ্ড নতুন নয়। এর আগেও তার আপত্তিকর ছবি-ভিডিও ভাইরাল হয়েছে।
তার বিরুদ্ধে বিয়ের প্রলোভনে একাধিক নারীকে ধর্ষণেরও অভিযোগ আছে। এদের মধ্যে এক নারীকে বিয়ের প্রলোভনে সাত বছর ধরে ধর্ষণের পর বিয়ে না করায় ওই নারী আত্মহত্যা করেন।
আওয়ামী লীগ নেতারা জানান, ইউপি চেয়ারম্যান আশুতোষ পরিষদের একটি কক্ষে নিয়মিত মদের আসর বসান। সেখানে একাধিক নারী নিয়ে আসেন তিনি।
উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি ও উপজেলা চেয়ারম্যান মো. মোশারেফ হোসেন খান বলেন, ‘সাধারণ সম্পাদক আশুতোষ বেপারীর এমন মদ ও নারী কেলেঙ্কারি নতুন নয়।
সে ইউনিয়ন পরিষদের একটি কক্ষে বসে এসব করত। এ নিয়ে তার বাবার সঙ্গে ঝামেলা ছিল। এর আগে আমি (উপজেলা চেয়ারম্যান) ও ওই ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সভাপতি সুনিল হালদার এ বিষয়ে ওই বাড়িতে গিয়ে তার বাবার সঙ্গে ঝামেলা মিট করে দিই। তখন তিনি (আশুতোষ) দুই-তিন মাসের মধ্যে বিয়ে করবে বলে অঙ্গীকার করেছিল।’
তিনি আরো বলেন, ‘সে আমার কমিটির সাধারণ সম্পাদক। বিষয়টি নিয়ে দারুণ লজ্জা লাগছে।’ এ বিষয়ে নিউজ না করার জন্যও অনুরোধ করেন উপজেলা চেয়ারম্যান। কালের কন্ঠ থেকে