বরিশাল ৬ই সেপ্টেম্বর, ২০২৫ খ্রিস্টাব্দ | ২২শে ভাদ্র, ১৪৩২ বঙ্গাব্দ | ১৪ই রবিউল আউয়াল, ১৪৪৭ হিজরি
বরগুনা প্রতিনিধি : বরগুনার বামনা থানার মধ্যে জুয়া খেলায় পুলিশের এক কর্মকর্তাসহ দুইজনকে প্রত্যাহার করা হয়েছে। প্রত্যাহার হওয়া ওই দুই পুলিশ সদস্য হলেন, বামনা থানায় কর্মরত সহকারী উপ-পরিদর্শক (এএসআই) মো. হুমায়ুন এবং কনেস্টবল সুমন মাহমুদ। শনিবার রাতে তাদের প্রত্যাহার করে বরগুনা পুলিশ লাইনে সংযুক্ত করা হয়েছে।
জানা যায়, এএসআই মো. হুমায়ুন এবং কনেস্টবল সুমন মাহমুদের থানার মধ্যে জুয়া খেলার দু’টি ছবি শনিবার রাতে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ফেসবুকে ছড়িয়ে পড়ে। এরপরই তাদের প্রত্যাহার করে পুলিশ লাইনে সংযুক্ত করা হয়।
এ বিষয়ে প্রত্যাহার হওয়া পুলিশ কর্মকর্তা মো. হুমায়ুন মুঠোফোনে মানবজমিন প্রতিবেদক কে বলেন, “অস্বীকারেরতো কিছু নেই! আমরা অনেক আগে নিজেরা ব্যারাকে দুষ্টামি করেছিলাম। আমাদের নিজেদের ভিতরের একজনে সেই সময়ে গোপনে ছবি তুলে রেখেছিল এবং তা এখন প্রকাশ হয়েছে।” জুয়া খেলার এ ঘটনা অনেক আগের জানিয়ে হুমায়ুন বলেন, “এজন্য আমাকে থানা থেকে প্রত্যাহার করে পুলিশ লাইনে সংযুক্ত করা হয়েছে।”
এদিকে থানার মধ্যে পুলিশ সদস্যদের এমন কর্মকান্ডের ছবি ছড়িয়ে পড়ায় ব্যাপক আলোচনা সমালোচনা শুরু হয়েছে। থানার মধ্যে জুয়া খেলে যেসব পুলিশ সদস্য পুরো পুলিশ বাহিনীর ভাবমূর্তি ক্ষুন্ন করেছেন- কেউ কেউ তাদের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির দাবি জানিয়েছেন। আবার কেউ কেউ বলেছেন, এ ঘটনার ছবি যারা ফেসবুকে প্রকাশ করেছে তাদেরও আইনের আওতায় আনা উচিত।
এ বিষয়ে বামনা উপজেলা নাগরিক কমিটির সভাপতি ওবায়দুল কবীর দুলাল বলেন, অভিযুক্ত পুলিশ সদস্যরা এ ঘটনাকে অনেক আগের বলে অবহিত করতে চাইলেও, তাশ খেলার সময় তাদের পাশে হ্যান্ড সেনিটাইজার দেখে বোঝা যায়, ঘটনাটি অতিসম্প্রতির। তিনি আরো বলেন, থানার মধ্যে টাকার বিনিময়ে তাশ খেলা যেমন অন্যায়, তেমনি এ ঘটনায় বাহিনীটিরও ভাবমুর্তি ক্ষুন্ন হয়েছে ব্যাপকভাবে। তাই এ ঘটনার দায় বামনা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মর্কতা এড়াতে পারেন না।
বামনা থানার ওসি এস এস মাসুদুজ্জামান বলেন, ইতোমধ্যেই এ ঘটনার তদন্ত শুরু করেছেন পুলিশের উর্ধ্বতন কর্মকর্তারা। তদন্ত শেষে তারা এ বিষয়ে যথাযথ ব্যবস্তা গ্রহণ করবেন।
এ বিষয়ে বরগুনার পুলিশ সুপার মারুফ হোসেন বলেন, জুয়া খেলার ছবি প্রকাশিত হওয়া ওই দুই পুলিশ সদস্যকে ইতোমধ্যেই থানা থেকে প্রত্যাহার করা হয়েছে। এছাড়াও তাদের বিরুদ্ধে বিভাগীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করা হচ্ছে বলেও জানান তিনি।