বরিশাল ৪ঠা সেপ্টেম্বর, ২০২৫ খ্রিস্টাব্দ | ২০শে ভাদ্র, ১৪৩২ বঙ্গাব্দ | ১১ই রবিউল আউয়াল, ১৪৪৭ হিজরি
মোঃ নাসিরউদ্দিন, গলাচিপা (পটুয়াখালী) প্রতিনিধিঃ পটুয়াখালীর গলাচিপায় প্রধানমন্ত্রীর ঘরের আশায় অসহায় পরিবারটি স্বপ্ন বুনছে। উপজেলার গোলখালী ইউনিয়নের মধ্য হরিদেবপুর গ্রামের আলো রানী (৫৫) এর পরিবার অসহায় জীবনযাপন করছে। অন্যের বাড়িতে আশ্রিত থেকে চলছে তাদের বসবাস। জানা যায়, গোলখালী ইউনিয়নের দুই নম্বর ওয়ার্ডের বৈষ্ণব দাসের স্ত্রী আলো রানী। তার পরিবারের সদস্য সংখ্যা পাঁচজন। সন্তানদেরকে নিয়েই তারা ভবিষ্যতের স্বপ্ন দেখছে। কিš‘ আলো রানীর স্বামী বৈষ্ণব দাসের একমাত্র আয়ে সংসার চলছে খুব কষ্ট করে। তাদের সন্তানদের লেখাপড়া করানো অসম্ভব হয়ে পড়েছে। বৈষ্ণব দাস অন্যের বাড়ীতে দিনমজুর কাজ করে। এ বিষয়ে বৈষ্ণব দাস জানান, আমার জন্মের পরেই দারিদ্রতা আমাদের নিত্য সঙ্গী। আশা ছিলো ছেলেটা আমার সাথে সংসারের হাল ধরবে। কিš‘ ছেলেটা বিবাহ করে আলাদা থাকে আমাদের খোজখবর নেয় না। এখন আমি একা অসহায় হয়ে পড়েছি। আমি অসু¯’ থাকলে ঘরের উনুন জলে না। সে দিন না খেয়ে থাকতে হয়। আমার দুই শতাংশ জায়গা থাকলেও টাকার অভাবে তাতে ঘর তোলা হয় নি। তাই বাধ্য হয়ে অন্যের ঘরে আশ্রিত হিসেবে থাকি। কিš‘ নিজের ঘর না থাকলে তো পরাধীন ব্যক্তির মতো মনে হয় নিজেকে। তাই মাননীয় প্রধানমন্ত্রী জননেত্রী শেখ হাসিনার একটি ঘর পেলে বাকি জীবনটা সুখে কাটাতে পারতাম। অন্য মানুষের বাড়িতে আর কতদিন থাকবো। এ বিষয়ে বৈষ্ণব দাসের স্ত্রী আলো রানী জানান, আমার স্বামীর রোজগারে আমাদের সংসার চলে। থাকি অন্য মানুষের বাসায়, খুব কষ্টে। অন্য মানুষের বাড়িতে থাকি বলে প্রায় সময়ই তাদের কথা শুনতে হয়। আমারকে যদি সরকারীভাবে একটি ঘর দিত তাহলে আমরা সরকারের কাছে চির ঋণী থাকতাম। এ বিষয়ে গোলখালীর হরিদেবপুর মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের শিক্ষিক বিল্পব রায় বলেন, বৈষ্ণব দাসের পরিবার অনেক কষ্ট করেন। তাদের পরিবার মানবেতর জীবন যাপন করছেন। সরকারীভাবে তাদেরকে একটি ঘর দিলে পরিবারটির অনেক উপকার হবে। গোলখালী ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সভাপতি খালেক মাস্টার বলেন, আলো রানীর দুই শতক জমি থাকলেও নিজের কোনো ঘর নেই। সরকারীভাবে একটি ঘর তারা প্রাপ্য। এ বিষয়ে ইউপি সদস্য রবিউল মৃধা বলেন, আমার ওয়ার্ডে ওদের মত অসহায় খুব কম লোকই আছে। বাপ-দাদার দুই শতক জমি আছে। টাকা না থাকায় সেখানে কোনো ঘর তুলতে পারে নাই। তাদের একটি ঘর খুব প্রয়োজন। গোলখালী ইউপি চেয়ারম্যান নাসিরউদ্দিন হাওলাদার বলেন, আলো রানীর পরিবার আসলেই অসহায়। তার স্বামী অন্য মানুষের কাজ করে জীবিকা নির্বাহ করছে। সরকারীভাবে আলো রানীর পরিবার একটি ঘর পেলে তারা সুন্দরভাবে জীবন যাপন করতে পারবে।