বরিশাল ৬ই সেপ্টেম্বর, ২০২৫ খ্রিস্টাব্দ | ২২শে ভাদ্র, ১৪৩২ বঙ্গাব্দ | ১৪ই রবিউল আউয়াল, ১৪৪৭ হিজরি
স্টাফ রিপোর্টার ॥ কোন শব্দই যেন গতকালকের ফাইনানের জন্য যুৎসই ছিল না। পরতে পরতে ছিল উত্তেজনা। মেসির দুই গোলের পর এমবাপের হ্যাট্রিক। কি ছিল না ম্যাচটিতে। লিওনেল মেসির কাঁধে ছিল প্রত্যাশার পারদ। অসাধারণ ক্যারিয়ারের দুর্দান্ত সমাপ্তি, ৩৬ বছরের শিরোপা খরা ঘোচানোর সঙ্গে থেমে যাওয়া আর্জেন্টাইন কিংবদন্তিদের স্বপ্ন পূরণের ভার ছিল তার ওপর। জোড়া গোল করে নিজের কাজটা তিনি করেছেনও। কিন্তু রঙ জমা ম্যাচে কামব্যাকের গল্প লিখেছেন একজন তরুণ কিলিয়ান এমবাপ্পে। তার হ্যাটট্রিকে ১২০ মিনিটের ম্যাচ ৩-৩ গোলের সমতায় শেষ হয়। টাইব্রেকারের লড়াইয়ে ফ্রান্সকে ৪-২ গোলে জিতে চ্যাম্পিয়ন হয়েছে মেসির আর্জেন্টিনা। মেসির শেষ বিশ্বকাপটা রাঙ্গিয়ে নিল শিরোপা জয়ের মাধ্যমে।
লুসাইল স্টেডিয়ামে অনুষ্ঠিত বিশ্বকাপ ফাইনালের শুরু থেকেই আক্রমণাত্বক ফুটবল খেলছিল আর্জেন্টিনা। পঞ্চম মিনিটে তারা প্রথম শট নেয়। ২৩তম মিনিটে এগিয়ে যায় মেসি বাহিনী। ডি বক্সের ভেতর আনহেল দি মারিয়াকে উসমান দেম্বেল ফাউল করায় পেনাল্টি দিয়েছিলেন রেফারি। সফল স্পট কিকে দলকে এগিয়ে দেন লিওনেল মেসি। চলতি আসরে এটি মেসির ষষ্ঠ গোল। ৩৬তম মিনিটে পাল্টা আক্রমণ থেকে ব্যবধান দ্বিগুন করেন আনহেল ডি মারিয়া। মাঝমাঠ থেকে মেসির বাড়ানো বল ধরে হুলিয়ান আলভারেস পাস দেন আলিস্তেরকে। তার পাস বক্সে বাঁ দিকে ফাঁকায় পেয়ে কোনাকুনি শটে লক্ষ্যভেদ করেন ডি মারিয়া।
বিরতির পর দুই দলই পাল্টাপাল্টি আক্রমণ করে যাচ্ছিল। ৬৪তম মিনিটে ডি মারিয়াকে তুলে আকুনিয়াকে নামান স্কালোনি। শেষদিকে ম্যাচে আসে নাটকীয় মোড়। ৮০তম মিনিটে পেনাল্টি থেকে ব্যবধান কমান কিলিয়ান এমবাপ্পে। পরের মিনিটেই এই তরুণ তারকার অসাধারণ এক গোলে ম্যাচে ফিরে সমতা। যোগ করা সময়ের ৬ষ্ঠ মিনিটে বক্সের বাইরে থেকে মেসির বুলেট গতির শট কর্নারের বিনিময়ে ফেরান হুগো লরিস। ৯০ মিনিট ২-২ সমতায় শেষ হলে ম্যাচ গড়ায় অতিরিক্ত সময়ে।
অতিরিক্ত সময়ের প্রথমার্ধের শেষ মুহূর্তে একদম ফাঁকায় বল পেয়েও গোলবারের বাইরে মারেন লাউতারো মার্টিনেজ। ১০৮ মিনিটে আর্জেন্টিনার ত্রাতা হন মেসি। তার চোখ ধাঁধানো গোলে স্কোরলাইন হয় ৩-২। মেসির আলতো ছোঁয়া ঠেকিয়েছিলেন ফ্রান্সের এক ডিফেন্ডার, কিন্তু তখন তিনি ছিলেন গোলপোস্টের ভেতর! ১১৭ তম মিনিটে পেনাল্টি পায় ফ্রান্স। স্পটকিক থেকে আবারও ম্যাচে সমতা ফেরান কিলিয়ান এমবাপ্পে। বিশ্বকাপ ফাইনালে এটাই প্রথম হ্যাটট্রিক। অতিরিক্ত সময় ৩-৩ সমতায় শেষ হলে টাইব্রেকারে হয় শিরোপার ফয়সলা।