বরিশাল ১৬ই সেপ্টেম্বর, ২০২৫ খ্রিস্টাব্দ | ১লা আশ্বিন, ১৪৩২ বঙ্গাব্দ | ২৪শে রবিউল আউয়াল, ১৪৪৭ হিজরি
মো.সুজন মোল্লা, বানারীপাড়া।। ভয়াবহ মরণঘাতী বৈশ্বিক কোভিড-১৯’র আগ্রাসী মনোভাবের জন্য এবারের ঈদ আগেকার ঈদেরমতো ততটা রঙ্গিন ছিলোনা। আগেকার ঈদ আর ২০২০ সালের ২৫ মে’র ঈদের মধ্যে কোনদিক দিয়েই মিলও খুঁজে পাওয়া যায়নি। ছিলোনা আনন্দ ও উল্লাসে পরিপূর্ণ। এ বাড়ি থেকে অন্য বাড়ি যাওয়া হয়নি কারও। তবে স্বল্পহারে স্বজন থেকে স্বজনদের বাড়িতে আসা যাওয়া হয়েছে। তার মধ্যেও ছিলো চরম হতাশা আর উৎকন্ঠা ও ভয়। না জানি কি হয়। সব মিলিয়ে কোন দিক দিয়েই পূর্ণতা পায়নি মুসলিম উম্মার সবচেয়ে বড় ধর্মীয় উৎসব পবিত্র ঈদুল ফিতরের দিনটি। হয়নি ঈদগাহে ঈদের জামাত। হয়নি হৃদয়ে হৃদয় জড়ানো। এ যেন এক অন্য রকম ঈদ। সড়কে সড়কে ছিলোনা চলন্ত গাড়ির দীর্ঘ লাইন ও ঈদের আনন্দে ঘুরতে বের হওয়া রঙ্গিন পোশাকের কিশোর কিশোরীর সরব উপস্থিতি। পাড়া মহল্লার কানায় কানায় বাঁজতে শোনা যায়নি রমজানেরই রোজা শেষে এলো খুশির ঈদ ইসলামিক সঙ্গীত। এক প্রকার সবার মধ্যেই ছিলো বৈশ্বিক কোভিড-১৯’র আতঙ্ক। যা কিছু হয়েছে সেটা ছিলো অত্যন্ত সাদা-কালো। যেমন নতুন পোশাক বিকিকিনি। বেশির ভাগ পরিবারই এক প্রকার বাধ্য হয়ে শপিংমল বা মার্কেটে বের হয়েছেন সংসারের শিশু এবং কিশোরদের জন্য নতুন পোশাকের খোঁজে। কারণ শিশু এবং কিশোর বয়সের সন্তানরা বুঝতে চায়না ঈদ তবে নতুন জামা-জুতা মনোহরী সাজ হবেনা,এটা কি করে হয়। হতে হবে বাহারী মুখ-রোচক খানাপিনাও আর এটাই তারা বরাবরই মন দিয়ে চেয়ে থাকে। তাই মৃত্যুর ঝুঁকি নিয়েও বাড়ি ছেড়ে মার্কেটে আসতে হয়েছে অনেককে। আবার অনেককে দেখা গেছে তারা সখ করে মার্কেটে বের হয়েছেন। এদের সংখ্যাও কিন্তু কমতি ছিলোনা। এতো কিছুর পরেও সম্পূর্ণ পূর্ণতায় অনেক ঘাটতি ছিলো এই ঈদ উৎসবে। যেমন চাঁদ রাতে সকল প্রকার দোকান-পাট বন্ধ। করোনা কাল ছাড়া আগে যেটা কেউ কোনদিন দেখেনি। তবে বেঁচে থাকার প্রয়োজনে সেটাও দেখতে হয়েছে। আসি প্রকৃতির কথায় ফ্যাকাসে ও হৃদমহীন এই ঈদে সেও ছিলো অনেকটা নিশ্চুপ,সকাল থেকেই তার হাসিটা (ঝলমলে সূর্যের হাসির) তেমনটা দেখা মেলেনি। তবে ছিলো মিষ্টি মৃদূল বাতাস। সব মিলিয়ে প্রকৃতি সেইদিন সৃষ্টির সেরা জীবের আনন্দ উৎসবে তার বিরূপ মনোভাব প্রকাশ করেনি। তবে সরব নয় ছিলো অনেকটা নিরব। তাইতো প্রজাপতিও সেইদিন হয়তো তার ডানা মুক্ত আকাশে প্রসারিত করেনি। সবই আল্লাহর ইশারাই হয়।