বরিশাল ১৫ই সেপ্টেম্বর, ২০২৫ খ্রিস্টাব্দ | ৩১শে ভাদ্র, ১৪৩২ বঙ্গাব্দ | ২২শে রবিউল আউয়াল, ১৪৪৭ হিজরি
পটুয়াখালী প্রতিনিধিঃ পূর্ব শত্রুতার জের ধরে লকডাউনে আটকে পড়া গার্মেন্টস কর্মীকে হত্যার উদ্দেশ্যে পিটিয়ে রক্তাক্ত জখম করেছে বখাটে মাদকসেবী সন্ত্রাসীরা। এ ঘটনাটি ঘটেছে পটুয়াখালী সদর উপজেলার কালিকাপুর ইউনিয়নের ডিবুয়াপুর গ্রামের গাজী বাড়ি রোড এলাকায়। এ ব্যাপারে মামলার প্রস্তুতি চলছে।
২৫০ শয্যা বিশিস্ট পটুয়াখালী হাসপাতালে চিকিৎসারত মোঃ শামীম ও তার স্বজনরা জানান, প্রতিবেশী আয়ুব আলি সিকদার ও আফজাল
সিকদার গংদের সাথে মৃত অবসর প্রাপ্ত পুলিশের কনস্টেবল আঃ বারেক ঘরামী এর ছেলে কবির ঘরামী, শাহিন ঘরামী ও শামীম ঘরামীগংদের সাথে
জমিজমা নিয়ে মামলা মোকদ্দমা চলমান অবস্থায় বিরোধ চলে আসছিল। এ অবস্থায় ঈদুল ফিতরের ৭-৮ দিন আগে মৃত অবসর প্রাপ্ত পুলিশের
কনস্টেবল আঃ বারেক ঘরামী এর ছেলে শামীমের সাথে বিরোধী পক্ষের আয়ুব আলী সিকদারের ছেলে শাকিব এর সাথে সামান্য কারনে হাতাহাতি হয়। এ সময় শাকিবের বাবা আয়ুব আলী সিকদার ও চাচা আফজাল সিকদার ঘটনস্থলে গিয়ে শামীমকে চর থাপ্পর মারে। ঘটনারদিন শামীম ঘরামী (২৮) ২৬ মে মঙ্গলবার রাত আনুমানিক পৌনে
১০টার সময় সাবেক ইউপি চেয়ারম্যান কাঞ্চন মুন্সির বাড়ির সামনে মজিবর সিকদারের চায়ের দোকানে টিভি দেখে বাড়ি ফেরার পথে গাজী
বাড়ি সড়কে পৌছলে সেখানে ওৎপেতে থাকা বিরোধী পক্ষের আয়ুব আলী সিকদার ও আফজাল সিকদারের ইন্দনে আয়ুব আলী সিকদারের ছেলে
হাসান সিকদার, রাকিব সিকদার, শাকিব এবং তাদের ভাগ্নে মিরাজ ও রিয়াজ এবং শাকিবের খালাতো ভাই আপনগং হকিস্টিকসহ দেশী তৈরী
লাঠি সোটা ও দেশী তৈরী ধাড়ালো অস্ত্রশস্ত্র নিয়ে শামীমকে হত্যার উদ্দেশ্যে উপুর্যপরি পিটিয়ে ও লাথি, ঘুষি মেরে রক্তাক্ত জখম করে ধরে নিয়ে
যাওয়ার চেষ্টা করে। এ সময় শামীম জীবন বাঁচার জন্য দৌড়ে বাড়িতে গিয়ে জীবন রক্ষা করে। এ সময় শামীমের ভাইয়েরা কেঊ বাড়িতে ছিলনা।
খবর পেয়ে শামীমের ভাই রেন্টকার গাড়ির ড্রাইভার শাহিনসহ অন্যান্যভাইরা বাড়িতে এসে শামীমকে ২৫০ শয্যা বিশিস্ট পটুয়াখালী হাসপাতালে ভর্তি করে। শামীম হাসপাতালের ব্যাথার যন্ত্রনায় কাতরাচ্ছে। এ ঘটনায় মামলার প্রস্তুতি চলছে বলে আহত শামীমের ভাই শাহিন জানান।