বরিশাল ৬ই সেপ্টেম্বর, ২০২৫ খ্রিস্টাব্দ | ২২শে ভাদ্র, ১৪৩২ বঙ্গাব্দ | ১৪ই রবিউল আউয়াল, ১৪৪৭ হিজরি
হাসপাতালের বিছানায় মৃত্যুর কাছে হেরেই গেলেন সাবেক জাতীয় ফুটবলার গোলাম রাব্বানী হেলাল। মস্তিস্কে রক্তক্ষরণ হলে ২৮ মে রাজধানীর স্কয়ার হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছিল তাঁকে। তখনই ডাক্তারা বলেছিলেন ফিরে আসার সম্ভাবনা একেবারেই ক্ষীণ। শেষ পর্যন্ত আর ফিরে এলেন না হেলাল। আজ বেলা ১২টার দিকে চলে গেলেন না ফেরার দেশে।
তাঁর দীর্ঘদিনের বন্ধু সাবেক গোলরক্ষক মেহেদি হাসান বাবলু গতরাতেই বলেছিলেন, হেলালের বেঁচে থাকার সম্ভাবনা নেই বললেই চলছে। অলৌকিক কিছুর আশায় ছিলেন। কিন্তু তা হলো না। পৃথিবীকে চির বিদায় জানালেন সত্তর-আশির দশকে এই নামী ফুটবলার। মৃত্যুর সময় কাছের দুই একজন বন্ধু ছাড়া পাশে ছিল না কেউই। বাবুল জানালেন, বাদ আসর হেলালের নামাজে জানাজা হবে বাফুফের ভবনের সামনে।
কিছুদিন ধরেই তিনি অসুস্থ ছিলেন। কিডনি সমস্যায় ব্যাংককে চিকিৎসা নেন। সেই থেকে ডায়ালাইসিস চলছিল ৬৩ বছর বয়সী এই ফুটবলারের। বৃহস্পতিবার সকালেই তাঁর ডায়ালাইসিস নিতে হাসপাতালে যাওয়ার কথা ছিল। হাসপাতালে গেলেন তবে সেটা হলো তাঁর শেষ যাওয়া।
গোলাম রাব্বানী হেলাল উঠে আসেন বরিশাল থেকে। ১৯৭৫-১৯৮৮ পর্যন্ত ঢাকা আবাহনীতে খেলেন। হয়ে উঠেন ‘আবাহনীর হেলাল।’ মাঝে আড়াই মাস বিজেএমসিতে কাটানো ছাড়া ক্যারিয়ারটা উৎসর্গ করেন আবাহনীতেই। আবাহনীর পরিচালক, ম্যানেজার…কত পরিচয় ছিল তাঁর!
ঢাকায় এশীয় যুব ফুটবল দিয়ে জাতীয় স্তরে খেলা শুরু ১৯৭৮ সালে। মূল জাতীয় দলে খেলেন ১৯৭৯-১৯৮৫ পর্যন্ত। ১৯৮২ সালে আবাহনী-মোহামেডান ম্যাচে গোলমাল হয়েছিল। সেটার সূত্র ধরে আবাহনীর চার ফুটবলারকে জেলে নেওয়া হয়। যার মধ্যে ছিলেন গোলাম রাব্বানী হেলাল। বাকি তিনজন কাজী সালাউদ্দিন, আশরাফ উদ্দিন চুন্নু ও কাজী আনোয়ার। বাকি তিনজন আজ সঙ্গী হারা হয়ে গেলেন।