বরিশাল ১৭ই সেপ্টেম্বর, ২০২৫ খ্রিস্টাব্দ | ২রা আশ্বিন, ১৪৩২ বঙ্গাব্দ | ২৪শে রবিউল আউয়াল, ১৪৪৭ হিজরি
স্টাফ রিপোর্টার / লঞ্চ চলাচল শুরু ঘোষণার প্রথম দিনেই স্বাস্থ্যবিধি উপেক্ষা করে কয়েক হাজার মানুষ যাত্রা করে ঢাকার উদ্দেশ্যে করে। পরিস্থিতি বেগতিক দেখে সন্ধ্যা সাড়ে ৭টার আগেই তিনটি লঞ্চ ঘাট ত্যাগ করতে বাধ্য করেছে প্রশাসন।
এদিকে সীমিত পরিসরে লঞ্চ চলাচল শুরু করলেও প্রতিটি লঞ্চে সরকার নির্ধারিত স্বাস্থ্যবিধি পূর্ণাঙ্গভাবে মানতে দেখা যায়নি। ঢাকাগামী একটি মাত্র লঞ্চে যাত্রীদের শরীরের তাপমাত্রা মাপার যন্ত্র ব্যবহার করতে দেখা গেলেও বাকিগুলোতে করা হয়েছে শুধু হাত স্প্রের ব্যবস্থা।তবে অভ্যন্তরীণ রুটের ছোট লঞ্চগুলোতে এর কোন ব্যবস্থায় করা হয়নি। তাছাড়া সামাজিক দূরত্বও দেখা যায়নি ঢাকামুখি লঞ্চগুলোতে। এমন পরিস্থিতিতে করোনা ভাইরাসের সংক্রমণ আরও ভয়াবহভাবে ছড়িয়ে পড়ার আশংকা করছেন সচেতন মহল।তবে বিকাল ৪টার পর থেকেই বরিশাল-ঢাকা নৌ-রুটের লঞ্চগুলোতে যাত্রীদের ভিড় বাড়তে থাকে। এমনকি সন্ধ্যা ৭টা না বাজতেই প্রতিটি লঞ্চের দ্বিতীয় এবং তৃতীয় তলার ডেকে যাত্রীতে পরিপূর্ণ হয়ে যায়। ডেকে যায়গা না পাওয়া যাত্রীরা কোন মতে ঢাকা পৌঁছাবার লক্ষ্যে জায়গা করে নেন কেবিন ব্লকের বারান্দায়। এর ফলে লঞ্চগুলোতে করোনাভাইরাসের সংক্রম কয়েকগুন বেড়ে যাওয়ার শংকা সৃষ্টি হয়।দুপুর থেকে বরিশাল নদীবন্দরে থাকা তিনটি লঞ্চে ভিড় একটু একটু বাড়তে থাকে। বিকেল গড়াতেই লঞ্চগুলোতে ছিল উপচেপড়া ভিড়। প্রতিটি লঞ্চের ধারণ ক্ষমতার দেড় থেকে দুইগুণ যাত্রী ওঠানো হয়। বিআইডব্লিউটিএর বন্দর কর্মকর্তা আজমল হুদা মিঠু নিজে মাইকিং করলেও তাতে কর্ণপাত করেনি কোনো যাত্রী।
একপর্যায়ে বরিশাল জেলা প্রশাসনের নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট জিয়াউর রহমান র্যাব সদস্যদের নিয়ে নদী বন্দরে পৌঁছান। তিনি অবস্থা দেখে ডেকের ফটক বন্ধের নির্দেশ দেন। তিনটি লঞ্চেরই ফটক বন্ধ করা হয়।