বরিশাল ১৭ই সেপ্টেম্বর, ২০২৫ খ্রিস্টাব্দ | ২রা আশ্বিন, ১৪৩২ বঙ্গাব্দ | ২৫শে রবিউল আউয়াল, ১৪৪৭ হিজরি
কোনও হাসপাতাল-ক্লিনিকে চিকিৎসাহীন অবস্থায় কেউ মারা গেলে তা ফৌজদারি অপরাধ বলে মন্তব্য করেছেন হাইকোর্ট। তাই চিকিৎসা অবহেলায় কেউ জড়িত হলে তাদের বিরুদ্ধে আইনি ব্যবস্থা গ্রহণের নির্দেশ দিয়েছেন সর্বোচ্চ আদালত।
সোমবার (১৫ জুন) বিচারপতি এম. ইনায়েতুর রহিমের নেতৃত্বাধীন ভার্চুয়াল হাইকোর্ট বেঞ্চ এসব আদেশ দেন।
আদালতে রিটের পক্ষে শুনানিতে ছিলেন রিটকারী আইনজীবী এএম জামিউল হক, মো. নাজমুল হুদা, মোহাম্মাদ মেহেদী হাসান এবং ব্যারিস্টার একেএম এহসানুর রহমান।
এর আগে গত ১৩ জুন করোনা পরিস্থিতির মধ্যে সাধারণ রোগীদের চিকিৎসা নিশ্চিত করতে সরকারি নির্দেশনার বাস্তবায়ন চেয়ে হাইকোর্টে রিট দায়ের করা হয়। এছাড়া রিটে সরকারি নির্দেশনা না মেনে করোনা পরিস্থিতির মধ্যে সাধারণ রোগীদের চিকিৎসা না দিয়ে ফেরত পাঠানোর ঘটনায় জড়িতদের বিরুদ্ধে কী ধরনের ব্যবস্থা গ্রহণ করা হয়েছে, তা জানতে চাওয়া হয়। সুপ্রিম কোর্টের চার আইনজীবী জনস্বার্থে এই রিট দায়ের করেন। তারা হলেন অ্যাডভোকেট এএম জামিউল হক, মো. নাজমুল হুদা, মোহাম্মাদ মেহেদী হাসান এবং ব্যারিস্টার একেএম এহসানুর রহমান।
রিট আবেদনে বলা হয়, করোনা পরিস্থিতির মধ্যে করোনা বা অন্যান্য রোগের উপসর্গ নিয়ে দেশের সরকারি-বেসরকারি হাসপাতাল ও ক্লিনিক ঘুরে ঘুরে মানুষ চিকিৎসার অভাবে মারা যাচ্ছেন। ওই পরিস্থিতি উপলব্ধি করতে পেরে ১১ মে দেশের সব হাসপাতাল ও ক্লিনিকে আগত রোগীদের ফেরত না পাঠিয়ে চিকিৎসাসেবা নিশ্চিত করতে নির্দেশনা জারি করে সরকারের স্বাস্থ্য অধিদফতর। ওই নির্দেশনা অমান্য করলে তাদের বিরুদ্ধে লাইসেন্স বাতিলসহ প্রয়োজনীয় শাস্তিমূলক ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে বলেও স্বাস্থ্য অধিদফতর থেকে জানানো হয়।
রিটে সরকারের নির্দেশনা সত্ত্বেও কেন সাধারণ রোগীদের চিকিৎসা ছাড়াই ফেরত পাঠানো হয়েছে, তা জানতে চেয়ে রুল জারির আর্জি জানানো হয়। এছাড়া ওই নির্দেশনা বাস্তবায়নে বিবাদীর ব্যর্থতা কেন বেআইনি ও আইনগত কর্তৃত্ববহির্ভূত হবে না, রুলে তাও জানতে চাওয়া হয়। রুল শুনানিকালে সরকারের নির্দেশনা মেনে সব হাসপাতাল-ক্লিনিকে সাধারণ রোগীদের চিকিৎসা নিশ্চিত করতে বলা হয়। পাশাপাশি এখন পর্যন্ত ওই নির্দেশনা ভঙ্গের অভিযোগে জড়িতের বিরুদ্ধে কী কী ব্যবস্থা গ্রহণ করা হয়েছে, রিটে তাও জানতে চাওয়া হয়।
রিটে স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণ মন্ত্রণালয় সচিব, অতিরিক্ত সচিব (হাসপাতাল) এবং উপ সচিব, স্বাস্থ্য অধিদফতরের মহাপরিচালক ও পরিচালককে বিবাদী করা হয়।