কুয়াকাটা সৈকত যেন এখন গাছের ধ্বংসস্তুপ - The Barisal

কুয়াকাটা সৈকত যেন এখন গাছের ধ্বংসস্তুপ

  • আপডেট টাইম : জুন ১৮ ২০২০, ১৭:২৭
  • 733 বার পঠিত
কুয়াকাটা সৈকত যেন এখন গাছের ধ্বংসস্তুপ
সংবাদটি শেয়ার করুন....

সূর্যোদয় ও সূর্যাস্তের পর্যটন স্পট গঙ্গামতি সৈকত এখন কেবলই গাছের ধ্বংসস্তুপ। সুপার সাইক্লোন আম্পানের তাণ্ডবে লণ্ডভণ্ড হয়ে গেছে সংরক্ষিত বনাঞ্চল। ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে ম্যানগ্রোভ প্রজাতির গাছ। ঢেউয়ের তাণ্ডবে উপড়ে গেছে অসংখ্য ঝাউ গাছ।

সৈকতের বনাঞ্চলে অনেক গাছ এখন মরতে শুরু করেছে। গাছের মূলে বালু জমে ও লবণ পানিতে বিবর্ণ হয়ে গেছে গাছের কাণ্ড ও পাতা। আম্পানের দীর্ঘ সময় চলা ঝড়ো বাতাসে গাছগুলোর এমন দশা হয়েছে। এ কারণে উদ্বিগ্ন হয়ে পড়েছে এ বনাঞ্চল সংলগ্ন পরিবারগুলো।

স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, পর্যটন কেন্দ্র কুয়াকাটার জিরো পয়েন্ট থেকে প্রায় পাঁচ কিলোমিটার পূর্ব দিকে গঙ্গামতির সৈকতের অবস্থান। সবুজ প্রকৃতিতে ঘেরা ঠিক যেন ছবির মতো সাজানো গোছানো ছিল। যেন প্রকৃতির সবুজ দেয়াল। আম্পানের ঝড়ের তাণ্ডবে সেই প্রকৃতির সবুজ দেয়াল এখন বিলীন হয়ে গেছে। যে কয়টি গাছ উঁচু হয়ে দাঁড়িয়ে আছে, তাও মরতে শুরু করেছে।

বিশেষজ্ঞরা বলছেন, আম্পানের দীর্ঘ সময় ধরে চলা ঝড়ো বাতাস ও সামুদ্রিক লবণ পানির স্থায়ী জলাবদ্ধতার কারণে গাছের শ্বাসমূল শোষণ করায় গাছগুলো মরে যাচ্ছে।

জানা গেছে, প্রতিবছর ঘূর্ণিঝড় ও সমুদ্রের প্রচণ্ড ঢেউয়ের আঘাতে ক্ষতিগ্রস্থ হচ্ছে বনাঞ্চল। বিশেষ করে ২০০৭ সালের ১৫ নভেম্বর প্রলয়ংকারী ঘূর্ণিঝড় ‘সিডর’ এবং ২০০৯ সালের ২৫ মে ঘূর্ণিঝড় ‘আইলা’র তাণ্ডব থেকে এই বন উপকূলকে রক্ষা করেছে। সেই দুর্যোগে বড় ধরণের ক্ষতির শিকার হয়েছিল বিস্তীর্ণ বনাঞ্চল। বনের ক্ষয়ক্ষতির পাশাপাশি বন্যপ্রাণীর ক্ষতি হয়েছে অনেক।

গঙ্গামতির বনাঞ্চল সংলগ্ন বাসিন্দা সেলিম মিয়া বলেন, এলাকা রক্ষায় দেয়াল হিসেবে কাজ করেছে সৈকত লাগোয়া সংরক্ষিত বনাঞ্চল, ম্যানগ্রোভ বন ও সবুজ বেষ্টনী। এখন সেই বন নেই।

একই এলাকার মোস্তফা বেপারী বলেন, আম্পানের ঝড়ো বাতাসের তোড়ে সমুদ্র ঘেষা গাছগুলো যেন মুড়িয়ে দিয়েছে। ঘূর্ণিঝড় সিডর, আইলা, নারগিস, মোহাসেনসহ বড় বড় ঝড়কে মোকাবেলা করেছে এ বনাঞ্চল। বনাঞ্চল ছিলো বলেই ধুলাসার ও লতাচপলী ইউনিয়নের কয়েক হাজার পরিবার রক্ষা পেয়েছে।

জেলে হানিফ ফরাজি বলেন, গত ৫/৬ বছর ধরে এ বন বিলীন হতে চলেছে। সবচেয়ে বেশি ক্ষতি হয়েছে আম্পানের ঝড়ো হাওয়ায়। সৈকত সংলগ্ন বাগানে বিভিন্ন প্রজাতিার গাছ উপড়ে গেছে।

পরিবেশবিদরা বলেছেন, বন ও বনের গাছ পরিবেশ রক্ষায় বিশেষ ভূমিকা রাখছে। প্রতিবছর ঘূর্ণিঝড়ের কবলে যেভাবে বন ও সবুজ বেষ্টনী ধ্বংস হচ্ছে, এর ফলে পরিবেশের ওপর মারাত্মক প্রভাব পড়ছে। আর এর প্রভাব পড়ছে মানুষের ওপর।

মহিপুর বন বিভাগের রেঞ্জ অফিসার আবুল কালম আজাদ বলেন, ঘূর্ণিঝড় আম্পানে বনের ক্ষতির পরিমান নিরূপণ করে উর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের নিকট পাঠানো হয়েছে।

এই ক্যাটাগরীর আরো খবর

ফেসবুক কর্নার

শিরোনাম
আন্দোলনের নামে অরাজকতার বিরুদ্ধে স্বাস্থ্য বরিশালে শ্রমিকদের সঙ্গে ছাত্র-জনতার সংঘর্ষ, ফেব্রুয়ারিতে নির্বাচন হবে না: নাসীরুদ্দীন পারাজাপুরে একই সময়ে বিএনপি ও যুবদলের দুই গ্রুপবরখাস্ত হচ্ছেন নলছিটি গার্লস স্কুল অ্যান্ড কহাসপাতাল ছাড়লেন জামায়াত আমিরপ্রাথমিকে আসছে বড় নিয়োগ, নেওয়া হবে ১৭ হাজার শিহাসিনার পক্ষে মামলায় লড়তে জেড আই খান পান্নার টনক নড়েছে শেবাচিম কর্তৃপক্ষের / একসংগে ৪৬ ট্রসাত মাসে ২৫৯ শিশু খুন, নির্যাতনও বাড়ছের‍্যাংকিংয়ে ফের দশে নেমে গেল বাংলাদেশ৩০০ আসনে প্রার্থী চূড়ান্ত করল ইসলামী আন্দোলজনগণ যেভাবে চাইবে, দেশ সেভাবেই পরিচালিত হবে: তআমি ইউনূস-হাসিনা দ্বন্দ্বের বলি: টিউলিপফিরছে ‘না’ ভোট