বানারীপাড়ার চাখার সেজেছে নবরুপে - The Barisal

বানারীপাড়ার চাখার সেজেছে নবরুপে

  • আপডেট টাইম : জুন ১৮ ২০২০, ২২:১৯
  • 826 বার পঠিত
বানারীপাড়ার চাখার সেজেছে নবরুপে
সংবাদটি শেয়ার করুন....

মো. সুজন মোল্লা,বানারীপাড়া

ঐতিহ্যবাহী একটি ইউনিয়ন চাখার,বানারীপাড়া উপজেলা ও বরিশাল জেলার অন্তর্গত। এই ইউনিয়নটি কেবল বাংলাদেশ আওয়ামী লীগ সরকারে থাকার এই সময়ে সেজেছে এক অপরুপ সাজে। যার সিংহভাগ নবরুপ দিয়েছেন বরিশাল-২ আসনের সংসদ সদস্য ও বাংলাদেশ ছাত্রলীগের কেন্দ্রীয় কমিটির সাবেক সভাপতি মো. শাহে আলম। বঙ্গবন্ধু কন্যা প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বাধীন আওয়ামী লীগ সরকারের টানা তিন মেয়াদে ১২ বছরে এ ইউনিয়নে জনগুরুত্বপূর্ণ বেশিরভাগ রাস্তা-ঘাট ও অসংখ্য ব্রিজ-পুল-কালভার্ট নির্মাণ সহ গ্রামকে শহুরের ন্যায় গড়ে তোলা হয়েছে। চাখার সরকারি ফজলুল হক কলেজে ৬ তলা বিশিষ্ট দৃষ্টিনন্দন একাডেমিক ভবন নির্মাণ কাজ চলমান রয়েছে। এছাড়া বেশ কয়েকটি সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে সাইক্লোন শেল্টার,মাধ্যমিক বিদ্যালয় ও মাদ্রাসায় বহুতল ভবন নির্মান করা হয়েছে। এ ইউনিয়নে বর্তমানে কোন কাঁচা রাস্তা নেই। এ ইউনিয়নের নয়াবাজারে নারীদের জন্য পৃথক ‘ওমেন মার্কেট’ নির্মাণ করা হয়েছে। সম্প্রতি বরিশাল-বানারীপাড়া সড়কের গুয়াচিত্রা থেকে চাখার বাসষ্ট্যান্ড পর্যন্ত মহাসড়কের আদলে বেশ কয়েকটি ব্রিজ-কালভার্ট সহ পাকা প্রসস্থ সড়ক এবং চাখার বাজার থেকে মিরেরহাট ও লস্করপুর বাজার পর্যন্ত পৃথক দু’টি সড়ক নির্মাণ করা হয়েছে। এছাড়া বরিশাল-বানারীপাড়া সড়কের শিমুল তলা থেকে খলিশাকোটা স্কুল হয়ে হয়ে চাখারের হক সাহেবের হাট পর্যন্ত পাকা রাস্তা নির্মাণ কাজ শেষ পর্যায়ে রয়েছে। এ ইউনিয়নকে শতভাগ বিদ্যুতায়নের আওতায় আনা হয়েছে। এর পাশাপাশি প্রধানমন্ত্রীর উপহার সৌর বিদ্যুতের আলোয় আলোকিত হয়েছে শত শত দরিদ্র পরিবারের ঘর। এই ইউনিয়নে ১৯৪০ সালে চাখার ফজলুল হক কলেজ স্থাপিত হওয়ায় গোটা দক্ষিনাঞ্চলের লেখা পড়ার কেন্দ্র বিন্দু ছিল এই চাখার। পরবর্তীতে ওই কলেজটি সরকারিকরণ ও বেশ কয়েকটি বিষয়ে অনার্স কোর্স চালু করা করা হয়। এ কলেজে এক সময় সরব ছাত্র সংসদও ছিলো। সেখান থেকে অনেক যোগ্য নেতৃত্বও বের হয়েছে। যাদের মধ্যে অনেকে রাজনীতি ও কর্মক্ষেত্রে পরবর্তীতে সুপ্রতিষ্ঠিত হয়েছেন। চাখারে রয়েছে বালক ও বালিকা মাধ্যমিক বিদ্যালয়। রয়েছে ডাকবাংলো,পুলিশ ফাঁড়ি, বিদ্যুৎ কেন্দ্র, উপজেলার একমাত্র সাব-রেজিষ্ট্রি অফিস, একাধিক ডায়াগনষ্টিক সেন্টার,ব্যাংক,বীমা,এনজিও অফিস,লঞ্চঘাট ও শের-ই বাংলা স্মৃতি জাদুঘর প্রভৃতি। রয়েছে ঐতিহ্যবাহি বাজার ও ১০ শয্যার একটি হাসপাতাল। তবে দীর্ঘদিন ধরে ওই হাসপাতালের মূল ভবন এবং চিকিৎসক ও নার্সদের কোয়ার্টার সংস্কার না হওয়ায় ব্যবহার অনুপযোগী হয়ে পড়েছে। উপজেলার অপর ৭ টি ইউনিয়নের চেয়ে ঐতিহ্যবাহি এ ইউনিয়নটি সবদিক থেকে উন্নত ও সমৃদ্ধ।

এই ক্যাটাগরীর আরো খবর

ফেসবুক কর্নার

শিরোনাম
আন্দোলনের নামে অরাজকতার বিরুদ্ধে স্বাস্থ্য বরিশালে শ্রমিকদের সঙ্গে ছাত্র-জনতার সংঘর্ষ, ফেব্রুয়ারিতে নির্বাচন হবে না: নাসীরুদ্দীন পারাজাপুরে একই সময়ে বিএনপি ও যুবদলের দুই গ্রুপবরখাস্ত হচ্ছেন নলছিটি গার্লস স্কুল অ্যান্ড কহাসপাতাল ছাড়লেন জামায়াত আমিরপ্রাথমিকে আসছে বড় নিয়োগ, নেওয়া হবে ১৭ হাজার শিহাসিনার পক্ষে মামলায় লড়তে জেড আই খান পান্নার টনক নড়েছে শেবাচিম কর্তৃপক্ষের / একসংগে ৪৬ ট্রসাত মাসে ২৫৯ শিশু খুন, নির্যাতনও বাড়ছের‍্যাংকিংয়ে ফের দশে নেমে গেল বাংলাদেশ৩০০ আসনে প্রার্থী চূড়ান্ত করল ইসলামী আন্দোলজনগণ যেভাবে চাইবে, দেশ সেভাবেই পরিচালিত হবে: তআমি ইউনূস-হাসিনা দ্বন্দ্বের বলি: টিউলিপফিরছে ‘না’ ভোট