বরিশাল ১৮ই সেপ্টেম্বর, ২০২৫ খ্রিস্টাব্দ | ৩রা আশ্বিন, ১৪৩২ বঙ্গাব্দ | ২৫শে রবিউল আউয়াল, ১৪৪৭ হিজরি
সারা দেশের সিটি করপোরেশন এলাকায় গত পাঁচ মাসে হওয়া দাফন- দাহে বরিশাল ৮ম স্থানে রয়েেছ। হটস্পট জোনগুলোর মধ্যে বরিশালে মৃত সংখ্যা অনেক কম। তালিকার শীর্ষে নারায়নগঞ্জ।
ঢাকা বাদে বাকি ৯টি সিটি কর্পোরেশনের কবরস্থানগুলোর সংখ্যা অনুসন্ধানে এ তথ্য বেরিয়ে এসেছে। কবরস্থান সংশ্লিষ্ট ব্যক্তি ও সিটি করপোরেশনের কর্মকর্তাদের তথ্যানুযায়ী, গাজীপুর সিটি করপোরেশনে জানুয়ারি থেকে মে এই পাঁচ মাসে দাফন হয়েছে ২৫৯ জন, নারায়ণগঞ্জে ১ হাজার ৮৪১, চট্টগ্রামে ২৫৯, খুলনায় ১ হাজার ৬৭৪, রাজশাহীতে ১ হাজার ৯০, সিলেটে ৪২৯, বরিশালে ২৫৯, ময়মনসিংহে ৬৬৪ এবং রংপুরে ১১৪টি দাফন সম্পন্ন হয়েছে। এই পর্যন্ত সব সিটি মিলিয়ে মোট দাফন ৬ হাজার ৫৮৯টি। এর মধ্যে সর্বোচ্চ সংখ্যক দাফন হয়েছে নারায়ণগঞ্জে, যার পরিমাণ সারা দেশের তুলনায় ২৭ দশমিক ৯৪ শতাংশ। অর্থাৎ প্রায় ২৮ শতাংশ বেশি দাফন হয়েছে। শুরু থেকেই করোনার হটস্পট হিসেবে চিহ্নিত হওয়া এই জায়গায় জানুয়ারির চেয়ে এপ্রিলে ২৭০টি দাফন বেশি হয়েছে। কবরস্থান সংশ্লিষ্ট মোহরার, খতিব ও সিটি করপোরেশনের কর্মকর্তাদের দেওয়া তথ্যমতে, কয়েকটি সুনির্দিষ্ট জেলা ছাড়া স্বাভাবিক সময়ের থেকে খুব বেশি দাফন বাড়েনি। তবে যেসব জেলা করোনার হটস্পট সেসব জেলায় স্বাভাবিক দাফনও অনেক বেড়েছে। তারা বলছেন, সিটি করপোরেশনে থাকা দাফনের সংখ্যার বাইরে পারিবারিক কবরস্থান, মাজারভিত্তিক কবরস্থানে দাফন করা হয়ে থাকে।সে হিসাব এর বাইরে রয়েছে।
বরিশাল সিটি করপোরেশন
বরিশাল সিটি করপোরেশনে দুটি কবরস্থানে গত জানুয়ারি থেকে ২৫৯টি দাফন নিবন্ধিত হয়েছে। আঞ্জুমানে মফিদুল ইসলামের তত্ত্বাবধায়ক জাকির হোসেন এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন। তিনি বলেন, গত জানুয়ারিতে এই দুই কবরস্থানে ৬১টি দাফন হয়, সেটিই সর্বোচ্চ ছিল। এরপরে ফেব্রুয়ারিতে ৫৯টি, মার্চে ৪৬টি, এপ্রিলে ৪৫টি, মে-তে ৪৮টি দাফন হয়েছে। চলতি জুন মাসের পুরো হিসাবে না পাওয়া গেলেও মাসের ১০ তারিখ পর্যন্ত ২২টি দাফনের উল্লেখ করেন তিনি।
ময়নমনসিং, সিলেট ও বরিশাল সিটি করপোরেশনে করোনা আক্রান্তের সংখ্যা কম হওয়ায় এখানে মৃত্যুর সংখ্যায় কোনো অস্বাভাবিকত্ব দেখা যায়নি।
১৯ জুন পর্যন্ত হিসেব বলছে সিলেট জেলায় আক্রান্ত ১৬৪০জন, ময়মনসিংহ ১২০৪জন, এবং বরিশাল এক হাজারের কিছু বেশি। যেখানে ঢাকায় ২৪ হাজার ৫০৪ ও নারায়ণগঞ্জে প্রায় সাড়ে চার হাজার। সিটি করপোরেশন কর্তৃপক্ষ বলছেন, সাধারণত আক্রান্ত রোগীর সংখ্যা কম হওয়ায় এই তিন সিটিতে সাম্প্রতিক সময়ের চেয়ে আগে মৃত্যুর সংখ্যা বেশি। এদিকে গাজীপুরের আক্রান্ত আড়াই হাজার হলেও এখানে বাইরের মানুষ বেশি হওয়ায় মৃতদেহ এলাকার বাইরে দাফন বেশি হয়। সুত্র- বাংলা ট্রিবিউন