বরিশাল ১৪ই সেপ্টেম্বর, ২০২৫ খ্রিস্টাব্দ | ৩০শে ভাদ্র, ১৪৩২ বঙ্গাব্দ | ২২শে রবিউল আউয়াল, ১৪৪৭ হিজরি
পটুয়াখালী প্রতিনিধিঃ পটুয়াখালীতে ত্রান ও দুর্যোগ অধিদপ্তরের ৩০ লাখ টাকার একটি ঠিকাদারি কাজের চূড়ান্ত বিল দিতে ঠিকাদারের কাছে ৪ লাখ টাকা ঘুষ দাবি করার এক অভিযোগ পাওয়া গেছে।
পটুয়াখালীর গলাচিপা উপজেলার ডাকুয়া ইউনিয়নে একটি কালভার্ট নির্মাণ কাজ সম্পন্ন করে সংশ্লিষ্ট দপ্তরে চূড়ান্ত বিল চেয়ে আবেদন করলে উপজেলা প্রকল্প বাস্তবায়ন কর্মকর্তা (পিআইও) ঠিকাদারের কাছে এ ঘুষ দাবি করেন। পিআইও
এস এম দেলোয়ার হোসেনের বিরুদ্ধে এমনই অভিযোগ এনে পটুয়াখালী জেলা প্রশাসক, দুর্ণীত দমন কমিশনসহ সংশ্লিষ্ট দপ্তরের উর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের কাছে ২১ জুন রবিবার ঠিকাদার সাইফুল ইসলাম এ অভিযোগ করেন। অভিযোগে উল্লেখ করা হয় যে, ঠিকাদার সাইফুল ইসলাম ঠিকাদারি কাজের পাশাপাশি ঢাকাস্থ ইস্ট-ওয়েস্ট ইউনির্ভাসিটির ৬ষ্ট সেমিস্টারের একজন শিক্ষার্থী। তিনি ত্রাণ ও দুর্যোগ মন্ত্রণালয়ের অধীনে ২০১৮ – ২০১৯ অর্থ বছরে গলাচিপা উপজেলার ডাকুয়া ইউনিয়নের কালিকাপুর মাদ্রাসা সংলগ্ন রাস্তার ওপর ৩৬ ফুট দীর্ঘ একটি কালভার্ট নির্মানের কাজ পান। কাজটির চুক্তিমূল্য ছিল ৩০ লক্ষ.৭৯ হাজার টাকা। চলতি বছরের ফেব্রুয়ারি মাসের মধ্যে কাজটি সম্পন্ন করার সময়মীমা দিয়ে ২০১৯ সালের ৮ সেপ্টেম্বর ঠিকাদারকে কার্যাদেশ দেন গলাচিপা উপজেলা প্রকল্প বাস্তবায়ন কর্মকর্তা (পিআইও) এস এম দেলোয়ার হোসেন। প্রাক্কলন অনুযায়ী কাজটি সম্পন্ন করে ঠিকাদার সাইফুল ইসলাম ৮ জুন গলাচিপা উপজেলা নির্বাহী অফিসারের কাছে চূড়ান্ত বিলের জন্য আবেদন করেন। ওই দিনই পিআইও দেলোয়ার হোসেন ঠিকাদার সাইফুলের বাবা আব্দুস সালামকে তার রুমে ডেকে নিয়ে চূড়ান্ত বিলের জন্য ৪ লাখ টাকা ঘুষ দাবি করেন। দাবিকৃত এ টাকা না দেয়ায় তার চূড়ান্ত বিল অনুমোদনের জন্য ঢাকায় ত্রান ও দুর্যোগ অধিদপ্তরে পাঠায়নি পিআইও।
নাম প্রকাশ না করার শর্তে অপর এক ঠিকাদার বলেন তিনি ওই উপজেলায় অনুরুপ একটি কালভার্টের কাজ পান এবং তার কাজও যথানিয়মে সম্পন্ন করা হয়েছে। চূড়ান্ত বিলের জন্য তার কাছেও ৪ লাখ টাকা দাবি করেন ওই পিআইও। ওই টাকা না দেয়ায় কাজ সম্পন্ন করা সত্তেও তার বিলও ঢাকায় পাঠানো হয়নি।
অভিযুক্ত পিআইও এস এম দেলোয়ার হোসেন জানান, ঠিকাদারের কাছে ঘুষ দাবির অভিযোগ সঠিক নয়। তার বিল আগামি মাসে ঢাকায় পাঠানো হবে এবং অনুমোদন পাওয়া সাপেক্ষে তিনি চূড়ান্ত বিল পাবেন।
এ ব্যাপারে গলাচিপা উপজেলা নির্বাহী অফিসার শাহ মোঃ রফিকুল ইসলাম বলেন, এই উপজেলায় এরকম ১৪ টি কালভার্ট নির্মান করা হয়েছে এবং পর্যাপ্ত অর্থ না থাকায় আমরা গত সপ্তাহে ৯ টির চূড়ান্ত বিল অনুমোদনের জন্য ঢাকায় পাঠিয়েছি বাকি কাজগুলোর বিল আগামি মাসের মাঝামাঝি সময়ে ঢাকায় পাঠানো হবে। ঘুষ দাবির বিষয়ে আমি কিছুই জানিনা তবে লিখিত অভিযোগ পেলে বিষয়টি খতিয়ে দেখা হবে, জানান ইউএনও।