বরিশাল ১৪ই সেপ্টেম্বর, ২০২৫ খ্রিস্টাব্দ | ৩০শে ভাদ্র, ১৪৩২ বঙ্গাব্দ | ২২শে রবিউল আউয়াল, ১৪৪৭ হিজরি
dav
পটুয়াখালী প্রতিনিধিঃ পটুয়াখালীতে ঠিকাদারের কাছে পাওনা দুই লক্ষ ৭৫ হাজার টাকা না দিয়ে উল্টো মিথ্যা মামলায় আসামী করে হয়রানীর প্রতিবাদে রাজ মিস্ত্রীর স্ত্রী’র সংবাদ সম্মেলন।
২৬ জুন শুক্রবার বেলা ১১ টায় পটগয়াখালী প্রেসক্লাবে সংবাদ সম্মেলনে লিখিত বক্তব্য পাঠে সদর উপজেলার টাউন জৈনকাঠী নিবাসী রাজ মিস্ত্রী ফারুক গাজীর সহধর্মীনি মোসাঃ মমতাজ বেগম বলেন, আমার স্বামী ফারুক গাজী পেশায় একজন রাজ মিস্ত্রী। তার আয় ব্যায়ের টাকা দিয়ে আমাদের সংসার কোনমতে চলে। আমার স্বামী ঠিকাদার আঃ জব্বার মৃধার কাজের অর্থাৎ পটুয়াখালী পৌরসভার সরকারী মহিলা কলেজ হতে দক্ষিনে ২নং বাঁধ পর্যন্ত দুই লেনের সড়কের নির্মান কাজের লেবার সর্দার হিসাবে ১৮-২০ জন শ্রমিক নিয়ে প্রচন্ড রৌদ্রে কঠোর পরিশ্রম করে সড়কের নির্মান কাজ প্রায় শেষ করলেও এ কাজের ঠিকাদার আঃ জব্বার মৃধা আমার স্বামীর মজুরীর পাওনা দুই লক্ষ ৭৫ হাজার টাকা তিন বছরেও পরিশোধ করে নাই। একাধিকবার মজুরী টাকা চাইতে গেলে ঠিকাদার আঃ জব্বার মৃধা ও তার লোকজন হুমকি ধামকি ও ভয়ভীতি দেখায়। উক্ত মজুরী দুই লক্ষ ৭৫ হাজার টাকা না পেয়ে আমার স্বামী সংশ্লিস্ট পটুয়াখালী পৌরসভার মেয়রের কাছ ২৫.০৯.২০১৯ তারিখ উক্ত টাকা পাওয়ার জন্য একটি লিখিত দরখাস্ত করে। মেয়রের কাছে দরখাস্ত করায় ঠিকাদার আঃ জব্বার মৃধা আরো ক্ষিপ্ত হয়ে আমাকে খুন জখমসহ বিভিন্ন মিথ্যা মামলায় দিয়ে হয়রানী করার হুমকি দিয়ে টাকা দিচ্ছে না।
সম্প্রতি চলতি মাসের ৬জুন আঃ জব্বার মৃধা পরিচালিত ব্রিটিশ আমেরিকা টোবাকো লিঃ এর পরিবেশক হাজী এন্ড সন্সে সংঘটিত সিগারেট চুরির ঘটনায় জব্বার মৃধা বাদী হয়ে সদর থানায় সাত জনকে আসামী করে একটি মামলা করেন। ঠিকাদার জব্বার মৃধা পাওনা দুই লক্ষ ৭৫ হাজার টাকা না দেয়ার জন্য আমার স্বামী ফারু গাজীকে হয়রানীর অসৎ উদ্দেশ্যে সিগারেট চুরি মামলায় মিথ্যাভাবে ৭ নম্বর আসামী করে হয়রানী করছে । মিথ্যাভাবে আসামী করায় আমার স্বামী এখন হয়রানির শিকার। আমার স্বামী মিথ্যা মামলায় হয়রানীর শিকার হওয়ার কারনে তার আয় রোজকার বন্ধ হওয়ায় এবং করোনা পরিস্থিতে মানবেতর দিন কাটাচ্ছেন বলে মমতাজ বেগম তার লিখিত বক্তব্যকালে কান্না জড়িত কন্ঠে মিথ্যা মামলা থেকে স্বামীর মুক্তি এবং পাওনা দুই লক্ষ টাকা আদায় করে দপয়ার জন্য সাংবাদিকদের কাছে জোর দাবী করেন। এ সময় তার সাথে ছিলেন তার ছেলে কলেজ ছাত্র ইব্রাহিম গাজী, বড় বোন সাফিয়া বেগম, ভাতিজি হেলেনা বেগমসহ পরিবারের অন্যান্য সদস্যবৃন্দ।