বরিশাল ১৪ই সেপ্টেম্বর, ২০২৫ খ্রিস্টাব্দ | ৩০শে ভাদ্র, ১৪৩২ বঙ্গাব্দ | ২১শে রবিউল আউয়াল, ১৪৪৭ হিজরি
পটুয়াখালী প্রতিনিধিঃ পটুয়াখালীতে অপহরনের ৩০ দিন অতিবাহিত হলেও ৮ম শ্রেনীর ছাত্রী রুমা আক্তারকে উদ্ধার করতে পারেনি পুলিশ।
অপহৃতার স্বজনরাসহ সদর থানায় দায়ের করা এজাহার সূত্রে জানাগেছে, সদর উপজেলার লাউকাঠি ইউনিয়নের তেলিখালী গ্রামের দিনমজুর কাঞ্চন আকনের মেয়ে গুলবুনিয়া মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের ৮ম শ্রেনীর ছাত্রী রুমা আক্তারকে স্কুলে আসা-যাওয়ার পথে এবং বাড়িতে এসে একই এলাকার প্রতিবেশী স্ত্রী হত্যা মামলায় সাজাপ্রাপ্ত মজিদ শরীফের বখাটে, নেশাখোর, ইভটাইজার জলসার ওরফে জুলু শরীফ (৩০) বিবাহের প্রলোভ দেখিয়ে কু-প্রস্তাব দেয়। এতে রাজি না হওয়ায় বিভিন্নভাবে ভয়ভীতি দেখায়। ঘটনারদিন ১৮.০৫.২০ইং তারিখ রাত আনুমানিক ৯টার দিকে সুকৌশলে ডেকে নিয়ে তেলিখালী গ্রামের আপ্তের আকনের পরিত্যক্ত বসত ঘরের পূর্বপাশ কুঠার কুড়ের আড়ালে জোর পূর্বক ধর্ষন করে। এ সময় ডাকচিৎকারে আশপাশের লোকজন ঘটনাস্থলে পৌছলে লম্ফট জুলু শরীফ পালিয়ে যায়।
এ ঘটনার বিচার পেতে ভিকটিমের স্বজনরা ৯৯৯ নম্বরে ফোন দিলে থানা পুলিশের সহায়তায় পরদিন ১৯.০৫.২০ইং তারিখ ভিকটিমের মা মিনারা বেগম বাদী হয়ে পটুয়াখালী সদর থানায় জলসার ওরফে জুলু শরীফকে আসামী করে একটি মামলা দায়ের করেন। মামলা নং- ১৯। এ মামলা করায় ক্ষিপ্ত হয়ে ধর্ষন মামলা থেকে রক্ষার জন্য জলসার ওরফে জুলু শরীফ তার নিকট আত্মীয় জয়নাল শরীফ(৫০), কাওসার শরীফ ওরফে কালু (৩০), শানু শরীফ ও আনছার(৩২)গংদের পরামর্শে, নির্দেশে ও সহযোগিতায় ঘটনারদিন ২৬.০৫.২০ইং তারিখ আনুমানিক দুপুর আড়াইটার সময় মা মিনারা বেগম তার মেয়েকে সাথে নিয়ে গোসলের উদ্দেশ্যে নিকটস্থ তেলিখালী খালে যাওয়ার পথে কাওসারের বসত ঘরের পূর্বপাশে পৌছলে কাওসারের ঘরে ওৎ পেতে থাকা লম্ফট জুলু শরীফ ভিকটিমের মুখ চেপে ধরে কাওসারগংদের সহায়তায় মটর সাইকেলে তুলে অজ্ঞাত চালক দ্বারা নিয়ে যায়। এ সময় অপর একটি মটর সাইকেলে কাওসার ও আনছার পিছনে পিছনে যায়। এ অপহরন ঘটনার পরদিন ২৭.০৫.২০ইং তারিখ ভিকটিমের বাবা কাঞ্চন আলী আকন সদর থানায় উল্লেখিত ব্যক্তিদের আসামী করে একটি অপহরন মামলা করেন। এ মামলার ৩০দিন অতিবাহিত হলেও এ রিপোর্ট লেখা পর্যন্ত ভিকটিম ৮ম শ্রেনীর ছাত্রী রুমাকে উদ্ধার করতে পারেনি পুলিশ। এ বিষয় সদর থানার ওসি আক্তার মোর্শেদ এর কাছে জানতে চাইলে, তিনি বলেন আমি মামলার নাম্বার বলতে পারছি না, থানার বাহিরে আছি, কোন মামলা আমি বলতে পারছি না। মেয়েকে না পেয়ে বাবা-মাসহ স্বজনরা দুঃচিন্তায় দিন কাটাচ্ছে। তারা ভিকটিমকে উদ্ধার করার জন্য পুলিশ প্রশাসনসহ সংশ্লিস্ট কর্মকর্তাদের কাছে দাবী করেছেন।