বরিশাল ১৪ই সেপ্টেম্বর, ২০২৫ খ্রিস্টাব্দ | ৩০শে ভাদ্র, ১৪৩২ বঙ্গাব্দ | ২১শে রবিউল আউয়াল, ১৪৪৭ হিজরি
পটুয়াখালী প্রতিনিধিঃ পটুয়াখালী জেলার সদর উপজেলাধীন হরতকীবাড়িয়া ৫৯নং জে.এল ভুক্ত “কালিয়ার খাল” এর ২৫.০৬.২০ইং তারিখের দরপত্র বাতিল পূর্বক পুনঃ দরপত্রের দাবী করেছেন প্রকৃত মৎস্যচাষী ছোটবিঘাই মৎস্যজীবী সমবায় সমিতি লিঃ (নিবন্ধন নং-৫৭,পিডি,তারিখ-৩০.০৫.২০১১ইং) এর সভাপতি মোঃ জয়নাল মৃধা।
পটুয়াখালী জেলা প্রশাসক বরাবরে লিখিত দাবীতে মৎস্যচাষী ছোটবিঘাই মৎস্যজীবী সমবায় সমিতির সভাপতি মোঃ জয়নাল মৃধা বলেছেন যে, আমি একজন প্রকৃত মৎস্য চাষী। আমি বিগত বাংলা ১৪২৪ – ১৪২৬ (ইংরেজী ২০১৭-২০২০) পর্যন্ত উক্ত কালিয়ার খাল ইজারা প্রাপ্ত হয়ে সরকারের সকল নীতিমালা অনুযায়ী বিভিন্ন এনজিও থেকে লোন নিয়ে প্রায় ১০ লক্ষ টাকার বিভিন্ন প্রজাতির মাছের পোনা অবমুক্ত করে পরিচর্যা করে আসছি। আমি বৈশ্বিক করোনা ভাইরাস কোভিড-১৯ সংক্রমন ও প্রাকৃতিক ঘূর্ণিঝড় আম্ফানের কারনে অস্বাভাবিক পানিবৃদ্ধির কারনে মাছ ধরে বেচা-কেনা করতে পারি নাই। এ অবস্থায় বর্তমান , ১৪২৭,১৪২৮ ও ১৪২৯ ২০১৭ বাংলা বছরের জন্য দরপত্র আহ্বান করলে, আমি ১ম পর্যায়ের দরপত্রে যথা নিয়মে আমি এক মাত্র দরপত্র গ্রহিতা হিসাবে অংশগ্রহন করি। কিন্তু সামন্য তথ্যগত সামন্য ক্রটির কারনে, অর্থাৎ ১ বছরের অডিট রিপোর্ট দাখিল করতে ভুল হওয়ায় আমার নামীয় দরপত্র বাতিল হয়। দ্বিতীয় পর্যায়ের দরপত্র ফরম বিক্রি হয় নাই। তৃতীয় পর্যায়ের গত ইং ২৫.০৬.২০ইং তারিখের দরপত্রে বিধি বর্হিভূত অপর পক্ষ, যিনি এলাকার বাসিন্দা নহে এবং প্রকৃত মৎস্যজীবী নহে। তার নামীয় হাজীখালী জেলে মৎস্যজীবী সমবায় সমিতির কোন অডিট রিপোর্ট নাই। আমাকে ক্ষতিগ্রস্থ করার জন্য সর্বনি¤œ দরপত্রে টাকা ৮৫,২০০ টাকা হলেও তারা সর্বোচ্চ দরপত্র দেখায়ে অপর পক্ষকে দরপত্র প্রাপ্ত দেখায়। যেহেতু বর্তমানে উক্তখালে আমার ১০ লক্ষ টাকার মাছ আছে। আমি করোনা ভাইরাস কোভিড-১৯ সংক্রমন ও প্রাকৃতিক ঘূর্ণিঝড় আম্ফানের কারনে অস্বাভাবিক পানিবৃদ্ধির কারনে মাছ ধরে বেচা-কেনা করতে পারি নাই। আমার নামে নেয়া লোনের টাকাও পরিশোধ করতে পারি নাই এবং উক্ত খালে মাছ ধরতে বেচা-বিক্রি করতে সময়েরও প্রয়োজন।
এ অবস্থায় গত ২৫.০৬.২০২০ইং তারিখের দরপত্র বাতিল পূর্বক পুনঃ দরপত্র আহবানের প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহনের আদেশ দাবী করেন প্রকৃত মৎস্য চাষী ছোটবিঘাই মৎস্যজীবী সমবায় সমিতির সভাপতি মোঃ জয়নাল মৃধা।