কুয়াকাটা সৈকতে নেই পর্যটক - The Barisal

কুয়াকাটা সৈকতে নেই পর্যটক

  • আপডেট টাইম : জুলাই ০১ ২০২০, ২০:১৩
  • 796 বার পঠিত
কুয়াকাটা সৈকতে নেই পর্যটক
সংবাদটি শেয়ার করুন....

কুয়াকাটা (পটুয়াখালী) প্রতিনিধি॥ কুয়াকাটায় করোনা ঝুঁকি নিয়ে ১ জুলাই (বুধবার) আবাসিক হোটেল মোটেল,রেস্তোরা ও পর্যটনমুখী ব্যবসা প্রতিষ্ঠান খুলে দিলেও পর্যটকদের দেখা মেলেনি। পটুয়াখালী জেলা প্রশাসনের অনুমতি ক্রমে দীর্ঘ প্রায় চার মাস বন্ধ থাকার পর পর্যটনের দ্বার খুলে দেয়া হলেও হতাশ পর্যটনমুখী ব্যবসায়ীরা। তবে প্রথম দিনে পর্যটক না আসলেও হতাশ নয় হোটেল মোটেল সংগঠন নেতৃবৃন্দ। শুক্রবার থেকে বাড়তে পারে পর্যটক এমনটাই ধারনা করছেন তারা।
দীর্ঘদিন বন্ধ থাকার পর কুয়াকাটার পর্যটনমুখী ব্যবসায়ীরা খুলে দিয়েছেন তাদের ব্যবসা প্রতিষ্ঠান। ফিরে এসেছে কর্ম চাঞ্চল্যতা। ব্যস্ত হয়ে পরেছেন নিজ নিজ ব্যবসা প্রতিষ্ঠান গুলো নতুন ভাবে ঢেলে সাজাতে। সৈকতে থাকা ক্ষুদ্র ব্যবসায়ীরা দোকাপাট খুলে বসে থাকলেও বেচাকেনা নেই। স্থানীয় দু’য়েকজন পর্যটক সৈকতে ভ্রমনে আসলেও দূরের কোন পর্যটকদের দেখা যায়নি সৈকতে। বাংলাদেশ পর্যটন করপোরেশনের পর্যটন হলিডে হোমস,সিকদার রিসোর্ট এন্ড ভিলাস, কুয়াকাটা গ্রান্ড হোটেলসহ আবাসিক হোটেল মোটেল গুলোতে ৪০-৫০ভাগ রুম বুকিং এর উপর ছাড়ের ঘোষণা দিয়েছে পর্যটক আকৃষ্ট করার জন্য। তারপরও পর্যটকদের সাড়া মেলেনি।
সরেজমিনে ঘুরে দেখাগেছে, প্রথম ও দ্বিতীয় শ্রেনীর আবাসিক হোটেল গুলোতে কোনটায় ১রুম আবার কোন হোটেলে সর্বোচ্চ ৩রুম বুকিং হয়েছে। শতকরা দুই ভাগ রুম বুকিং হয়েছে বলে জানান হোটেল কর্তৃপক্ষ।
সৈকতের ঝিনুক দোকানদার ইব্রাহিম ওয়াহিদ জানান,খুবই অল্প সংখ্যক পর্যটক এসেছে। বেশিরভাগই পার্শবর্তী জেলা অথবা কাছাকাছি জেলা থেকে এসব পর্যটকরা এসেছে। ঢাকাসহ উত্তর পশ্চিমাঞ্চলের কোন পর্যটক আসেনি।
বেচাকেনা নেই। সারাদিনে তিনি মাত্র পঞ্চাশ টাকা বিক্রি করেছে।
আবাসিক হোটেল সৈকতের মালিক মোঃ জিয়াউর রহমান জানান, তার হোটেলে অর্ধশতাধিক রুম রয়েছে। প্রথম দিনে মাত্র ৩টি রুম বুকিং হয়েছে। করোনা ভীতির কারনে মানুষ ঘর থেকে বাহির হয়নি। তিনি আরো বলেন, কোরবানীর ঈদের পর পর্যটক সমাগম বাড়বে। অনেকেই কোরবানীর ঈদের পর রুমের জন্য অগ্রিম বুকিং নিচ্ছে। কোরবানীর আগে পর্যটক না আসার সম্ভাবনাই বেশি বলে তার ধারনা।
কুয়াকাটা হোটেল মোটেল ওনার্স এসোসিয়েশনের সাধারন সম্পাদক মোতালেব শরীফ বলেন, তার গেষ্ট হাউজে মাত্র ১টি রুম বুকিং হয়েছে। একদিকে করোনা আতংক,অন্যদিকে বর্ষা মৌসুম থাকায় পর্যটকদের আগমন তেমন একটা হবে না। আস্তে আস্তে পর্যটকদের সংখ্যা বাড়বে। তিনি আরও বলেন, কম সংখ্যক পর্যটক আসলেও কর্মচারীদের বেতন ও খরচ দিতে সক্ষম হবেন হোটেল মালিকরা। এতে কর্মহীনতার অভাব মোচন হবে।

এই ক্যাটাগরীর আরো খবর

ফেসবুক কর্নার

শিরোনাম
আন্দোলনের নামে অরাজকতার বিরুদ্ধে স্বাস্থ্য বরিশালে শ্রমিকদের সঙ্গে ছাত্র-জনতার সংঘর্ষ, ফেব্রুয়ারিতে নির্বাচন হবে না: নাসীরুদ্দীন পারাজাপুরে একই সময়ে বিএনপি ও যুবদলের দুই গ্রুপবরখাস্ত হচ্ছেন নলছিটি গার্লস স্কুল অ্যান্ড কহাসপাতাল ছাড়লেন জামায়াত আমিরপ্রাথমিকে আসছে বড় নিয়োগ, নেওয়া হবে ১৭ হাজার শিহাসিনার পক্ষে মামলায় লড়তে জেড আই খান পান্নার টনক নড়েছে শেবাচিম কর্তৃপক্ষের / একসংগে ৪৬ ট্রসাত মাসে ২৫৯ শিশু খুন, নির্যাতনও বাড়ছের‍্যাংকিংয়ে ফের দশে নেমে গেল বাংলাদেশ৩০০ আসনে প্রার্থী চূড়ান্ত করল ইসলামী আন্দোলজনগণ যেভাবে চাইবে, দেশ সেভাবেই পরিচালিত হবে: তআমি ইউনূস-হাসিনা দ্বন্দ্বের বলি: টিউলিপফিরছে ‘না’ ভোট