বরিশাল ১৩ই সেপ্টেম্বর, ২০২৫ খ্রিস্টাব্দ | ২৯শে ভাদ্র, ১৪৩২ বঙ্গাব্দ | ২১শে রবিউল আউয়াল, ১৪৪৭ হিজরি
পটুয়াখালী প্রতিনিধিঃ পটুয়াখালী জেলার দশমিনা উপজেলা আওয়ামীলীগের সাধারণ সম্পাদক দশমিনা উপজেলার ৪নং দশমিনা সদর ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান অ্যাডভোকেট ইকবাল মাহমুদ লিটনের বিরুদ্ধে হতদরিদ্রদের ভিজিডি’র সরকারী চাল বিতরণে অনিয়ম ও আত্মসাতের অভিযোগ পাওয়া গেছে। ইউনিয়নের ভিজিডির চাল বঞ্চিতরা পটুয়াখালী জেলা প্রশাসকের কাছে দুই দফা অভিযোগ করেছেন। এ চাল আত্মসাতের ঘটনা ধামাচাপা দিতে ভুক্তভোগীদেরকে ম্যানেজ করা হ”েছ বলে অভিযোগ উঠেছে। করোনা প্রটোকল না মেনে বুধবার ইউনিয়ন পরিষদের ভিজিডি কার্ডধারীদের নিয়ে একটি জরুরী সভা করে চেয়ারম্যান লিটন।
জেলা প্রশাসকের কাছে করা অভিযোগে বলা হয়েছে-দশমিনা উপজেলার ৪নং দশমিনা সদর ইউনিয়ন পরিষদের ৭২৪ জন হতদরিদ্রদের মাঝে ভিজিডির কার্ডের মাধ্যমে চাল বিতরণ করা হয়। ২০১৯ সালের জানুয়ারী মাসে সকল উপকারভোগীদের কাছ থেকে ভিজিডির কার্ড নিয়ে নেয় চেয়ারম্যান ইকবাল মাহমুদ লিটন। ২০১৯ সালের ১২ মাস এবং ২০২০ সালের ৬ মাসসহ
মোট ১৮ মাসের মধ্যে ১৪ মাসের চাল বিতরণ করা হয়। বাকি চার মাসের চাল বিতরন করা হয়নি। পরে কার্ড হাতে পাওয়ার পর ভুক্তভোগীরা জানতে পারে ভুয়া টিপ সই দিয়ে ১৮ মাসের ঘর পূরন করা হয়েছে। এছাড়াও ভিজিডি কার্ড বাবদ ৩ থেকে ৪ হাজার টাকা করে হাতিয়ে নিয়েছে বলে অভিযোগ করা হয়। এদিকে চাল আত্মসাতের ঘটনায় জেলা প্রশাসকের কাছে অভিযোগ দেয়ার পরপর ভুক্তভোগীদের ভয়-ভীতি দেখিয়ে অভিযোগ প্রত্যাহারের চাপ দি”েছ চেয়ারম্যানসহ তার লোকজন।
এঘটনায় চেয়ারম্যানের লোকজন সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে একটি ভিডিও ভাইরাল করেছে। এছাড়াও চেয়ারম্যানের লোকজন রাতের বেলা ভুক্তভোগীদের বাড়ী গিয়ে শাসিয়ে আসছে বলে অভিযোগ উঠেছে।
এ প্রসঙ্গে চেয়ারম্যান অ্যাডভোকেট ইকবাল মাহমুদ লিটন অভিযোগ অস্বীকার করে বলেন, আমি দু’বার চেয়ারম্যান হয়েছি। আমি কোন সুবিধাভোগীদের কাছ থেকে একটা টাকা নিয়েছি বা এক কেজি চাল আত্মসাত করেছি তার কোন নজির এই ইউনিয়নে নেই। আমারপ্রতিপক্ষরা আমাকে ঘায়েল করতে না পেরে সামাজিকভাবে হেয়ঃপ্রতিপন্ন ও আমার ভাবমূর্তি এবং সুনাম নষ্ট করার জন্য এইসবমিথ্যা ও ভিত্তিহীন অভিযোগ করেছে।
এ প্রসঙ্গে অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক মোঃ হেমায়েত উদ্দিন জানান, অভিযোগের প্রেক্ষিতে একটি তদন্ত কমিটি গঠন করেছেন জেলা প্রশাসক মতিউল ইসলাম চৌধুরী স্যার। শীঘ্রই তদন্ত শুরু হবে।
প্রসঙ্গত উল্লেখ্য, এর আগে দশমিনা উপজেলার আলীপুরা ইউপি চেয়ারম্যান ইঞ্জিনিয়র মোহাম্মদ বাদশা ফয়সাল আহমেদের বিরুদ্ধে হতদরিদ্রদের চার মাসের ভিজিডি’র সরকারি চাল আত্মসাতের অভিযোগ ওঠে। পরে জেলা প্রশাসকের তদন্তে অভিযোগের সত্যতা প্রমাণিত হলে স্থানীয় সরকার মন্ত্রনালয় চলতি বছরের ২৪ জুন অভিযুক্ত চেয়ারম্যান বাদশা ফয়সালকে সাময়িক বরখাস্ত করে প্রজ্ঞাপন জারি করে।