বরিশাল ১৩ই সেপ্টেম্বর, ২০২৫ খ্রিস্টাব্দ | ২৯শে ভাদ্র, ১৪৩২ বঙ্গাব্দ | ২১শে রবিউল আউয়াল, ১৪৪৭ হিজরি
অভ্যন্তরীণ কোন্দলে নৃশংস ভাবে খুন হলো বাউফলের যুবলীগ ও ছাত্রলীগের ২ নেতা। এদের হাত পায়ের রগ কেটে, চোখ তুলে ফেলা হয়েছিল। এ ঘটনায় স্থানীয় আওয়ামীলীগের সাধারণ সম্পাদকসহ ৫৯জনের বিরুদ্ধে হত্যা মামলা দায়ের করা হয়েছে। পুলিশ এ পর্যন্ত ৯ জনকে আটক করেছে। এ ঘটনায় উত্তপ্ত হয়ে উঠেছে বাউফলের আওয়ামীলীগের রাজনীতি। সাধারণ সম্পাদক মহিউদ্দিন লাভলুকে বহিস্কারের দাবিতে বিক্ষুদ্ধ নেতাকর্মীরা বিক্ষোভ করেছে।
থানীয়রা জানান, দীর্ঘদিন ধরে কেশবপুর ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সভাপতি সালেহ উদ্দিন পিকু এবং সাধারণ সম্পাদক ও বর্তমান ইউপি চেয়ারম্যান মহিউদ্দিন লাভলুর মধ্যে অভ্যন্তরীণ কোন্দল চলছিল। দুই গ্রুপই স্থানীয় এমপি আ স ম ফিরোজ সমর্থিত বলেও জানা গেছে।
রোববার সন্ধ্যা ৭টায় কেশবপুর বাজারে একটি চায়ের দোকানে রুমন ও তার চাচাতো ভাই ইসাত চা খাচ্ছিল। এ সময় ৪০-৫০ জনের একদল দুর্বৃত্ত দেশীয় ধারালো অস্ত্র নিয়ে তাদের ওপর হামলা চালায়। এ সময় এদের দুজনের হাত পায়ের রগ কেটে, চোখ তুলে ফেলা হয়। গুরুতর আহত দুজনকে স্থানীয়রা উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স নিয়ে যায়। উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের চিকিৎসক তাদের মৃত ঘোষণা করেন।
পটুয়াখালী বাউফলের কেশবপুরে ইউনিয়ন যুবলীগ নেতা রুম্মন তালুকদার(৩০) এবং ছাত্রলীগ নেতা ইশাদ তালুকদার (২২)কে পূর্বশত্রুতার জের ধরে হাতপায়ের রগ কেটে চোখ উৎপাটনের ঘটনায় দায়ি করে স্থাণীয় ইউনিয়ন চেয়ারম্যান ও ইউনিয়ন সাধারণ সম্পাদক মহিউদ্দিন লাভলু এবং রফিক রাসেল সহ ৫৯ জনকে আসামী করে গতকাল মঙ্গলবার বিকালে বাদি হয়ে মফিজউদ্দিন মিন্টু তালুকদার বাউফল থানা একটি হত্যা মামলা দায়ের হয়েছে। এদিকে সোমবার বিকাল চারটার জানাযায় স্থাণীয় কেশবপুর কলেজ মাঠে ইউনিয়ন আওয়ামীলীগ ও তার অঙ্গসংগঠনের নেতাকর্মী এবং নিহতর পরিবার সাধারণ সম্পাদক মহিউদ্দিন লাভলুকে দায়ি করে তাকে দল থেকে বহিস্কারের দাবিতে বিক্ষুব্ধ হয়ে উপজেলা আওয়ামীলীগের সাধারণ সম্পাদক ও উপজেলা চেয়ারম্যান আব্দুল মোতালেব হাওলাদারকে অবরুদ্ধ করে রাখে । পরে সাবেক চিফ হুইপ ও স্থাণীয় সংসদ সদস্য আসম ফিরোজ এমপি ওই জানায়ামাঠে দলীয় নেতাকর্মীদের দাবির এক পর্যায়ে তাকে দলীয়ভাবে বহিস্কারের সিদ্ধান্ত নেন । বহিস্কারের বিষয়টি পটুয়াখালী জেলা অঅওয়ামীলীগের সভাপতি কাজী আলমগীর হোসেন বহিস্কারের আদেশ নিশ্চিত করেন । এর আগে বাউফল থানা পুলিশ এ হত্যার সাথে জড়িত সন্দেহে ৯ জনকে আটক করে । আটককৃতরা হচ্ছে জিহাদ হাসান (১৭) মো:নাইম(১৮) রাসেদ (১৮) নুর ইসলাম(৩৮) সাব্বির(১৫) রাসেল হাওলাদার (৩২), কাওসার আকন(১৮),আবু তাহের (৫০),সাইম(১৪)। এ হত্যার ঘটনায় কেশবপুর ইউনিয়নের কেশবপুর বাজারে তিনশতাধিক দোকান পাট বন্ধ রয়েছে । বিরাজ করছে থমথমে অবস্থা ।
বাউফল দুমকী সার্কেলের সহকারী পুলিশ সুপার মোঃ ফারুক হোসেন বলেন, ঘটনার সাথে জড়িত আসামীদের গ্রেফতারের চেষ্টা চলছে । ইতি মধ্যে ৯জনকে আটক করা হয়েছে । এ ঘটনায় সাধারণ সম্পাদকসহ ৫৯ জনকে আসামী করেন একটি মামলা দায়ের হয়েছে।