বরিশাল ৯ই সেপ্টেম্বর, ২০২৫ খ্রিস্টাব্দ | ২৫শে ভাদ্র, ১৪৩২ বঙ্গাব্দ | ১৬ই রবিউল আউয়াল, ১৪৪৭ হিজরি
বরগুনা প্রতিনিধি : বরগুনার বামনায় প্রকাশ্যে ওসির হাতে লাঞ্ছনার শিকার সেই সহকারী এএসআই পুলিশের বিশেষ গোয়েন্দা শাখায় (ডিএসবি) পদায়ন করা হয়েছে। মঙ্গলবার (১১ আগষ্ট) বিকেলে বরগুনা জেলা পুলিশের বিশেষ গোয়েন্দা শাখায় তাকে পদায়ন করা হয়। এর আগে পেশাগত দায়িত্ব পালনের অনুকূল পরিবেশ না থাকায় রবিবার (৯ আগষ্ট) রাতে বামনা থানা থেকে তাকে বরগুনার পুলিশ লাইনে সংযুক্ত করা হয়। অপর দিকে চড় মারা সেই ওসিকে উর্ধতন কর্তপক্ষের নির্দেশে প্রত্যাহার করা হয়েছে।
এ বিষয়ে বরগুনার অতিরিক্ত পুলিশ সুপার মো. মফিজুল ইসলাম বলেন, দায়িত্বপালনরত অবস্থায় প্রকাশ্যে লাঞ্ছনার শিকার হওয়ায় ওই এএসআই’র বামনা থানায় দায়িত্ব পালনের অনুকূল পরিবেশ নষ্ট হয়ে যায়। এ কারনে একটি সুন্দর পরিবেশে কাজ করার সুযোগ দেয়ার জন্য আমরা ওই এএসআইকে বামনা থানা থেকে সরিয়ে বরগুনার পুলিশ লাইনে সংযুক্ত করি।
তিনি আরো বলেন, রোববার রাতে ওই এএসআইকে বরগুনার পুলিশ লাইনে সংযুক্ত করার পর আজ তাকে বরগুনা জেলা পুলিশের বিশেষ গোয়েন্দা শাখায় (ডিএসবি) পদায়ন করা হয়েছে।
কক্সবাজারে পুলিশের গুলিতে মেজর (অবঃ) সিনহা মোহাম্মদ রাশেদের মৃত্যুর পর গ্রেফতার ও কারাবন্দি শাহেদুল ইসলাম সিফাতের মুক্তির দাবির মানববন্ধন পন্ড করার সময় শনিবার (৮ আগস্ট) কর্তব্যরত ওই এএসআইকে প্রকাশ্যে চড় মারেন বরগুনার বামনা থানার ওসি মো. ইলিয়াস হোসেন।
চড় মামার ভিডিওটি সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ছড়িয়ে পড়লে বামনা থানার ওসি মো. ইলিয়াস হোসেনের সমালোচনা করেন অসংখ্য মানুষ। এতে ভাবমুর্তি নষ্ট হয় খোদ পুলিশেরও।
ঘটনার দিনই বরগুনার অতিরিক্ত পুলিশ সুপার মো. মফিজুল ইসলামকে প্রধান করে তিন সদস্য বিশিষ্ট একটি তদন্ত কমিটি গঠন করে পুলিশ। তিন দিনের মধ্যে এ ঘটনার তদন্ত শেষে বামনা থানার ওসি মো. ইলিয়াছ আলী তালুকদারকে অভিযুক্ত করে তাকে প্রত্যাহারের পাশাপাশি বিভাগীয় ব্যবস্থা গ্রহণের সুপারিশ করে তদন্ত কমিটি।
তদন্ত কমিটির সুপারিশ অনুযায়ী মঙ্গলবার (১১ আগষ্ট) দুপুরে বরিশাল রেঞ্জের ডিআইজি অফিস বামনা থানার ওসি মোহাম্মদ ইলিয়াছ আলী তালুকদারকে প্রত্যাহার করে বরগুনার পুলিশ লাইনে সংযুক্ত করা হয়।বরগুনার বামনায় শত শত মানুষের সামনে এক এএসআইকে চড় মারার ঘটনায় অভিযুক্ত বামনা থানার ওসি মোঃ ইলিয়াছ আলী তালুকদার প্রত্যাহার করা হয়েছে। তদন্ত কমিটির সুপারিশে আজ দুপুরে তাকে বামনা থানা থেকে প্রত্যাহার করা হয়েছে বলে জানিয়েছেন বরগুনার অতিরিক্ত পুলিশ সুপার ও এ ঘটনা ঘঠিত তদন্ত কমিটির প্রধান মোঃ মফিজুল ইসলাম।
অতিরিক্ত পুলিশ সুপার মোঃ মফিজুল ইসলাম বলেন, “এএসআইকে চড় মারার ঘটনার তদন্তে সত্যতা পেয়েছি আমরা। তাই আমরা আমাদের তদন্ত প্রতিবেদনে বামনা থানার ওসি মোহাম্মদ ইলিয়াছ আলী তালুকদারকে প্রত্যাহারসহ বিভাগীয় ব্যবস্থা গ্রহণেরও সুপারিশ করি। এরই প্রেক্ষিতে বামনা থানার ওসি মোহাম্মদ ইলিয়াছ আলী তালুকদারকে থানা থেকে প্রত্যাহার করে পুলিশ লাইনে সংযুক্ত করা হয়েছে। বরিশালের ডিআইজি অফিসের এক চিঠির মাধ্যমে বামনা থানার ওসিকে প্রত্যাহার করা হয়েছে বলেও জানান তিনি।